শিরোনাম :
Logo বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা Logo সিন্ডিকেটের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo ফিটনেসবিহীন কুবির বিআরটিসি বাসে আগুন Logo চাঁদপুরে টাইফয়েড টিকাদান কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo খুুবি উপাচার্যের সাথে হিট প্রজেক্টপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মতবিনিময় Logo চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিটি স্তরে সেবা গ্রহীতাদের স্বস্তি Logo নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন  Logo নারী হেনস্থা ও সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ Logo চাঁদপুর মডেল থানায় ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo ইবি’র দুই নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধানে কমিটি পুনর্গঠন

শিশুর বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে যে খাবারগুলো !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৯:৩৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৭
  • ৮১০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু মজাদার খাবার বাচ্চারা সহজে হজম করতে পারে না। এসব খাবার তার বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
শিশুর এক বছর হওয়ার আগে যেসব খাবার শিশুকে দেয়া বিপদজনক সেগুলো হলো-

* চকলেট
শিশুদের সবচেয়ে প্রিয় খাবার চকলেট। তবে এতে ব্যবহার করা কোকো বাচ্চাদের হজম শক্তি নষ্ট করে এবং দাঁতের ক্ষতি করে। এ থেকে অনেক শিশুর অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। তাই যথাসম্ভাব চকলেট না দেওয়ায় ভাল আর ১বছরের আগে তো একদমই দেওয়া যাবে না।

* সামুদ্রিক মাছ ও গরুর দুধ
শিশুর প্রথম বছরের আগে গরুর দুধ না দেয়াই ভালো। কারণ গরুর দুধে থাকে বেশি প্রোটিন এবং সোডিয়াম যা শিশুর ছোট পেটে তা পরিপাক করতে ব্যাঘাত ঘটায়। এছাড়া গরুর দুধে মায়ের দুধ ও ফর্মুলা দুধের থেকে কম আয়রন এবং অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড কম থাকে। কিন্তু আয়রন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুর বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যক। অনেক শিশুর ক্ষেত্রে যদি কম বয়সে গরুর দুধ দেয়া হয় তাহলে অ্যাসিডিটির ও অ্যালার্জির সৃষ্টি করতে পারে।
টুনা, স্যামন, কোরাল ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছে উচ্চ পরিমাণে পারদ থাকে তাই এগুলো শিশুদের দেয়া ঠিক নয়। পাস্তুরাইজেশন ছাড়া দুধে অনেক ধরনের বিপদজনক ব্যাকটেরিয়া থাকে। পাস্তুরাইজেশন ছাড়া দুধ তাই ছোট শিশুদের দেয়া উচিত না।

* মধু ও কিশমিশ
শিশু জন্মের পর পরই অভিভাবকরা তাকে মধু চাটতে দেন। কিন্তু বাচ্চারা এক বছর না হওয়া পর্যন্ত এটা কোনভাবে দেয়া উচিত নয়। শিশুর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত মধু তো দূরের কথা কোনও খাবার শিশুর মুখে দেয়া যাবে না। কারণ এক বছর পর্যন্ত শিশুর বটুলিজম হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়, আর মধু এই ছত্রাক বহন করে। এই বয়সে তাদের কিশমিশ খাওয়ানো ভালো নয়। কিছুটা বড় হওয়ার পর দিতে হবে। কারণ কিসমিসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বিদ্যমান থাকে। যা এক বছরের কম শিশু গ্রহণ করতে সক্ষম হয় না।

* ডিম
এই বয়সে ডিম কিছুটা অ্যালার্জি উৎপাদক খাবার। তবে সবার সমস্যা হবেই তা নয়। তাই পরিবারে যদি কারো ডিমে অ্যালার্জি থাকে সেক্ষেত্রে কিছুদিন অপেক্ষা করে দেয়াই উত্তম। যদি অ্যালার্জির কোন সমস্যা না থাকে তাহলে ডিম খেতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে দিতে হবে ধীরে ধীরে। এই বয়সে সবজির বড় টুকরো যেমন গাজর, শশা ইত্যাদির এবং ফলের বড় টুকরো যেমন আপেল, নাশপাতি ইত্যাদি দেয়া উচিত নয়। ভালভাবে রান্না করে ছোট টুকরো করে বা পিষে দিতে হবে।

* বাদাম
চিনাবাদাম বা এই ধরনের কিছু বাদাম অ্যালার্জির সৃষ্টি করে থাকে তাই সবচেয়ে ভালো হয় এসব খাবার শিশুর এক বছর বয়স হওয়ার আগে না দেয়া। আর যদি পরিবার কোন সদস্যের বাদামে অ্যালার্জি থাকে তাহলে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করে দিতে হবে বা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে দিতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

শিশুর বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে যে খাবারগুলো !

