নিউজ ডেস্ক:
ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রবলভাবেই সামনে এসে পড়েছে বিখ্যাত অভিনেতা রজনীকান্তের নাম। অটলবিহারী বাজপেয়ীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এক ব্যক্তিকেই নাকি রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঠাতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি। সেই কারণেই দিল্লিতে জোর চর্চায় চলছে তামিল চলচ্চিত্রের এই জীবন্ত কিংবদন্তির নাম।
শাসক দলের পক্ষে তাকে প্রার্থী করা হলে বেশ কয়েকটি সুবিধার কথা কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেই। কারণ উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের নির্বাচনের বিপুল জয়ের পরও ইলেক্টোরাল কলেজে ৫০ শতাংশ ভোটের গন্ডি পার করতে পারেনি বিজেপি। কাজেই বাইরের কিছু সমর্থন প্রয়োজন কেন্দ্রের শাসক জোটের। তার অন্যতম সেরা উপায় হচ্ছে রজনীকান্তকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া।
এর ফলে এডিএমকে তো বটেই, এমনকী ডিএমকে–কেও এনডিএ জোটের সঙ্গেই ভোট দিতে হবে। কারণ তামিল রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে সমস্ত তামিল দলকেই রজনীকান্তকে সমর্থন করতে হবে। পূরণ হয়ে যাবে ভোটের ঘাটতিও।
জনপ্রিয়তার কারণে অতীতে অনেকবার বহু তামিল দলের পক্ষ থেকে রজনীকান্তকে রাজনীতিতে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সমস্ত অনুরোধই তিনি সবিনয়ে প্রত্যাখান করেছেন। এমনকী সক্রিয়ভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে কোনওদিন প্রচারও করেননি।
যদিও তামিলনাড়ুতে রুপালি পর্দার জনপ্রিয় নায়ক–নায়িকাদের রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ করা অত্যন্ত স্বাভাবিক এক ঘটনা। এম জি রামচন্দ্রন, করুণানিধি, জয়ললিতা, সকলেই রাজনীতিতে আসার আগে চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। কিন্তু রজনীকান্ত কোনওদিনই রাজনীতির পথ মাড়াননি। শেষ পর্যন্ত তিনি কি করেন সেতো সময়ই বলেদিবে। হাজার হোক, দেশের রাষ্ট্রপতির পদ বলে কথা।