শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

ভারতের নাকের ডগায় চীনা ডুবোজাহাজ, বেইজিংয়ের হুঙ্কার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৪৫:০৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ জুলাই ২০১৭
  • ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সিকিম সীমান্তে টানাপড়েনের মধ্যেই ভারত মহাসাগরে চীনা ডুবোজাহাজের আনাগোনা বেড়েছে। আর একই সঙ্গে চীনের সরকারি সংবাদপত্রে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য তুলে ধরে ভারতকে দেওয়া হল যুদ্ধের হুমকি। যা দু’দেশের সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনার পারদ ছড়িয়েছে।

সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন উপগ্রহের পাঠানো ছবি তথ্য দিয়েছে, ভারত মহাসাগর এলাকায় সক্রিয় রয়েছে অন্তত ১৪টি চীনা যুদ্ধজাহাজ। এগুলির কয়েকটি অত্যাধুনিক লুয়াং-৩ বা কুনমিং শ্রেণির ডেস্ট্রয়ার। যেগুলি থেকে নিখুঁত নিশানা স্থির করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে।

এরই মধ্যে ভারত মহাসাগরে ডিজেল চালিত ইউয়ান শ্রেণির ডুবোজাহাজ পাঠিয়েছে চীন। তবে এটিই প্রথম নয়, বিভিন্ন সূত্রে ভারতীয় নৌ-বাহিনী জানতে পেরেছে, ভারত মহাসাগরে ভারতের জলসীমার কাছাকাছি এসে নজরদারি চালাতে সাতটি ডুবোজাহাজ পাঠিয়েছে বেইজিং।

২০১৩-১৪ সাল নাগাদ ভারতের জলসীমার আশেপাশে ২টি চীনা রণতরী ও ডুবোজাহাজ নজরে এসেছিল। তার পর থেকে ভারত মহাসাগরে চীনা নৌ বাহিনীর তৎপরতা বেড়েই চলেছে।

সমুদ্রে এভাবে শক্তি দেখানোর পাশাপাশি যুদ্ধের আবহ তৈরি করেও চাপ বাড়াতে চাইছে বেইজিং। আর সে জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে সরকারি সংবাদ মাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’কে।

সিকিম সীমান্তের ডোকা লা-য় প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে মুখোমুখি দু’দেশের সেনা। দু’পক্ষই নিজেদের জমি শক্ত করতে সেনা বাড়িয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি সংবাদপত্রে চীনা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ হু জিয়াং মন্তব্য করেছেন, ‘‘ভারত যদি চীনের জমি থেকে সেনা না সরায়, তা হলে চীন বাধ্য হয়ে সামরিক ব্যবস্থা নিতে পারে। ’’ তাঁর মতে, ভারত আসলে আমেরিকাকে দেখাতে চাইছে, তারা চীনকে আটকে রাখতে পারে।

অবশ্য জিয়াং-এর দাবি, ‘‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ শরিক মনে করেন না। কারণ তিনি জানেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়ার মতো শক্তিশালী নয় দিল্লি। ’’

সিকিম সীমান্তে টানাপড়েনের মধ্যে ১৯৬২ সালের যুদ্ধের কথা মনে করিয়েছিল চীন। তার জবাব দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘বেইজিংয়ের বোঝা উচিত ভারত সেই ৬২ সালে পড়ে নেই। ২০১৭ সালের ভারত অনেক আলাদা।

এই প্রসঙ্গেই হু জিয়াং-এর দাবি, চীন ও ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার যে ফারাক, তা ৬২ সালের থেকেও এখন অনেক বেশি। নিজেদের ভাল চাইলে ভারত শান্ত থাকবে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং শুয়াং ডোকা লা-য় চিনা সেনাকে রাস্তা গড়তে বাধা দেওয়ায় ভারতীয় সেনার পদক্ষেপকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে আখ্যা দেন। তার পরে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনার বহর বেড়েই চলেছে।

আজ ভারতে চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ ঝাউউই গোটা পরিস্থিতিকে ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘‘সেনা সরানোর প্রশ্ন নিয়ে কোনও সমঝোতা হবে না। বল এখন দিল্লির কোর্টে।

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর চাপ বাড়িয়েছে কংগ্রেস। আজ কংগ্রেস বলেছে, সিকিম সীমান্তে চিনা অনুপ্রবেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার। কূটনীতির পথে সমাধান খুঁজতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন দলের মুখপাত্র অজয় মাকেন।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

ভারতের নাকের ডগায় চীনা ডুবোজাহাজ, বেইজিংয়ের হুঙ্কার !

