শিরোনাম :
Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল Logo তালাকের ক্ষোভে জামাতার বিরুদ্ধে শাশুড়ির ধর্ষণ মামলা Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫: কচুয়ায় শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া Logo ইবিতে জুলাই অভ্যুত্থান দিবসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা Logo সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই চাঁদাবাজ আটক চুয়াডাঙ্গা শহরে Logo চুয়াডাঙ্গা জেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামে শহীদ মাসুদ এবং শহীদ শুভ উভয়ের কবরস্থানে পুষ্পমাল্য অর্পণ Logo অসুস্থ স্বামীকে বাঁচাতে সমাজের সহানুভূতি চান রানু বেগম Logo শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত Logo আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামাব না : শামীমা ইয়াছমিন Logo বোমা হামলায় পৃথিবীতে যত লোক মারা যায় তারচেয়ে বেশি বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় -পঞ্চগড়ে তারিকুল ইসলাম

অসুস্থ স্বামীকে বাঁচাতে সমাজের সহানুভূতি চান রানু বেগম

দীর্ঘ সাত বছর ধরে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত দুলাল মিয়া। তার পরের সময়টা যেন আরও কঠিনতর হয়ে ওঠে—ঘন ঘন স্ট্রোক এবং নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন এই মানুষটি। অথচ এই কঠিন সময়েও তার পাশে পাহাড়সম হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তার জীবনসঙ্গিনী রানু বেগম। তার বাড়ি কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর মিয়াজী বাড়ি।

নিজ হাতে স্বামীর সেবা করছেন, প্রতিদিন শরীরের মালিশ, মুখে খাবার তুলে দেওয়া, ওষুধ খাওয়ানো—এসবই এখন তার জীবনচিত্র। দুলাল মিয়ার এখন দুই হাতই একমাত্র ভরসা, তিনি বিছানায় বসেই কষ্টে দিন পার করছেন।
বর্তমানে তার শরীরের অর্ধেক পক্ষঘাতগ্রস্ত। চলাফেরা তো দূরের কথা, বিছানা থেকে উঠতে পারেন না, দু’হাত দিয়েই সামান্য ভর দিয়ে বসে থাকেন। নিজের কাজ তো করতেই পারেন না, এমনকি নিজের কষ্টটাও ঠিক করে প্রকাশ করতে পারেন না।

একদিকে দুই সন্তান—শুভ ও মোহাম্মদ আলী, অন্যদিকে চরম অসুস্থ স্বামী—সবকিছু নিয়ে রানু বেগম যেন একা এক যোদ্ধা।

রানু বেগম বলেন,

> “আমার স্বামী অসুস্থ হলেও আমি ওনাকে ফেলে যেতে পারি না। দিনরাত ওনার সেবা করি, আল্লাহর উপর ভরসা করে বেঁচে আছি।”

অপরদিকে ছোট্ট দুই সন্তান বাবার এমন অবস্থা দেখে চোখের পানি আটকে রাখতে পারে না। শুভ ও মোহাম্মদ আলী বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে কাদছেন প্রতিনিয়ত।

দুলাল মিয়ার একসময় ছোটখাটো দোকান ছিল, কিন্তু দীর্ঘ রোগভোগে সব শেষ হয়ে গেছে। বাড়ির জমি বিক্রি করেও চিকিৎসা চালানো সম্ভব হয়নি। সাম্প্রতিক এক অপারেশনের পর থেকে যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েছেন তিনি।

স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন,

“দুলাল ভাই খুব কষ্টে আছে। তার পরিবার খুব অসহায়। আমাদের সমাজের বিত্তবানরা একটু এগিয়ে এলে হয়তো তার চিকিৎসা সম্ভব।”

অল্প কিছুদিন আগে এক জরুরি অপারেশন করানো হয়, কিন্তু চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে ঘরের জিনিসপত্র পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে হয় রানু বেগমকে। এখন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। সমাজের হৃদয়বান মানুষদের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি।

এই মুহূর্তে রানু বেগম কারো কাছ থেকে করুণা নয়, মানবিক সহযোগিতা চান। একটি পরিবার, একটি জীবন, কিছু স্বপ্ন—সব আজ ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে।সহযোগিতার হাত বাড়ালে হয়তো দুলাল মিয়ার জীবনটা আরও কিছুদিনের জন্য হলেও শান্তিতে কাটতে পারে।

