শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

মোবাইল থেকে টেক্সট পাঠানোর ৮ নিয়মগুলো ! জানেন কি ?

  • আপডেট সময় : ০৫:০৫:২৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ জুলাই ২০১৮
  • ৮৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

১. এসএমএস হোক বা হোয়াটসঅ্যাপ— টেকস্যাভি যুগে টেক্সট আমাদের রোজের ভরসা। অফিসের কাজ, প্রেম কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, সবেতেই সহায় টেক্সট। তবে বিশেষ কিছু নিয়ম না মেনে হুড়োহুড়োর টেক্সট কিন্তু সমস্যায় ফেলতে পারে। সে বিপদ এড়ানোরও উপায়ও সব সময় থাকে না। টেক্সট করার আগে কী কী নিয়ম মানলে অবাঞ্ছিত বিপদ কাটবে, জানেন?

২. টেক্সটের উত্তর না পেলেই ঘন ঘন পোক করেন? এমন অভ্যেস থাকলে আজই তা বদলান। জবাব না দেওয়াকে অনেকেই আত্মসম্মানে ঘা দেওয়া ভাবেন, বিষয়টা মোটেও তা নয়। বরং যাকে টেক্সট করছেন, ওই সময় তিনি কী অবস্থায় আছেন, আদৌ ব্যস্ত আছেন কি না, ভাবুন সে সবও।

৩. নিজে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করুন। কোনও সময় মেজাজ ভাল না থাকলে, বা ব্যস্ত থাকলে অন্তত পরে কথা বলার বার্তাটুকু পাঠান। এটা যেমন টেক্সট এথিকস-এর মধ্যে পড়ে, তেমনই যে কোনও সৌজন্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

৪. লেখা সেরেই দ্রুত পাঠিয়ে দেন টেক্সট? এ সব থেকেই কিন্তু সমস্যা আসে বেশি। এমনিতেই ফোন অটো সিলেকশনে আজকাল অনেক কিছুই আগাম নির্বাচন করে রাখে। তাই লিখতে গেলেন এক, হয়তো ফোন নির্বাচন করল আর এক শব্দ। তাই লেখা সেরে একবার পড়ে নিন গোটাটা। তাতে বানান ভুল বা ভুল শব্দ নজরে আসবে। অন্যের কাছে ‘কেয়ারলেস’ তকমাও জুটবে না।

৫. টেক্সটে মান-অভিমান নয়। টেক্সটে কিন্তু আবেগ পড়া যায় না। যতই ইমোটিন দিয়ে তা বোঝানোর চেষ্টা করুন না কেন, সব সময় তা কাজে আসে না। মনস্তত্ত্ববিদদের মতে, অনেকেই এই ইমোটিনকে ‘আরোপিত’ ভাবেন। অর্থাৎ বাঁকা কথা বলেও ইমোটিনের মোড়কে তাকে হালকা করে দিতে চাইছেন— এমনটাও ভেবে বসেন অনেকেই। তাই কোনও নেতিবাচক আবেগ টেক্সটে নয়।

৬. রোজ সকালের সুপ্রভাত বা যে কোনও অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা— চেষ্টা করুন টেক্সটে না বলতে। আজকাল এমনিতেই হোয়াটসঅ্যাপে ‘গুড মর্নিং’-এর গুঁতোয় অস্থির কম-বেশি সকলেই। খুব ঘনিষ্ঠ হলে তবেই টেক্সটে সারুন শুভেচ্ছা। নয়তো নয়।

৭. বসকে মেসেজ লিখুন বা বন্ধুকে— টেক্সট পাঠানোর আগে ভাল করে দেখুন কাকে পাঠাচ্ছেন। ভুল লোককে ভুল টেক্সট পাঠানোর খেসারত কিন্তু অনেক সময়ই মারাত্মক হয়। বিশেষ করে দরকারি টেক্সট পাঠানোর আগে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়ম। প্রেমিক বা প্রেমিকাকে পাঠানো টেক্সট অফিসের গ্রুপে পাঠিয়ে ফেললে, ভাবতে পারছেন কী হাল হবে!

৮.  টেক্সট তো করবেনই। কিন্তু কখনওই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নয়। তাই ফোন এড়িয়ে চলুন তেমন ক্ষেত্রগুলোতে। গাড়ি চালানো, রাস্তা বা রেললাইন, এ সব জায়গায় এড়িয়ে চলুন টেক্সটিং।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মোবাইল থেকে টেক্সট পাঠানোর ৮ নিয়মগুলো ! জানেন কি ?