আপডেট সময় : ০২:৪৫:০৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সিকিম সীমান্তে টানাপড়েনের মধ্যেই ভারত মহাসাগরে চীনা ডুবোজাহাজের আনাগোনা বেড়েছে। আর একই সঙ্গে চীনের সরকারি সংবাদপত্রে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য তুলে ধরে ভারতকে দেওয়া হল যুদ্ধের হুমকি। যা দু’দেশের সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনার পারদ ছড়িয়েছে।

সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন উপগ্রহের পাঠানো ছবি তথ্য দিয়েছে, ভারত মহাসাগর এলাকায় সক্রিয় রয়েছে অন্তত ১৪টি চীনা যুদ্ধজাহাজ। এগুলির কয়েকটি অত্যাধুনিক লুয়াং-৩ বা কুনমিং শ্রেণির ডেস্ট্রয়ার। যেগুলি থেকে নিখুঁত নিশানা স্থির করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে।

এরই মধ্যে ভারত মহাসাগরে ডিজেল চালিত ইউয়ান শ্রেণির ডুবোজাহাজ পাঠিয়েছে চীন। তবে এটিই প্রথম নয়, বিভিন্ন সূত্রে ভারতীয় নৌ-বাহিনী জানতে পেরেছে, ভারত মহাসাগরে ভারতের জলসীমার কাছাকাছি এসে নজরদারি চালাতে সাতটি ডুবোজাহাজ পাঠিয়েছে বেইজিং।

২০১৩-১৪ সাল নাগাদ ভারতের জলসীমার আশেপাশে ২টি চীনা রণতরী ও ডুবোজাহাজ নজরে এসেছিল। তার পর থেকে ভারত মহাসাগরে চীনা নৌ বাহিনীর তৎপরতা বেড়েই চলেছে।

সমুদ্রে এভাবে শক্তি দেখানোর পাশাপাশি যুদ্ধের আবহ তৈরি করেও চাপ বাড়াতে চাইছে বেইজিং। আর সে জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে সরকারি সংবাদ মাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’কে।

সিকিম সীমান্তের ডোকা লা-য় প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে মুখোমুখি দু’দেশের সেনা। দু’পক্ষই নিজেদের জমি শক্ত করতে সেনা বাড়িয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি সংবাদপত্রে চীনা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ হু জিয়াং মন্তব্য করেছেন, ‘‘ভারত যদি চীনের জমি থেকে সেনা না সরায়, তা হলে চীন বাধ্য হয়ে সামরিক ব্যবস্থা নিতে পারে। ’’ তাঁর মতে, ভারত আসলে আমেরিকাকে দেখাতে চাইছে, তারা চীনকে আটকে রাখতে পারে।

অবশ্য জিয়াং-এর দাবি, ‘‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ শরিক মনে করেন না। কারণ তিনি জানেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়ার মতো শক্তিশালী নয় দিল্লি। ’’

সিকিম সীমান্তে টানাপড়েনের মধ্যে ১৯৬২ সালের যুদ্ধের কথা মনে করিয়েছিল চীন। তার জবাব দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘বেইজিংয়ের বোঝা উচিত ভারত সেই ৬২ সালে পড়ে নেই। ২০১৭ সালের ভারত অনেক আলাদা।

এই প্রসঙ্গেই হু জিয়াং-এর দাবি, চীন ও ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার যে ফারাক, তা ৬২ সালের থেকেও এখন অনেক বেশি। নিজেদের ভাল চাইলে ভারত শান্ত থাকবে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং শুয়াং ডোকা লা-য় চিনা সেনাকে রাস্তা গড়তে বাধা দেওয়ায় ভারতীয় সেনার পদক্ষেপকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে আখ্যা দেন। তার পরে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনার বহর বেড়েই চলেছে।

আজ ভারতে চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ ঝাউউই গোটা পরিস্থিতিকে ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘‘সেনা সরানোর প্রশ্ন নিয়ে কোনও সমঝোতা হবে না। বল এখন দিল্লির কোর্টে।

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর চাপ বাড়িয়েছে কংগ্রেস। আজ কংগ্রেস বলেছে, সিকিম সীমান্তে চিনা অনুপ্রবেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার। কূটনীতির পথে সমাধান খুঁজতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন দলের মুখপাত্র অজয় মাকেন।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা