মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

মোটরসাইকেল চালিয়ে বিয়ের আসরে কনে

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৩৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট ২০২০
  • ৭৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:সবুজ রঙের পোশাক পরা এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী। সবাই নিজ নিজ মোটরসাইকেলে। তাদের মাঝখানে সোনালি রঙের পোশাক পরে এক কনে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। মোটরসাইকেলে করে সবাইকে নিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে কনের যোগ দেওয়ার এই ছবি ও ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে ভাইরাল। ব্যতিক্রমী আয়োজন করা এই কনের নাম ফারহানা আফরোজ। বাড়ি যশোরে।

১৩ আগস্ট ছিল ফারহানার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার জন্য আমি কিছু করিনি। আমি ঢাকাতে দেখেছি, অনেক বিয়েতে বর নিজে মোটরসাইকেল চালিয়ে বন্ধুবান্ধব নিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যান। আমি মোটরসাইকেল চালাতে পারি। আমারও ইচ্ছে হয়েছে। আমি ইচ্ছেপূরণ করেছি। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে একটু হইচই-আনন্দ করেছি।’

গায়ে হলুদের দিনের আয়োজন সম্পর্কে ফারহানা আফরোজ বলেন, ‘যশোর শহরের ডাকঘরপাড়ার একটি বিউটি পারলার থেকে সাজসজ্জা করেছি। সেখান থেকে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে শহরে চক্কর দিয়েছি। পরে গায়ে হলুদের আসরে গিয়েছি।’

তাঁর বাড়ি যশোর শহরের সার্কিট হাউস এলাকায়। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত তিনি যশোরের স্কুল-কলেজে পড়েছেন। এখন তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ছেন। তাঁর স্বামীর বাড়ি পাবনার কাশিনাথপুরে। স্বামী পেশায় টেক্সটাইল প্রকৌশলী।

যশোরে মোটরসাইকেলে করে সবাইকে নিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দেন কনে ফারহানা আফরোজ
যশোরে মোটরসাইকেলে করে সবাইকে নিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দেন কনে ফারহানা আফরোজছবি: সংগৃহীত
ফেসবুকে কনের এমন ছবি দেখে ইতিবাচক-নেতিবাচক দুই ধরনের প্রতিক্রিয়াই মানুষ দেখিয়েছেন। যারা নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ফারহানা আফরোজ বলেন, ‘কিছু মানুষের মানসিকতা এত নিচু, আমি আগে জানতাম না। আমার এই আনন্দ-উচ্ছ্বাস নিয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের কোনো সমস্যা নেই। অন্যদের সমস্যা কী, বুঝতে পারছি না।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক

মোটরসাইকেল চালিয়ে বিয়ের আসরে কনে

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৩৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:সবুজ রঙের পোশাক পরা এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী। সবাই নিজ নিজ মোটরসাইকেলে। তাদের মাঝখানে সোনালি রঙের পোশাক পরে এক কনে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। মোটরসাইকেলে করে সবাইকে নিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে কনের যোগ দেওয়ার এই ছবি ও ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে ভাইরাল। ব্যতিক্রমী আয়োজন করা এই কনের নাম ফারহানা আফরোজ। বাড়ি যশোরে।

১৩ আগস্ট ছিল ফারহানার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার জন্য আমি কিছু করিনি। আমি ঢাকাতে দেখেছি, অনেক বিয়েতে বর নিজে মোটরসাইকেল চালিয়ে বন্ধুবান্ধব নিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যান। আমি মোটরসাইকেল চালাতে পারি। আমারও ইচ্ছে হয়েছে। আমি ইচ্ছেপূরণ করেছি। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে একটু হইচই-আনন্দ করেছি।’

গায়ে হলুদের দিনের আয়োজন সম্পর্কে ফারহানা আফরোজ বলেন, ‘যশোর শহরের ডাকঘরপাড়ার একটি বিউটি পারলার থেকে সাজসজ্জা করেছি। সেখান থেকে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে শহরে চক্কর দিয়েছি। পরে গায়ে হলুদের আসরে গিয়েছি।’

তাঁর বাড়ি যশোর শহরের সার্কিট হাউস এলাকায়। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত তিনি যশোরের স্কুল-কলেজে পড়েছেন। এখন তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ছেন। তাঁর স্বামীর বাড়ি পাবনার কাশিনাথপুরে। স্বামী পেশায় টেক্সটাইল প্রকৌশলী।

যশোরে মোটরসাইকেলে করে সবাইকে নিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দেন কনে ফারহানা আফরোজ
যশোরে মোটরসাইকেলে করে সবাইকে নিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দেন কনে ফারহানা আফরোজছবি: সংগৃহীত
ফেসবুকে কনের এমন ছবি দেখে ইতিবাচক-নেতিবাচক দুই ধরনের প্রতিক্রিয়াই মানুষ দেখিয়েছেন। যারা নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ফারহানা আফরোজ বলেন, ‘কিছু মানুষের মানসিকতা এত নিচু, আমি আগে জানতাম না। আমার এই আনন্দ-উচ্ছ্বাস নিয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের কোনো সমস্যা নেই। অন্যদের সমস্যা কী, বুঝতে পারছি না।’