বুধবার | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীতে অফিসের হাটের বেদখল জায়গা উদ্ধারে জোর দাবি: আরইউটিডিপির বরাদ্দে আধুনিক স্থাপনা চায় পৌরবাসী Logo পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ Logo টেকনাফে গহীন পাহাড় থেকে নারী ও শিশুসহ ৭ জন উদ্ধার, আটক-৩

গাংনীতে ইমাম ও তরুণীকে নির্যাতন মামলায় পাঁচ মাতবর কারাগারে

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১০:৪৬:৩৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৪ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

গাংনী প্রতিনিধিঃ  অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে মসজিদের ইমাম তরুণীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনার মামলার পাঁচ আসামি পাঁচ মাতবর আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। গতকাল রবিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: ছানাউল্ল্যাহ’র আদালতে আত্মসমর্পন করেন তারা। বিচারক তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামীরা হলেন, তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের ইমান আলী শেখের ছেলে মোকাদ্দেস হোসেন, মোমিনুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে বাদল হোসেন, লাল চাঁদের ছেলে রিপন আলী ও ওয়াজেল হোসেনের ছেলে কালু হোসেন।
আসামী পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ইয়ারুল ইসলাম ও রাষ্টপক্ষে সি এস আই কামাল হোসেন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আসামিদের কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই রবিবার মেহেরপুরের আমলী আদালত ও দ্রত বিচার আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ইমাম নাজমুল হোসেনের পিতা দেলোয়ার হোসেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক মো: ছানাউল্ল্যাহ গাংনী থানাকে মামলাটি ফার্ষ্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, গত ১ জুলাই তরুণীর খালা রমেলা খাতুন আল কোরআনের একটি সূরা সংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মথুরাপুর গ্রামের তার নিজ বাড়িতে ডেকে নেন ইমাম নাজমুল হোসেনকে। ওই ইমামের সাথে রমেলা খাতুনের বোনের মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় স্থানীয় মাতবর মুকাদ্দেস আলী, মোমিনুল , রিপন হোসেন, বাদল হোসেন ও কালু সহ তাদের সহযোগীরা। পরে দুজনকে সড়কের পাশে একটি গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করে এবং জোর করে তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ের পরপরই একটি ফাঁকা ষ্টাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেন তারা। এদিকে নির্যাতনের চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান

গাংনীতে ইমাম ও তরুণীকে নির্যাতন মামলায় পাঁচ মাতবর কারাগারে

আপডেট সময় : ১০:৪৬:৩৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৪ আগস্ট ২০১৭

গাংনী প্রতিনিধিঃ  অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে মসজিদের ইমাম তরুণীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনার মামলার পাঁচ আসামি পাঁচ মাতবর আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। গতকাল রবিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: ছানাউল্ল্যাহ’র আদালতে আত্মসমর্পন করেন তারা। বিচারক তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামীরা হলেন, তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের ইমান আলী শেখের ছেলে মোকাদ্দেস হোসেন, মোমিনুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে বাদল হোসেন, লাল চাঁদের ছেলে রিপন আলী ও ওয়াজেল হোসেনের ছেলে কালু হোসেন।
আসামী পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ইয়ারুল ইসলাম ও রাষ্টপক্ষে সি এস আই কামাল হোসেন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আসামিদের কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই রবিবার মেহেরপুরের আমলী আদালত ও দ্রত বিচার আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ইমাম নাজমুল হোসেনের পিতা দেলোয়ার হোসেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক মো: ছানাউল্ল্যাহ গাংনী থানাকে মামলাটি ফার্ষ্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, গত ১ জুলাই তরুণীর খালা রমেলা খাতুন আল কোরআনের একটি সূরা সংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মথুরাপুর গ্রামের তার নিজ বাড়িতে ডেকে নেন ইমাম নাজমুল হোসেনকে। ওই ইমামের সাথে রমেলা খাতুনের বোনের মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় স্থানীয় মাতবর মুকাদ্দেস আলী, মোমিনুল , রিপন হোসেন, বাদল হোসেন ও কালু সহ তাদের সহযোগীরা। পরে দুজনকে সড়কের পাশে একটি গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করে এবং জোর করে তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ের পরপরই একটি ফাঁকা ষ্টাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেন তারা। এদিকে নির্যাতনের চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে।