শিরোনাম :
Logo আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি Logo সিরাজগঞ্জে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত Logo শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সাময়িকী  ” মুক্তবাক” এর মোড়ক উন্মোচন Logo খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড Logo জসিম সভাপতি, ফখরুল সম্পাদক দীর্ঘ ছয় বছর পর চাঁদপুর জেলা সমিতি ইউকের নির্বাচন সম্পন্ন Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা

ঝিনাইদহে বালক স্কুলের ছাত্রকে লোহার পাইপ দিয়ে ছাত্রকে পেটালেন শিক্ষক

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৭:২০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহে স্কুল ড্রেস না পরে আসায় লোহার পাইপ দিয়ে সাদমান সাইফ (শরন) নামে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়েছেন শিক্ষক কামাল হোসেন। রোববার ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ছাত্রের অভিভাবক বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।

সাদমান সাইফ শরণ ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এতিমখানা মোড় এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে। ছাত্রের মা শাহেদা খাতুন অভিযোগ করেন, তার ছেলে শ্রেণী শিক্ষক পলাশ কুমারের কাছ থেকে রোববার ছুটি নিয়েছিল। ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য সে ওই দিন স্কুল ড্রেস না পড়ে স্কুলে যায়।

এ সময় সহকারী শিক্ষক কামাল হোসেন তাকে ডেকে নিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে মারপিট করেন। মারের চোটে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল-কালচে দাগ পড়ে যায়। এ ঘটনার দুদিন পুর্বেও ক্লাসে জোরে কথা বলা নিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে সাদমান সাইফ শরন কে বেধড়ক পিটিয়েছে স্কুলের বাংলা শিক্ষক কামাল হোসেন। পরে স্কুল থেকে শরণকে বাড়িতে এনে চিকিৎসা দেয় হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি সমন্বয় হয়ে গেছে। এনিয়ে আর রিপোর্ট করার দরকার নেই বলে সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার অধিকারী বলেন, তিনি বিষয়টি জানার পর ওই শিক্ষককে ডেকে পাঠান। তাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় সরকারের নির্দেশ আছে কোন শিক্ষার্থীকে মারপিট করা যাবে না।

কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও প্রধান শিক্ষক জানান। এদিকে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক প্রায়ই শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। সামান্য ত্রুটি পেলেও কান ধরিয়ে রোদের মধ্যে দাড় করিয়ে রাখেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি

ঝিনাইদহে বালক স্কুলের ছাত্রকে লোহার পাইপ দিয়ে ছাত্রকে পেটালেন শিক্ষক

আপডেট সময় : ০৭:৪৭:২০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহে স্কুল ড্রেস না পরে আসায় লোহার পাইপ দিয়ে সাদমান সাইফ (শরন) নামে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়েছেন শিক্ষক কামাল হোসেন। রোববার ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ছাত্রের অভিভাবক বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।

সাদমান সাইফ শরণ ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এতিমখানা মোড় এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে। ছাত্রের মা শাহেদা খাতুন অভিযোগ করেন, তার ছেলে শ্রেণী শিক্ষক পলাশ কুমারের কাছ থেকে রোববার ছুটি নিয়েছিল। ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য সে ওই দিন স্কুল ড্রেস না পড়ে স্কুলে যায়।

এ সময় সহকারী শিক্ষক কামাল হোসেন তাকে ডেকে নিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে মারপিট করেন। মারের চোটে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল-কালচে দাগ পড়ে যায়। এ ঘটনার দুদিন পুর্বেও ক্লাসে জোরে কথা বলা নিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে সাদমান সাইফ শরন কে বেধড়ক পিটিয়েছে স্কুলের বাংলা শিক্ষক কামাল হোসেন। পরে স্কুল থেকে শরণকে বাড়িতে এনে চিকিৎসা দেয় হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি সমন্বয় হয়ে গেছে। এনিয়ে আর রিপোর্ট করার দরকার নেই বলে সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার অধিকারী বলেন, তিনি বিষয়টি জানার পর ওই শিক্ষককে ডেকে পাঠান। তাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় সরকারের নির্দেশ আছে কোন শিক্ষার্থীকে মারপিট করা যাবে না।

কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও প্রধান শিক্ষক জানান। এদিকে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক প্রায়ই শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। সামান্য ত্রুটি পেলেও কান ধরিয়ে রোদের মধ্যে দাড় করিয়ে রাখেন।