সোমবার | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাবি ছাত্রদলের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo জীবননগরে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo খুবিতে মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন  Logo সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার পলাশবাড়ীর গ্রামের বাড়ীতে শোকের মাতম Logo চাঁদপুরে যানজট নিরসনে রোড ডিভাইডার স্থাপন, পথচারী ও জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি Logo পলাশবাড়ীতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে উপজেলা প্রশাসনের শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালন Logo জাকির হোসেন বেপারি বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক Logo শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে চাঁদপুরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা Logo পলাশবাড়ীতে গাছ কর্তন ও নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে Logo শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ঢাকার মিরপুরে প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি

বেরোবিতে চালু হচ্ছে রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:০৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮৫৭ বার পড়া হয়েছে

মো. আজিজুর রহমান বেরোবি প্রতিনিধি :

পরীক্ষায় অধিকতর স্বচ্ছতা, খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন ও শিক্ষার্থী হয়রানি বন্ধে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) চালু হচ্ছে রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও ছাত্র উপদেষ্টা ড.মো.ইলিয়াছ প্রামানিক।

তিনি জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ফাইনাল পরীক্ষায় রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর কোন পরীক্ষক বুঝতে পারবে না খাতা কোন শিক্ষার্থীর। এতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয় পরীক্ষায় নাম্বার কম বা বেশী দেয়ার তা আর থাকবে না।

এদিকে রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, প্রায় প্রতিটি বিভাগে কিছু শিক্ষক রয়েছে যারা তাদের পছন্দের শিক্ষার্থীকে নম্বর বেশি দিয়ে থাকেন। আবার বাহ্যিক কোন বিষয়ে শিক্ষকের সাথে মতের অমিল হলে তিনি রোল নম্বর মার্ক করে পরীক্ষায় নম্বর কম দিয়ে থাকেন। তখান ভালো লিখেও আশানুরুপ ফল পাওয়া যায় না। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে এমন অভিযোগ থাকলেও কিছু করার ছিলো না। আমরা আশা করছি এবার রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন চালু হলে আমরা প্রত্যেক শিক্ষার্থী যথাযথভাবে খাতা মূল্যায়ন এর নম্বর পাবো।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.তানজিউল ইসলাম জীবন এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড.রশীদুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহ এর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর যৌন নিপিড়ন ও ফলাফল টেম্পারিংয়ের অভিযোগপত্র জমা দেন ভুক্তভুগী শিক্ষার্থীরা। এরপর একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাবি ছাত্রদলের আলোকচিত্র প্রদর্শনী

বেরোবিতে চালু হচ্ছে রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন

আপডেট সময় : ০৬:১৭:০৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

মো. আজিজুর রহমান বেরোবি প্রতিনিধি :

পরীক্ষায় অধিকতর স্বচ্ছতা, খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন ও শিক্ষার্থী হয়রানি বন্ধে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) চালু হচ্ছে রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও ছাত্র উপদেষ্টা ড.মো.ইলিয়াছ প্রামানিক।

তিনি জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ফাইনাল পরীক্ষায় রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর কোন পরীক্ষক বুঝতে পারবে না খাতা কোন শিক্ষার্থীর। এতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয় পরীক্ষায় নাম্বার কম বা বেশী দেয়ার তা আর থাকবে না।

এদিকে রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, প্রায় প্রতিটি বিভাগে কিছু শিক্ষক রয়েছে যারা তাদের পছন্দের শিক্ষার্থীকে নম্বর বেশি দিয়ে থাকেন। আবার বাহ্যিক কোন বিষয়ে শিক্ষকের সাথে মতের অমিল হলে তিনি রোল নম্বর মার্ক করে পরীক্ষায় নম্বর কম দিয়ে থাকেন। তখান ভালো লিখেও আশানুরুপ ফল পাওয়া যায় না। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে এমন অভিযোগ থাকলেও কিছু করার ছিলো না। আমরা আশা করছি এবার রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন চালু হলে আমরা প্রত্যেক শিক্ষার্থী যথাযথভাবে খাতা মূল্যায়ন এর নম্বর পাবো।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.তানজিউল ইসলাম জীবন এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড.রশীদুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহ এর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর যৌন নিপিড়ন ও ফলাফল টেম্পারিংয়ের অভিযোগপত্র জমা দেন ভুক্তভুগী শিক্ষার্থীরা। এরপর একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।