গাংনী প্রতিনিধিঃ অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে মসজিদের ইমাম তরুণীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনার মামলার পাঁচ আসামি পাঁচ মাতবর আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। গতকাল রবিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: ছানাউল্ল্যাহ’র আদালতে আত্মসমর্পন করেন তারা। বিচারক তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামীরা হলেন, তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের ইমান আলী শেখের ছেলে মোকাদ্দেস হোসেন, মোমিনুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে বাদল হোসেন, লাল চাঁদের ছেলে রিপন আলী ও ওয়াজেল হোসেনের ছেলে কালু হোসেন।
আসামী পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ইয়ারুল ইসলাম ও রাষ্টপক্ষে সি এস আই কামাল হোসেন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আসামিদের কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই রবিবার মেহেরপুরের আমলী আদালত ও দ্রত বিচার আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ইমাম নাজমুল হোসেনের পিতা দেলোয়ার হোসেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক মো: ছানাউল্ল্যাহ গাংনী থানাকে মামলাটি ফার্ষ্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, গত ১ জুলাই তরুণীর খালা রমেলা খাতুন আল কোরআনের একটি সূরা সংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মথুরাপুর গ্রামের তার নিজ বাড়িতে ডেকে নেন ইমাম নাজমুল হোসেনকে। ওই ইমামের সাথে রমেলা খাতুনের বোনের মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় স্থানীয় মাতবর মুকাদ্দেস আলী, মোমিনুল , রিপন হোসেন, বাদল হোসেন ও কালু সহ তাদের সহযোগীরা। পরে দুজনকে সড়কের পাশে একটি গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করে এবং জোর করে তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ের পরপরই একটি ফাঁকা ষ্টাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেন তারা। এদিকে নির্যাতনের চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে।