বৃহস্পতিবার | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

কিম জং উনের অসুস্থতার খবরটি গুজব : উ.কোরিয়া

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:৫১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০
  • ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:অস্ত্রোপচারের পর উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে যে খবরটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্য নয় বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।

সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বলেছে, ৩৬ বছর বয়সী কিম গুরুতর অসুস্থ এমন কোনো তথ্য উত্তর কোরিয়া থেকে পাওয়া যায়নি।

কিমের স্বাস্থ্যের বিষয়ে এমন গুজব এটিই প্রথম নয়। এর আগেও এ ব্যাপারে অনেক জল্পনা-কল্পনার তীব্র ঝড় উঠেছে, যা শেষ পর্যন্ত মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

এর আগে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রের বরাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক; একটি অস্ত্রোপচারের পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।

ওই খবরে বলা হয়, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণেই কিম গত বুধবার তাঁর দাদার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তারপর থেকেই কিমের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সপ্তাহখানেক আগে একটি সরকারি বৈঠকে তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল।

তবে কিমের শারীরিক অবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে সিএএনের দেওয়া এই খবর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার শারীরিক অবস্থা জানাটা সহজ ব্যাপার নয়। কারণ সরকারি সংবাদমাধ্যম ছাড়া কোনো রকম তথ্য উত্তর কোরিয়া দেয় না।

উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাং হলেন কিম জং উনের দাদা। গত বুধবার তাঁর জন্মদিন ছিল। উত্তর কোরিয়ার কাছে ওই দিনটি বিশেষ ছুটির দিন। গোটা দেশেই উৎসব পালিত হয়। কিমকে সেখানেও দেখা যায়নি।

৩৬ বছর বয়সী কিম অত্যধিক ধূমপান করেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া মুটিয়ে যাওয়া ও কাজের প্রচণ্ড চাপ থেকেই তাঁর শরীর খারাপ হলো কি না, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ায়, কিমকে নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহজনক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। কিম জং উনের ‌‘গুরুতর অসুস্থতার’ খবর একরকম উড়িয়েই দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি এনকের প্রতিবেদনে বলা হয়, কিমের হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়ার সরকারের গোপনীয়তার কারণে কিমের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এখনো স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।

২০০৮ সালে উত্তর কোরিয়ার ৬০তম জন্মদিনে একইভাবে কিম জং ইল (কিম জং উনের বাবা) অনুপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছিল তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে জানা যায়, তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এরপর ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় শয্যাশায়ী ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ

কিম জং উনের অসুস্থতার খবরটি গুজব : উ.কোরিয়া

আপডেট সময় : ০৭:১৪:৫১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০

নিউজ ডেস্ক:অস্ত্রোপচারের পর উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে যে খবরটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্য নয় বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।

সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বলেছে, ৩৬ বছর বয়সী কিম গুরুতর অসুস্থ এমন কোনো তথ্য উত্তর কোরিয়া থেকে পাওয়া যায়নি।

কিমের স্বাস্থ্যের বিষয়ে এমন গুজব এটিই প্রথম নয়। এর আগেও এ ব্যাপারে অনেক জল্পনা-কল্পনার তীব্র ঝড় উঠেছে, যা শেষ পর্যন্ত মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

এর আগে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রের বরাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক; একটি অস্ত্রোপচারের পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।

ওই খবরে বলা হয়, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণেই কিম গত বুধবার তাঁর দাদার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তারপর থেকেই কিমের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সপ্তাহখানেক আগে একটি সরকারি বৈঠকে তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল।

তবে কিমের শারীরিক অবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে সিএএনের দেওয়া এই খবর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার শারীরিক অবস্থা জানাটা সহজ ব্যাপার নয়। কারণ সরকারি সংবাদমাধ্যম ছাড়া কোনো রকম তথ্য উত্তর কোরিয়া দেয় না।

উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাং হলেন কিম জং উনের দাদা। গত বুধবার তাঁর জন্মদিন ছিল। উত্তর কোরিয়ার কাছে ওই দিনটি বিশেষ ছুটির দিন। গোটা দেশেই উৎসব পালিত হয়। কিমকে সেখানেও দেখা যায়নি।

৩৬ বছর বয়সী কিম অত্যধিক ধূমপান করেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া মুটিয়ে যাওয়া ও কাজের প্রচণ্ড চাপ থেকেই তাঁর শরীর খারাপ হলো কি না, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ায়, কিমকে নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহজনক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। কিম জং উনের ‌‘গুরুতর অসুস্থতার’ খবর একরকম উড়িয়েই দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি এনকের প্রতিবেদনে বলা হয়, কিমের হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়ার সরকারের গোপনীয়তার কারণে কিমের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এখনো স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।

২০০৮ সালে উত্তর কোরিয়ার ৬০তম জন্মদিনে একইভাবে কিম জং ইল (কিম জং উনের বাবা) অনুপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছিল তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে জানা যায়, তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এরপর ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় শয্যাশায়ী ছিলেন।