চলতি বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে চাঙাভাব ফিরবে!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:০৪:৪৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

২০১৭ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে চাঙাভাব ফিরে আসবে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ সংস্থার মতে, গেল বছর অর্থাৎ ২০১৬ সাল বিশ্ব অর্থনীতির জন্য নিষ্প্রভ ছিল। কিন্তু চলতি বছরে অর্থনৈতিক গতি বাড়বে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর। এতে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।

তবে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা, আফ্রিকার দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দল অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। বিভিন্ন দেশে যুদ্ধের কারণে উদ্বাস্তু ও অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা আইএমএফের।
আইএমএফ সোমবার বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে হালনাগাদ প্রতিবেদন ‘আপডেট টু দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ প্রকাশ করেছে। এর আগে এ সংস্থা গত বছরের অক্টোবরে দেওয়া এক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলেছিল, ২০১৭ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হবে।

নতুন এই প্রতিবেদনেও বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার একই রাখা হয়েছে। তবে এর পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জিডিপি ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়।

ভারতের প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে নরেন্দ্র মোদি সরকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সে দেশে অভ্যন্তরীণ ভোগ ব্যয় কমেছে। এর প্রভাবে প্রবৃদ্ধি কমবে। বলা হচ্ছে চলতি বছর ভারতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

আইএমএফ এর প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে বলা হয়েছে, নতুন প্রেসিডেন্ট আসায় সে দেশে এ বছর ২ দশমিক ৩ ও আগামী বছর ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।
এদিকে আইএমএফ মনে করছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। এতে গত ১৫ বছরের মধ্যে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো প্রথমবারের মতো তেলের উৎপাদন কমাতে সম্মত হয়। এর ফলে অর্থনৈতিক গতি বাড়বে রাশিয়ার।

প্রসঙ্গত, প্রতি তিন মাস পর হালনাগাদ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এবারে বলা হচ্ছে, ২০১৬ সালের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু উন্নত দেশ অর্থনীতিকে চাঙা করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে অর্থনৈতিক গতি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নীতি নির্ধারণ পরিবর্তন করা হলে প্রবৃদ্ধি অর্জনে ঝুঁকি থাকবে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চলতি বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে চাঙাভাব ফিরবে!

আপডেট সময় : ০৫:০৪:৪৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

২০১৭ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে চাঙাভাব ফিরে আসবে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ সংস্থার মতে, গেল বছর অর্থাৎ ২০১৬ সাল বিশ্ব অর্থনীতির জন্য নিষ্প্রভ ছিল। কিন্তু চলতি বছরে অর্থনৈতিক গতি বাড়বে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর। এতে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।

তবে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা, আফ্রিকার দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দল অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। বিভিন্ন দেশে যুদ্ধের কারণে উদ্বাস্তু ও অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা আইএমএফের।
আইএমএফ সোমবার বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে হালনাগাদ প্রতিবেদন ‘আপডেট টু দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ প্রকাশ করেছে। এর আগে এ সংস্থা গত বছরের অক্টোবরে দেওয়া এক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলেছিল, ২০১৭ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হবে।

নতুন এই প্রতিবেদনেও বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার একই রাখা হয়েছে। তবে এর পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জিডিপি ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়।

ভারতের প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে নরেন্দ্র মোদি সরকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সে দেশে অভ্যন্তরীণ ভোগ ব্যয় কমেছে। এর প্রভাবে প্রবৃদ্ধি কমবে। বলা হচ্ছে চলতি বছর ভারতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

আইএমএফ এর প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে বলা হয়েছে, নতুন প্রেসিডেন্ট আসায় সে দেশে এ বছর ২ দশমিক ৩ ও আগামী বছর ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।
এদিকে আইএমএফ মনে করছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। এতে গত ১৫ বছরের মধ্যে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো প্রথমবারের মতো তেলের উৎপাদন কমাতে সম্মত হয়। এর ফলে অর্থনৈতিক গতি বাড়বে রাশিয়ার।

প্রসঙ্গত, প্রতি তিন মাস পর হালনাগাদ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এবারে বলা হচ্ছে, ২০১৬ সালের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু উন্নত দেশ অর্থনীতিকে চাঙা করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে অর্থনৈতিক গতি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নীতি নির্ধারণ পরিবর্তন করা হলে প্রবৃদ্ধি অর্জনে ঝুঁকি থাকবে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।