নিউজ ডেস্ক:
আমাদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ বছর ধরে রাকসু নির্বাচন হয় না। তবে হাস্যকর বিষয় হলো- এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নির্বাচন হয়, মালিদেরও নির্বাচন হয়।
শিক্ষকদের নির্বাচন তো সব সময়ই হয়। অথচ ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীদের নির্বাচন হয় না। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
শিক্ষা দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন রাবি সংসদের সভাপতি এএম শাকিল হোসেন।
গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
শাকিল হোসেন আরও বলেন, আজ ১৭ই সেপ্টেম্বর। ওই দিন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুল প্রাণ দিয়েছিলেন আয়ুব সরকারের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে। ওইদিন নেতৃত্ব দিয়েছিল ছাত্র ইউনিয়ন। ওই সময় দাবি করা হয়েছিল অসাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতির, সর্বজনীন শিক্ষানীতি, গরীব মানুষের জন্য শিক্ষানীতি। কিন্তু সেই শিক্ষানীতি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার এতো বছর পরও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা তিন বছর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করেছিলাম। শিক্ষা আমাদের অধিকার, শিক্ষা কোনো পণ্য নয়। কিন্তু সেই দিনও প্রশাসন ও সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছিল।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস্ কমপ্লেক্সের পেছনে অবস্থিত দলীয় টেন্ট থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেয়।
সংগঠনটির সদস্য শাকিলা খাতুনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- ছাত্র ইউনিয়ন রাবি সংসদের সাবেক সভাপতি মিনহাজুল আবেদীন ও কার্যনির্বাহী সদস্য মহিউদ্দিন মানিক। এসময় বক্তারা শিক্ষার বাণিজ্যিকিকরণ বন্ধে বর্ধিত ফি ও সান্ধ্যকোর্স বাতিল এবং অবিলম্বে রাকসু চালুর দাবি জানান।
১৯৬২ সালের এই দিনে (১৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ নাম-না-জানা অনেকেই। তাদের স্মরণে এই দিনকে শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।