মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

সিনেমা হলের জন্য সরকারের বরাদ্দ ৭০০ কোটি টাকা

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৬:২১:০২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৭৭৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বন্ধ হতে হতে দেশের সিনেমা হলের সংখ্যা এখন মাত্র প্রায় সত্তরটি। করোনা পরিস্থিতির পর হয়তো অর্ধশতেরও নীচে নেমে আসছে হল সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে দেশের মৃতপ্রায় সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রি বাঁচাতে উদ্যোগি হয়েছেন সরকার।

বন্ধ হয়ে যাওয়া হলের সংস্কার ও নতুন সিনেমা হল গড়তে স্বল্প সুদে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সিনেমা সংশ্লিষ্ট একাধিক সংগঠনের নেতারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে শুভ কামনা জানিয়ে সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রি ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন তারা।

তবে সরকারের এই ঋণ সুবিধাকে সাধুবাদ জানিয়ে পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, বর্তমান সরকার সিনেমাবান্ধব সরকার সেটা আমরা আগেও বলেছি। সরকার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলা সিনেমার জন্য নিঃসন্দেহে এটি সুসংবাদ। সরকারের এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আশা করি সিনেমা শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে।

তবে হল মালিক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ এই অর্থ বরাদ্দকে অনুদান হিসেবে দিলে ভালো হতো বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে অনেক হল মালিক স্বচ্ছলতা হারিয়েছেন, এরকম অনেকেই আমাদের বলছিলেন যে, ঋণ না দিয়ে সরকার যদি এই বরাদ্দকৃত অর্থ অনুদান হিসেবে দিতেন, তাহলে বেশি উপকৃত হতেন। ৪ শতাংশ সুদ দেয়া অনেকের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।’

এদিকে দেশের অধিকাংশ নির্মাতারা হল হলের সংস্কার ও নতুন সিনেমা হল গড়তে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার পাশাপাশি সিনমা সিনেমা নির্মাণেও সরকারি সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করছেন।  কারণ হল সংস্কার হলে সেখানে চালানোর জন্য মানসম্মত সিনেমাও প্রয়োজন। তাই সিনেমা নির্মাণেও একটা অর্থ ররাদ্দ চান নির্মাতারা।

সরকারের এমন উদ্যোগকে প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু চলচ্চিত্রের জন্য সবুজ সংকেত হিসেবে দেখছেন।সমকালকে তিনি বলেন, গত ১৫-২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের যেসব সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, সেগুলো পুনরায় চালু করতে এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণ করতেই মূলত সরকারের এই বিশেষ ঋণ সুবিধা। ইতোমধ্যে সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এটিকে আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য সবুজ সংকেত হিসেবে দেখছি।

ঋণ নেয়ার প্রক্রিয়ার বিষয়টি জানিয়ে প্রযোজক সমিতির এই নেতা জানান, সরাসরি সরকারি কোষাগার থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে কয়েকটি ব্যাংকে টাকা রাখা হবে। হল মালিকরা সেসব ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন। যা খুবই স্বল্প ঋণে ও দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক

সিনেমা হলের জন্য সরকারের বরাদ্দ ৭০০ কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০৬:২১:০২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

বন্ধ হতে হতে দেশের সিনেমা হলের সংখ্যা এখন মাত্র প্রায় সত্তরটি। করোনা পরিস্থিতির পর হয়তো অর্ধশতেরও নীচে নেমে আসছে হল সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে দেশের মৃতপ্রায় সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রি বাঁচাতে উদ্যোগি হয়েছেন সরকার।

বন্ধ হয়ে যাওয়া হলের সংস্কার ও নতুন সিনেমা হল গড়তে স্বল্প সুদে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সিনেমা সংশ্লিষ্ট একাধিক সংগঠনের নেতারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে শুভ কামনা জানিয়ে সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রি ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন তারা।

তবে সরকারের এই ঋণ সুবিধাকে সাধুবাদ জানিয়ে পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, বর্তমান সরকার সিনেমাবান্ধব সরকার সেটা আমরা আগেও বলেছি। সরকার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলা সিনেমার জন্য নিঃসন্দেহে এটি সুসংবাদ। সরকারের এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আশা করি সিনেমা শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে।

তবে হল মালিক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ এই অর্থ বরাদ্দকে অনুদান হিসেবে দিলে ভালো হতো বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে অনেক হল মালিক স্বচ্ছলতা হারিয়েছেন, এরকম অনেকেই আমাদের বলছিলেন যে, ঋণ না দিয়ে সরকার যদি এই বরাদ্দকৃত অর্থ অনুদান হিসেবে দিতেন, তাহলে বেশি উপকৃত হতেন। ৪ শতাংশ সুদ দেয়া অনেকের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।’

এদিকে দেশের অধিকাংশ নির্মাতারা হল হলের সংস্কার ও নতুন সিনেমা হল গড়তে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার পাশাপাশি সিনমা সিনেমা নির্মাণেও সরকারি সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করছেন।  কারণ হল সংস্কার হলে সেখানে চালানোর জন্য মানসম্মত সিনেমাও প্রয়োজন। তাই সিনেমা নির্মাণেও একটা অর্থ ররাদ্দ চান নির্মাতারা।

সরকারের এমন উদ্যোগকে প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু চলচ্চিত্রের জন্য সবুজ সংকেত হিসেবে দেখছেন।সমকালকে তিনি বলেন, গত ১৫-২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের যেসব সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, সেগুলো পুনরায় চালু করতে এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণ করতেই মূলত সরকারের এই বিশেষ ঋণ সুবিধা। ইতোমধ্যে সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এটিকে আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য সবুজ সংকেত হিসেবে দেখছি।

ঋণ নেয়ার প্রক্রিয়ার বিষয়টি জানিয়ে প্রযোজক সমিতির এই নেতা জানান, সরাসরি সরকারি কোষাগার থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে কয়েকটি ব্যাংকে টাকা রাখা হবে। হল মালিকরা সেসব ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন। যা খুবই স্বল্প ঋণে ও দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য।