যোগাযোগঃদুলাল মিয়ার স্থায়ী ঠিকানা: দৌলতপুর মিয়াজী বাড়ি, ৯নং কড়ইয়া ইউনিয়ন, কচুয়া, চাঁদপুর।
বাবার নামঃ মৃত সেকান্তর মিয়া।
স্ত্রীঃ রানু বেগম,
৩ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তানের জনক।
রানু বেগমের পিত্রালয়: দহুলিয়া গ্রাম, পালাখাল মডেল ইউনিয়ন, কচুয়া।
বিকাশঃমোবাইলঃ ০১৮৬৪৫৬২০১৬

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল

অসুস্থ স্বামীকে বাঁচাতে সমাজের সহানুভূতি চান রানু বেগম

আপডেট সময় : ০২:০৫:০৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫

দীর্ঘ সাত বছর ধরে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত দুলাল মিয়া। তার পরের সময়টা যেন আরও কঠিনতর হয়ে ওঠে—ঘন ঘন স্ট্রোক এবং নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন এই মানুষটি। অথচ এই কঠিন সময়েও তার পাশে পাহাড়সম হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তার জীবনসঙ্গিনী রানু বেগম। তার বাড়ি কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর মিয়াজী বাড়ি।

নিজ হাতে স্বামীর সেবা করছেন, প্রতিদিন শরীরের মালিশ, মুখে খাবার তুলে দেওয়া, ওষুধ খাওয়ানো—এসবই এখন তার জীবনচিত্র। দুলাল মিয়ার এখন দুই হাতই একমাত্র ভরসা, তিনি বিছানায় বসেই কষ্টে দিন পার করছেন।
বর্তমানে তার শরীরের অর্ধেক পক্ষঘাতগ্রস্ত। চলাফেরা তো দূরের কথা, বিছানা থেকে উঠতে পারেন না, দু’হাত দিয়েই সামান্য ভর দিয়ে বসে থাকেন। নিজের কাজ তো করতেই পারেন না, এমনকি নিজের কষ্টটাও ঠিক করে প্রকাশ করতে পারেন না।

একদিকে দুই সন্তান—শুভ ও মোহাম্মদ আলী, অন্যদিকে চরম অসুস্থ স্বামী—সবকিছু নিয়ে রানু বেগম যেন একা এক যোদ্ধা।

রানু বেগম বলেন,

> “আমার স্বামী অসুস্থ হলেও আমি ওনাকে ফেলে যেতে পারি না। দিনরাত ওনার সেবা করি, আল্লাহর উপর ভরসা করে বেঁচে আছি।”

অপরদিকে ছোট্ট দুই সন্তান বাবার এমন অবস্থা দেখে চোখের পানি আটকে রাখতে পারে না। শুভ ও মোহাম্মদ আলী বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে কাদছেন প্রতিনিয়ত।

দুলাল মিয়ার একসময় ছোটখাটো দোকান ছিল, কিন্তু দীর্ঘ রোগভোগে সব শেষ হয়ে গেছে। বাড়ির জমি বিক্রি করেও চিকিৎসা চালানো সম্ভব হয়নি। সাম্প্রতিক এক অপারেশনের পর থেকে যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েছেন তিনি।

স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন,

“দুলাল ভাই খুব কষ্টে আছে। তার পরিবার খুব অসহায়। আমাদের সমাজের বিত্তবানরা একটু এগিয়ে এলে হয়তো তার চিকিৎসা সম্ভব।”

অল্প কিছুদিন আগে এক জরুরি অপারেশন করানো হয়, কিন্তু চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে ঘরের জিনিসপত্র পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে হয় রানু বেগমকে। এখন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। সমাজের হৃদয়বান মানুষদের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি।

এই মুহূর্তে রানু বেগম কারো কাছ থেকে করুণা নয়, মানবিক সহযোগিতা চান। একটি পরিবার, একটি জীবন, কিছু স্বপ্ন—সব আজ ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে।সহযোগিতার হাত বাড়ালে হয়তো দুলাল মিয়ার জীবনটা আরও কিছুদিনের জন্য হলেও শান্তিতে কাটতে পারে।

যোগাযোগঃদুলাল মিয়ার স্থায়ী ঠিকানা: দৌলতপুর মিয়াজী বাড়ি, ৯নং কড়ইয়া ইউনিয়ন, কচুয়া, চাঁদপুর।
বাবার নামঃ মৃত সেকান্তর মিয়া।
স্ত্রীঃ রানু বেগম,
৩ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তানের জনক।
রানু বেগমের পিত্রালয়: দহুলিয়া গ্রাম, পালাখাল মডেল ইউনিয়ন, কচুয়া।
বিকাশঃমোবাইলঃ ০১৮৬৪৫৬২০১৬