রবিবার | ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কয়রায় জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী  গণসংযোগ Logo ইবিতে প্রশাসনের কমিটি থেকে পদত্যাগ বিএনপিপন্থী ৩ শিক্ষকের Logo খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা প্রত্যাশায় কয়রায় বিএনপির দোয়া মাহফিল Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  Logo পলাশবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মীর চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে জামায়াত নেতা আহত Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo নোবিপ্রবিতে শিবিরের ‘রান ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ভোমরায় বিশাল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার Logo জীবননগর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি মানিক, সম্পাদক রিপন

পর্নো জগতের ‘শিল্পী’ দাবি সুলতানের !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:০৪:১৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ইংরেজিতে স্নাতক শেষ করে চাকরি করেছেন দীর্ঘদিন। তারপর উত্তরাতে নিজের বাড়ির দুটি ফ্ল্যাটে পর্নো সাম্রাজ্য গড়ে তুলেন মো. ফুয়াদ বিন সুলতান (৩৩)। নিজেকে ওই জগতের একজন ‘শিল্পী’ হিসেবে দাবি করেন তিনি।

গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক সারোয়ার বিন কাশেম।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে উত্তরা মডেল টাউনের ওই বাসা থেকে সুলতানকে আটক করে র‌্যাব-১। এ সময় তার কাছ থেকে পাইরেটেড সিডি, পর্নোগ্রাফিতে ব্যবহৃত একটি ল্যপটপ ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ বেশকিছু ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

সুলতানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য তুলে ধরে সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, সুলতান ২০১১ সাল থেকে গুলশান ও উত্তরা এলাকাতে বাসা ভাড়া করে দেওয়ার ব্যবসা শুরু করে। সে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে বাসা ভাড়া করে দিয়ে কমিশন নিত। এরপর ২০১৪ সাল থেকে ইন্টারনেটের ব্যবসা শুরু করে। তখন থেকে পর্নোসাইটের ব্যবসাকে পেশা হিসেবে নেওয়ার চিন্তা করে। সেই চিন্তা থেকে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে দুটি ওয়েবসাইট চালু করে পর্নোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করে।

সুলতান মেয়েদের আপত্তিকর ছবি ও ফোন নাম্বার ওইসব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করত, তবে সেসব সাইটে সকলের প্রবেশের অনুমতি ছিল না। সেসব সাইটে প্রবেশের জন্য সে টাকার বিনিময়ে আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড সরবরাহ করতো। তারপর সাইটে নির্ধারিত দাম অনুযায়ি পছন্দ করলে তাদেরকে উত্তরার নিজ বাসাতে শারিরীক সম্পর্কের ব্যবস্থা করে দিতো। তার ফ্ল্যাটে আসা তরুণ তরুণীদের ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকও সরবরাহ করতো সে।

শারিরীক সম্পর্কের সেসব দৃশ্য গোপনে ভিডিও করতো ফুয়াদ। সেসব ভিডিও দিয়ে পরবর্তী সময়ে ব্ল্যাকমেইল করে পুনরায় শারিরীক সম্পর্কের জন্য বাধ্য করতো। সে মুখোশ পরিয়ে মেয়েদের অশালীন অবস্থায় পাশে বসিয়ে ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করতো।

র‌্যাব-১ অধিনায়ক বলেন, সুলতান তার ফ্ল্যাটে পর্নো ভিডিও তৈরি করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্নোসাইটের কাছে বিক্রি করতো। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে গোপনে ধারণ করা অশ্লিল ভিডিও কিনে নিয়ে নিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতো।

আটটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের পর্নো ব্যবসা একমাত্র সুলতানই করতো বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এভাবে সুলতান নিজেকে পর্নো সাম্রাজ্যের একজন শিল্পী বলে দাবি করত বলেও জানান সারোয়ার বিন কাশেম।

সেসব ওয়েবসাইটগুলো বন্ধ করা এবং সুলতানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী  গণসংযোগ

পর্নো জগতের ‘শিল্পী’ দাবি সুলতানের !

আপডেট সময় : ১১:০৪:১৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ইংরেজিতে স্নাতক শেষ করে চাকরি করেছেন দীর্ঘদিন। তারপর উত্তরাতে নিজের বাড়ির দুটি ফ্ল্যাটে পর্নো সাম্রাজ্য গড়ে তুলেন মো. ফুয়াদ বিন সুলতান (৩৩)। নিজেকে ওই জগতের একজন ‘শিল্পী’ হিসেবে দাবি করেন তিনি।

গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক সারোয়ার বিন কাশেম।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে উত্তরা মডেল টাউনের ওই বাসা থেকে সুলতানকে আটক করে র‌্যাব-১। এ সময় তার কাছ থেকে পাইরেটেড সিডি, পর্নোগ্রাফিতে ব্যবহৃত একটি ল্যপটপ ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ বেশকিছু ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

সুলতানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য তুলে ধরে সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, সুলতান ২০১১ সাল থেকে গুলশান ও উত্তরা এলাকাতে বাসা ভাড়া করে দেওয়ার ব্যবসা শুরু করে। সে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে বাসা ভাড়া করে দিয়ে কমিশন নিত। এরপর ২০১৪ সাল থেকে ইন্টারনেটের ব্যবসা শুরু করে। তখন থেকে পর্নোসাইটের ব্যবসাকে পেশা হিসেবে নেওয়ার চিন্তা করে। সেই চিন্তা থেকে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে দুটি ওয়েবসাইট চালু করে পর্নোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করে।

সুলতান মেয়েদের আপত্তিকর ছবি ও ফোন নাম্বার ওইসব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করত, তবে সেসব সাইটে সকলের প্রবেশের অনুমতি ছিল না। সেসব সাইটে প্রবেশের জন্য সে টাকার বিনিময়ে আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড সরবরাহ করতো। তারপর সাইটে নির্ধারিত দাম অনুযায়ি পছন্দ করলে তাদেরকে উত্তরার নিজ বাসাতে শারিরীক সম্পর্কের ব্যবস্থা করে দিতো। তার ফ্ল্যাটে আসা তরুণ তরুণীদের ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকও সরবরাহ করতো সে।

শারিরীক সম্পর্কের সেসব দৃশ্য গোপনে ভিডিও করতো ফুয়াদ। সেসব ভিডিও দিয়ে পরবর্তী সময়ে ব্ল্যাকমেইল করে পুনরায় শারিরীক সম্পর্কের জন্য বাধ্য করতো। সে মুখোশ পরিয়ে মেয়েদের অশালীন অবস্থায় পাশে বসিয়ে ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করতো।

র‌্যাব-১ অধিনায়ক বলেন, সুলতান তার ফ্ল্যাটে পর্নো ভিডিও তৈরি করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্নোসাইটের কাছে বিক্রি করতো। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে গোপনে ধারণ করা অশ্লিল ভিডিও কিনে নিয়ে নিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতো।

আটটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের পর্নো ব্যবসা একমাত্র সুলতানই করতো বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এভাবে সুলতান নিজেকে পর্নো সাম্রাজ্যের একজন শিল্পী বলে দাবি করত বলেও জানান সারোয়ার বিন কাশেম।

সেসব ওয়েবসাইটগুলো বন্ধ করা এবং সুলতানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।