নিউজ ডেস্ক:
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বন্ধ বিমান কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারকে এবার শেয়ারের বিনিময়ে উড়োজাহাজ কেনার অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত বুধবার অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
আবার দীর্ঘদিন বিমান পরিবহন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দেশের স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড এয়ারকে দুর্বল বা জাঙ্ক কোম্পানির জন্য নির্ধারিত ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করেছে। এ কারণে কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন নিষ্পত্তিতে ১০ দিন সময় লাগে। পাশাপাশি নিয়ম অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে ঋণসুবিধাও বন্ধ রয়েছে।
কার্যক্রম বন্ধ থাকা ও ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত এই কোম্পানিকেই বিএসইসি নতুন করে ৩১ কোটি ২৮ লাখ ৮ হাজারের বেশি শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে এ নতুন শেয়ার ইস্যু করে কোম্পানিটি প্রায় ৩১৩ কোটি টাকার মূলধন পাবে। এই অর্থের সমপরিমাণ শেয়ারের বিনিময়ে কোম্পানিটি সাতটি উড়োজাহাজ কিনবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসির তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের ছয়টি বিমান কোম্পানির বিপরীতে উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার ইস্যু করা হবে। তার বিনিময়ে কেনা হবে সাতটি উড়োজাহাজ। যেসব কোম্পানির বিপরীতে শেয়ার ইস্যু করা হবে সেসব কোম্পানি হচ্ছে সুফট এয়ার কার্গো, স্টার্লিং অ্যারোস্পেস, এ-সনিক অ্যাভিয়েশন সলিউশন, ফনিক্স এয়ারক্রাফট ইনভেস্টমেন্ট, ব্ল্যাক টার্নস্টোন অ্যাভিয়েশন। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দুটি বোয়িং এমডি-৮৩, একটি এয়ারবাস এ ৩৪০-৩১৩ এবং তিনটি এটিআর ৭২-৫০০ উড়োজাহাজ কিনবে ইউনাইটেড এয়ার।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সুফট এয়ার কার্গোর বিপরীতে ৫ কোটি ২৮ লাখ ৮ হাজার এবং বাকি পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ৫ কোটি ২০ লাখ করে মোট ২৬ কোটি শেয়ার ইস্যু করা হবে।
এদিকে নতুন শেয়ার ইস্যু করার খবরে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ৪০ পয়সা বা সোয়া ৮ শতাংশের বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ২০ পয়সায়। দুর্বল মৌলভিত্তি ও ব্যবসায়িক পারফরম্যান্সের কারণে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির শেয়ার বাজারে অর্ধেক দামে লেনদেন হচ্ছে।
২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে আছে মাত্র ৫ শতাংশ শেয়ার। আর বাকি ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে সাড়ে ৭৭ শতাংশ রয়েছে এ দেশের সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।