নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ:সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে বুধবার (২৩জুলাই) বিকেলে রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম লিটনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিয়ালকোল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হক।
সভায় স্থানীয় জনগণ তাদের মতামতে রাস্তাঘাটের নতুন নির্মাণ ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তারা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম লিটনের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তিনি প্রতি বছর ইউপি সদস্য হিসেবে নির্ধারিত সম্মানী গ্রহণ না করে সেই অর্থ দিয়ে এলাকার ভ্যানচালক, দিনমজুরসহ ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান করে আসছেন। স্থানীয়রা আরও জানান, লিটন সদস্য বিগত সময়গুলোতে এলাকায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন।
তিনি সবসময় জনসাধারণের সমস্যা সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের জন্য গ্রামীণ শালিস ও ন্যায়ের মাধ্যমে পাশে থাকার চেষ্টা করেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউপি সদস্য লিটন বিগত সময়ের বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো উপস্থাপন করেন। আসন্ন প্রকল্প ও জনগণের চাহিদাকৃত চাওয়া পাওয়া পূরণে আশ্বস্ত করে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিয়ালকোল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক নাজমুল হক বলেন, “পরিষদ সবার জন্য উন্মুক্ত। ইউনিয়নের উন্নয়ন, বরাদ্দের স্বচ্ছতা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে শতভাগ সততা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “জনগণের সমস্যা সমাধানে অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে কাজ করা হবে এবং বরাদ্দের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এছাড়া জন্মমৃত্যু নিবন্ধনে যথাসময়ে সম্পন্ন এবং এবিষয়ে পাড়া মহল্লায় সচেতন করার জন্য আহ্বান করেন।
সভা জুড়ে জনগণের অংশগ্রহণ ও প্রশংসনীয় বক্তব্যে উঠে আসে জনঅংশগ্রহণমূলক স্বচ্ছ পরিষদ গঠনের প্রত্যাশা সকলেই তুলে ধরেন।
ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল হুদা, ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম, সজল, আশরাফুল ইসলাম, তারা, রেহানা, শিয়ালকোল বাজার কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আলী, ওয়ার্ড বিএনপির সাবকে সভাপতি আকবর আলী, নুর হোসেন, বিএনপি নেতা হযরত আলী, শফি, জিন্নাহ, হাজী ইসহাক, ছাত্র প্রতিনিধি, মাদ্রাসা মসজিদের ইমামসহ প্রায় সাত শতাধিক মানুষ অংশগ্রহন করেন।