কয়রায় অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ২ নং কয়রা গ্রামের মুনসুর ঢালীর ছেলে মোঃ হারুন অর রশিদ ঢালী। ২ মার্চ (রোববার) সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রেসকাবে উপস্থিত হয়ে লিখিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি জানান।
একই গ্রামের মৃত আক্কাজ আলী খাঁর ছেলে আব্দুল কাদের তার নিজ ফেসবুক আইডি থেকে আমার নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছে। যা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ফেসবুক আইডিতে অভিযোগ করা হয়েছে আমি তার বাড়ি ঘর দখল করে নিয়েছি। যা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে বিগত ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পর থেকে সে নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্ময়ক দাবি করে তার ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন রকম তথ্য সরবরাহ করে। এক পর্যায়ে মুঠো ফোনে সে আমাকে আমার নামীয় খরিদকৃত জমি থেকে একাংশ তার নামে ও তার মায়ের নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে।
আমি অস্বীকৃতি জানানে সে আমার নামে কয়রা কোর্টে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং সিআর-৬৯৭। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই এর তদন্তনাধীন আছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভুমি দস্যু ও প্রতারক আব্দুল কাদেরের কিছু কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরেন। যেমন তার আপন ভাই আব্দুল গফুর খাঁর নিকট জমি দেয়ার নাম করে নগদ ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা নিয়ে ১০০ টাকার ৩ টা স্টাম্পে জমি বিক্রয়ের বায়না পত্র করে। আব্দুল গফুর ঘোরামীর স্ত্রী মোছাঃ আমেনা খাতুনের নিকট থেকে ১০০ টাকার ৪ টি ও ৫০ টাকার ১ টি স্টাম্পে নিজ স্বাক্ষর দিয়া বায়না পত্র করে ৩ লাখ টাকা গ্রহন করে।
মৃত দবির উদ্দিনএর ছেলে আব্দুস সামাদের এর নিকট থেকে ১০০ টাকার ৩ টা স্টাম্পে নিজ সাক্ষর করে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা গ্রহন করে বায়না পত্র করে। এছাড়া মদিনাবাদ গ্রামের আব্দুস সবুর তরফদারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (সাদ্দাম) এর নিকট থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে ৩ টি ১০০ টাকার স্টাম্পে সাক্ষর করে স্বপরিবারে না দাবিপত্র লিখে দেয়। অদ্যবধি কাউকে কোন টাকা বা জমি নাদিয়ে দির্ঘদিন আতœগোপনে আছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই প্রতারক ও মিথ্যা বাদী যাতে আইনের আওতায় আসে সে জন্য প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।