শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে জলবায়ু পরিবর্তন সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo রাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি প্রকাশিত Logo বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পুরনের লক্ষে ১৩০টি টিউবওয়েল বিতরণ করেন মোঃ মতিউর রহমান Logo জকসু নিয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে আগ্রহী নন- জবি রেজিস্ট্রার Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন আর্টস ক্লাবের নেতৃত্বে সুমন ও ফুয়াদ Logo আরও ৩ লাখ টাকা জব্দ রিয়াদের বাড্ডার বাসা থেকে Logo ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৮৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি, প্রাণহানি ২ জনের Logo শান্তিপ্রতিষ্ঠায় কলা ও মানবিক অনুষদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন Logo পলাশবাড়ীতে দশ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার দুই Logo চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করলো বিএসএফ

চুয়াডাঙ্গায় জাল ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি নেওয়া দুই কনস্টবলকে আদালতে সোপর্দ জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১০:১২:০২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৬ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:  ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ কনস্টবল পদে চাকরি নেওয়ায় গ্রেফতার নারী পুলিশ সদস্যসহ দুই জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে আমলী চুয়াডাঙ্গা সদর আদালতের বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

বিকালে পুলিশ প্রহরায় তাদের চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

আসামীরা হল- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ানের কুড়ালগাছি বড়বলদিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে নাছিমা খাতুন কনস্টবল নং-১২৮১ ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ানের সরোজগঞ্জ জলিবিলা গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম কনস্টবল নং-৩৩৭৩।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি পুলিশ হেডকোয়াটার পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার গত ২০১৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কনস্টবল পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত করেন রবিউল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলমকে। দুই জনের পিতার মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই করার জন্য পুলিশ হেডকোয়াটার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। যাচাই শেষে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জানায় মুক্তিযোদ্ধা সনদ দুটি জাল ও ভুয়া।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানায় পুলিশের এসআই শহিদুজ্জামান খান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
গত শনিবার সন্ধায় অভিযুক্ত দুই সদস্যকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা শিরোমনি ৩য় আমর্ড ব্যাটালিয়ন থেকে ও যশোর জেলা থেকে গ্রেফতার করেন। নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে ঢাকা এসপিবিএন-২ কর্মরত রবিউল ইসলামকে।

২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি নাছিমা খাতুন মুক্তিযোদ্ধার কোটায় পুলিশ কনস্টবল পদে নির্বাচিত হন। তার পিতার মুক্তিযোদ্ধার সনদ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যাচাই শেষে জাল ও ভুয়া বলে কর্তৃপক্ষকে জানায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে জলবায়ু পরিবর্তন সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গায় জাল ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি নেওয়া দুই কনস্টবলকে আদালতে সোপর্দ জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ

আপডেট সময় : ১০:১২:০২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৬ আগস্ট ২০১৭

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:  ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ কনস্টবল পদে চাকরি নেওয়ায় গ্রেফতার নারী পুলিশ সদস্যসহ দুই জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে আমলী চুয়াডাঙ্গা সদর আদালতের বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

বিকালে পুলিশ প্রহরায় তাদের চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

আসামীরা হল- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ানের কুড়ালগাছি বড়বলদিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে নাছিমা খাতুন কনস্টবল নং-১২৮১ ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ানের সরোজগঞ্জ জলিবিলা গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম কনস্টবল নং-৩৩৭৩।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি পুলিশ হেডকোয়াটার পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার গত ২০১৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কনস্টবল পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত করেন রবিউল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলমকে। দুই জনের পিতার মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই করার জন্য পুলিশ হেডকোয়াটার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। যাচাই শেষে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জানায় মুক্তিযোদ্ধা সনদ দুটি জাল ও ভুয়া।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানায় পুলিশের এসআই শহিদুজ্জামান খান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
গত শনিবার সন্ধায় অভিযুক্ত দুই সদস্যকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা শিরোমনি ৩য় আমর্ড ব্যাটালিয়ন থেকে ও যশোর জেলা থেকে গ্রেফতার করেন। নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে ঢাকা এসপিবিএন-২ কর্মরত রবিউল ইসলামকে।

২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি নাছিমা খাতুন মুক্তিযোদ্ধার কোটায় পুলিশ কনস্টবল পদে নির্বাচিত হন। তার পিতার মুক্তিযোদ্ধার সনদ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যাচাই শেষে জাল ও ভুয়া বলে কর্তৃপক্ষকে জানায়।