নিউজ ডেস্ক:
অভিবাসন নীতি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানের সমালোচনা শুরু থেকেই করে আসছে মেক্সিকো। কারণ আমেরিকায় অবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের অধিকাংশই মেক্সিকান। আর এ নীতির ফলে তাদেরকে ফিরে আসতে হবে নিজ দেশে। একইসঙ্গে অবৈধ মেক্সিকান অভিবাসী ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বিষয়টিকে নিজেদের জন্য খুবই অপমানজনক মনে করে নিন্দা জানিয়েছিল মেক্সিকো। এবার সেই দেয়াল নির্মানের সময়ও ঘোষণা করা হলো।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দলের রক্ষণশীলদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে নির্ধারিত সময়ের আগেই দেয়াল নির্মাণের কাজ বাস্তবায়নের কথা যখন বলেন, তার কয়েক ঘণ্টা পরই দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দপ্তর থেকে কাজটি শুরুর সুনির্দিষ্ট সময় জানানো হয়। আর সেটা মার্চেই।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রধান জন কেরির মেক্সিকো সফরের একদিন পরেই সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের ইস্যুটি বাস্তবায়নের ব্যাপারে বক্তব্য দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই এবং শিগগিরই মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
কনজারভেটিভ পলিটিকাল অ্যাকশন কংগ্রেসে ট্রাম্প যখন দেয়াল নির্মাণে তার আগের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরেন, তখন রক্ষণশীল সমর্থকরা সেই বক্তব্যের সমর্থনে শ্লোগান দেন।
দেয়াল তোলার এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মেক্সিকো আগে থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে। কিন্তু এই ইস্যুর পাশাপাশি অভিবাসী ইস্যুও আবার সামনে এনেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।রক্ষণশীলদের উদ্দেশ্যে ভাষণে তিনি বলেন, “আমেরিকা থেকে বাজে লোকদের দূরে রাখার ব্যাপারে শিগগিরই পদক্ষেপ নেয়া হবে”।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বড় অংশই মেক্সিকো থেকে এসেছে। ফলে অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়া হলে মেক্সিকোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সময় অভিবাসী ইস্যুতে মেক্সিকো তাদের উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। তবে সেই ক্ষোভ বোধহয় কোন কাজেই আসছে না।