শিরোনাম :
Logo পিয়াস আফ্রিদির উদ্যোগে চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের পথচলা Logo প্রান্তিক মানুষের আস্থার নাম সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক Logo ইবিতে সিরাতুন নবি (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী Logo ইবি ক্যাম্পাসে তালিকাভুক্ত নয় এমন  সংগঠনের সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা Logo সুন্দরবনের বিনা পাশে প্রবেশ করায় তিন জেলা কটক  Logo খুবি রিসার্চ সোসাইটির নতুন নেতৃত্বে বকসী-গৌর Logo চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক Logo কাল চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo খানপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের উদ্যোগে আট দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। Logo পাইকোশায় ধানের চাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মিথ্যা মামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

দিশাকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার !

  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:২৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ আগস্ট ২০২০
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দিশাকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নাকি তার যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্নও আছে। এমনটাই দাবি করছেন বিজেপির এমপি প্রবীণ রাজনীতিক রাণে। তার অভিযোগ, মুম্বাই পুলিশ দুটি ঘটনার যথার্থ তদন্ত না করে এই ষড়যন্ত্রে শক্তিধরদের গোপন করছে।

গত ৮ জুন রাতে কয়েকজন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মালাড ওয়েস্টের একটি ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন দিশা। ফ্ল্যাটের মালিক দিশার প্রেমিক, অভিনেতা রোহন রাই।

পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, রাতে খাওয়াদাওয়ার পরে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করেছিলেন দিশা।

রাণের দাবি, এই পার্টিতে কে কে উপস্থিত ছিলেন, তাদের সবার নাম প্রকাশ করতে হবে। এমনকি, ওই মজলিসে মহারাষ্ট্রের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীও ছিলেন বলে অভিযোগ রাণের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত একটার দিকে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ১২ তলা ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে নীচে পড়ে যান দিশা। খবর পেয়ে রাত আড়াইটায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সে সময় খোলা রাস্তায় রক্তের স্রোতে পড়েছিলেন দিশা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এ ঘটনার ছয়দিন পর ১৪ জুন দুপুরে মুম্বাইয়ে নিজের ফ্ল্যাটে উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। তার আগের দিন রাতে সেখানে পার্টি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

মাত্র ছয়দিনের ব্যবধানে প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা এবং সুশান্তের রহস্যমৃত্যু। দুইটি ঘটনাই যে একটি অন্যটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, সে দাবি প্রথম থেকেই উঠেছে। এই প্রশ্নও উঠছে, তা হলে কি সুশান্ত জানতেন দিশার পরিণতি কী হয়েছিল? সত্যিটা জানতেন বলে কি তাকেও সরিয়ে দেয়া হল?

দিশার মৃত্যুতে কিছু গোপন করা হচ্ছে, সে আশঙ্কা আরো জোরালো হয়েছে বিহার পুলিশের দাবিতে। সুশান্ত এবং দিশার মৃত্যুর ঘটনায় মুম্বাই এসেছে বিহার পুলিশের একটি দল।

তদন্তকারীদের দাবি, মালওয়ানি থানায় গিয়ে তারা দিশার কেসফাইল দেখতে চান। কিন্তু তাদের জানানো হয়, কেস ভুলবশত ডিলিট হয়ে গিয়েছে।

ফাইল পুনরুদ্ধারের জন্য চাওয়া হয় ল্যাপটপ। কিন্তু সেটাও তাদের দেয়া হয়নি বলে দাবি বিহার পুলিশের। ফলে সন্দেহ জোরালো হচ্ছে যে মুম্বাই পুলিশ কাউকে আড়াল করতে চাইছে। নইলে এত ফাইলের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট ফাইল-ই বা হারিয়ে গেল কেন?

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পিয়াস আফ্রিদির উদ্যোগে চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের পথচলা

দিশাকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার !

আপডেট সময় : ০১:৪৪:২৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

দিশাকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নাকি তার যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্নও আছে। এমনটাই দাবি করছেন বিজেপির এমপি প্রবীণ রাজনীতিক রাণে। তার অভিযোগ, মুম্বাই পুলিশ দুটি ঘটনার যথার্থ তদন্ত না করে এই ষড়যন্ত্রে শক্তিধরদের গোপন করছে।

গত ৮ জুন রাতে কয়েকজন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মালাড ওয়েস্টের একটি ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন দিশা। ফ্ল্যাটের মালিক দিশার প্রেমিক, অভিনেতা রোহন রাই।

পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, রাতে খাওয়াদাওয়ার পরে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করেছিলেন দিশা।

রাণের দাবি, এই পার্টিতে কে কে উপস্থিত ছিলেন, তাদের সবার নাম প্রকাশ করতে হবে। এমনকি, ওই মজলিসে মহারাষ্ট্রের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীও ছিলেন বলে অভিযোগ রাণের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত একটার দিকে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ১২ তলা ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে নীচে পড়ে যান দিশা। খবর পেয়ে রাত আড়াইটায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সে সময় খোলা রাস্তায় রক্তের স্রোতে পড়েছিলেন দিশা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এ ঘটনার ছয়দিন পর ১৪ জুন দুপুরে মুম্বাইয়ে নিজের ফ্ল্যাটে উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। তার আগের দিন রাতে সেখানে পার্টি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

মাত্র ছয়দিনের ব্যবধানে প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা এবং সুশান্তের রহস্যমৃত্যু। দুইটি ঘটনাই যে একটি অন্যটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, সে দাবি প্রথম থেকেই উঠেছে। এই প্রশ্নও উঠছে, তা হলে কি সুশান্ত জানতেন দিশার পরিণতি কী হয়েছিল? সত্যিটা জানতেন বলে কি তাকেও সরিয়ে দেয়া হল?

দিশার মৃত্যুতে কিছু গোপন করা হচ্ছে, সে আশঙ্কা আরো জোরালো হয়েছে বিহার পুলিশের দাবিতে। সুশান্ত এবং দিশার মৃত্যুর ঘটনায় মুম্বাই এসেছে বিহার পুলিশের একটি দল।

তদন্তকারীদের দাবি, মালওয়ানি থানায় গিয়ে তারা দিশার কেসফাইল দেখতে চান। কিন্তু তাদের জানানো হয়, কেস ভুলবশত ডিলিট হয়ে গিয়েছে।

ফাইল পুনরুদ্ধারের জন্য চাওয়া হয় ল্যাপটপ। কিন্তু সেটাও তাদের দেয়া হয়নি বলে দাবি বিহার পুলিশের। ফলে সন্দেহ জোরালো হচ্ছে যে মুম্বাই পুলিশ কাউকে আড়াল করতে চাইছে। নইলে এত ফাইলের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট ফাইল-ই বা হারিয়ে গেল কেন?