আপডেট সময় : ০৫:০৫:২৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ জুলাই ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

১. এসএমএস হোক বা হোয়াটসঅ্যাপ— টেকস্যাভি যুগে টেক্সট আমাদের রোজের ভরসা। অফিসের কাজ, প্রেম কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, সবেতেই সহায় টেক্সট। তবে বিশেষ কিছু নিয়ম না মেনে হুড়োহুড়োর টেক্সট কিন্তু সমস্যায় ফেলতে পারে। সে বিপদ এড়ানোরও উপায়ও সব সময় থাকে না। টেক্সট করার আগে কী কী নিয়ম মানলে অবাঞ্ছিত বিপদ কাটবে, জানেন?

২. টেক্সটের উত্তর না পেলেই ঘন ঘন পোক করেন? এমন অভ্যেস থাকলে আজই তা বদলান। জবাব না দেওয়াকে অনেকেই আত্মসম্মানে ঘা দেওয়া ভাবেন, বিষয়টা মোটেও তা নয়। বরং যাকে টেক্সট করছেন, ওই সময় তিনি কী অবস্থায় আছেন, আদৌ ব্যস্ত আছেন কি না, ভাবুন সে সবও।

৩. নিজে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করুন। কোনও সময় মেজাজ ভাল না থাকলে, বা ব্যস্ত থাকলে অন্তত পরে কথা বলার বার্তাটুকু পাঠান। এটা যেমন টেক্সট এথিকস-এর মধ্যে পড়ে, তেমনই যে কোনও সৌজন্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

৪. লেখা সেরেই দ্রুত পাঠিয়ে দেন টেক্সট? এ সব থেকেই কিন্তু সমস্যা আসে বেশি। এমনিতেই ফোন অটো সিলেকশনে আজকাল অনেক কিছুই আগাম নির্বাচন করে রাখে। তাই লিখতে গেলেন এক, হয়তো ফোন নির্বাচন করল আর এক শব্দ। তাই লেখা সেরে একবার পড়ে নিন গোটাটা। তাতে বানান ভুল বা ভুল শব্দ নজরে আসবে। অন্যের কাছে ‘কেয়ারলেস’ তকমাও জুটবে না।

৫. টেক্সটে মান-অভিমান নয়। টেক্সটে কিন্তু আবেগ পড়া যায় না। যতই ইমোটিন দিয়ে তা বোঝানোর চেষ্টা করুন না কেন, সব সময় তা কাজে আসে না। মনস্তত্ত্ববিদদের মতে, অনেকেই এই ইমোটিনকে ‘আরোপিত’ ভাবেন। অর্থাৎ বাঁকা কথা বলেও ইমোটিনের মোড়কে তাকে হালকা করে দিতে চাইছেন— এমনটাও ভেবে বসেন অনেকেই। তাই কোনও নেতিবাচক আবেগ টেক্সটে নয়।

৬. রোজ সকালের সুপ্রভাত বা যে কোনও অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা— চেষ্টা করুন টেক্সটে না বলতে। আজকাল এমনিতেই হোয়াটসঅ্যাপে ‘গুড মর্নিং’-এর গুঁতোয় অস্থির কম-বেশি সকলেই। খুব ঘনিষ্ঠ হলে তবেই টেক্সটে সারুন শুভেচ্ছা। নয়তো নয়।

৭. বসকে মেসেজ লিখুন বা বন্ধুকে— টেক্সট পাঠানোর আগে ভাল করে দেখুন কাকে পাঠাচ্ছেন। ভুল লোককে ভুল টেক্সট পাঠানোর খেসারত কিন্তু অনেক সময়ই মারাত্মক হয়। বিশেষ করে দরকারি টেক্সট পাঠানোর আগে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়ম। প্রেমিক বা প্রেমিকাকে পাঠানো টেক্সট অফিসের গ্রুপে পাঠিয়ে ফেললে, ভাবতে পারছেন কী হাল হবে!

৮.  টেক্সট তো করবেনই। কিন্তু কখনওই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নয়। তাই ফোন এড়িয়ে চলুন তেমন ক্ষেত্রগুলোতে। গাড়ি চালানো, রাস্তা বা রেললাইন, এ সব জায়গায় এড়িয়ে চলুন টেক্সটিং।