আপডেট সময় : ০৪:৪৯:৩৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু মজাদার খাবার বাচ্চারা সহজে হজম করতে পারে না। এসব খাবার তার বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
শিশুর এক বছর হওয়ার আগে যেসব খাবার শিশুকে দেয়া বিপদজনক সেগুলো হলো-

* চকলেট
শিশুদের সবচেয়ে প্রিয় খাবার চকলেট। তবে এতে ব্যবহার করা কোকো বাচ্চাদের হজম শক্তি নষ্ট করে এবং দাঁতের ক্ষতি করে। এ থেকে অনেক শিশুর অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। তাই যথাসম্ভাব চকলেট না দেওয়ায় ভাল আর ১বছরের আগে তো একদমই দেওয়া যাবে না।

* সামুদ্রিক মাছ ও গরুর দুধ
শিশুর প্রথম বছরের আগে গরুর দুধ না দেয়াই ভালো। কারণ গরুর দুধে থাকে বেশি প্রোটিন এবং সোডিয়াম যা শিশুর ছোট পেটে তা পরিপাক করতে ব্যাঘাত ঘটায়। এছাড়া গরুর দুধে মায়ের দুধ ও ফর্মুলা দুধের থেকে কম আয়রন এবং অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড কম থাকে। কিন্তু আয়রন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুর বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যক। অনেক শিশুর ক্ষেত্রে যদি কম বয়সে গরুর দুধ দেয়া হয় তাহলে অ্যাসিডিটির ও অ্যালার্জির সৃষ্টি করতে পারে।
টুনা, স্যামন, কোরাল ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছে উচ্চ পরিমাণে পারদ থাকে তাই এগুলো শিশুদের দেয়া ঠিক নয়। পাস্তুরাইজেশন ছাড়া দুধে অনেক ধরনের বিপদজনক ব্যাকটেরিয়া থাকে। পাস্তুরাইজেশন ছাড়া দুধ তাই ছোট শিশুদের দেয়া উচিত না।

* মধু ও কিশমিশ
শিশু জন্মের পর পরই অভিভাবকরা তাকে মধু চাটতে দেন। কিন্তু বাচ্চারা এক বছর না হওয়া পর্যন্ত এটা কোনভাবে দেয়া উচিত নয়। শিশুর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত মধু তো দূরের কথা কোনও খাবার শিশুর মুখে দেয়া যাবে না। কারণ এক বছর পর্যন্ত শিশুর বটুলিজম হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়, আর মধু এই ছত্রাক বহন করে। এই বয়সে তাদের কিশমিশ খাওয়ানো ভালো নয়। কিছুটা বড় হওয়ার পর দিতে হবে। কারণ কিসমিসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বিদ্যমান থাকে। যা এক বছরের কম শিশু গ্রহণ করতে সক্ষম হয় না।

* ডিম
এই বয়সে ডিম কিছুটা অ্যালার্জি উৎপাদক খাবার। তবে সবার সমস্যা হবেই তা নয়। তাই পরিবারে যদি কারো ডিমে অ্যালার্জি থাকে সেক্ষেত্রে কিছুদিন অপেক্ষা করে দেয়াই উত্তম। যদি অ্যালার্জির কোন সমস্যা না থাকে তাহলে ডিম খেতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে দিতে হবে ধীরে ধীরে। এই বয়সে সবজির বড় টুকরো যেমন গাজর, শশা ইত্যাদির এবং ফলের বড় টুকরো যেমন আপেল, নাশপাতি ইত্যাদি দেয়া উচিত নয়। ভালভাবে রান্না করে ছোট টুকরো করে বা পিষে দিতে হবে।

* বাদাম
চিনাবাদাম বা এই ধরনের কিছু বাদাম অ্যালার্জির সৃষ্টি করে থাকে তাই সবচেয়ে ভালো হয় এসব খাবার শিশুর এক বছর বয়স হওয়ার আগে না দেয়া। আর যদি পরিবার কোন সদস্যের বাদামে অ্যালার্জি থাকে তাহলে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করে দিতে হবে বা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে দিতে হবে।