নিউজ ডেস্ক:
ভিনগ্রহে প্রাণ রয়েছে কিনা, তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এ যাবৎ বহু গবেষণা হয়েছে এই নিয়ে। তবে এখনও পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য কোন উত্তর মেলেনি, যা দিয়ে মানুষের নিরন্তর কৌতূহলের জায়গা পূরণ করা যায়। তাই সবকিছুর শেষে কল্পনার একটা জাল আমরা বিছিয়ে নিই নিজেদের মতো। তবে এবার কি শেষমেশ প্রমাণ মিলল?
সম্প্রতি অ্যালুমিনিয়াম নির্মিত একটি বস্তুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রোমানিয়ায়। একটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বস্তুটি পাওয়া গিয়েছিল ১৯৭৩ সালে। এত বছর একে রাখা হয় লোকচক্ষুর আড়ালে। তবে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা থেকেই সৃষ্টি হয়েছে বিস্ময়ের। পরীক্ষায় দেখা গেছে বস্তুটি ৯০ শতাংশ অ্যালুমিনিয়াম ও ১২টি ধাতুর সম্বন্বয়ে গঠিত এবং এটি আড়াই লক্ষ বছরের পুরনো।
এখান থেকেই ছড়িয়েছে কৌতূহল। ২ লক্ষ ৫০ হাজার বছর আগে মানুষ মেটালিক অ্যালুমিনিয়ামের কথা ভাবতেও পারত না। মানব সভ্যতা এর সঙ্গে পরিচিত হয় কম বেশি ২০০ বছর আগে থেকে। তবে আড়াই লক্ষ বছর আগে ওই ধাতব বস্তু পৃথিবীতে এল কীভাবে? যদি ধরে নেওয়া যায় জিনিসটি কোন মানুষের দ্বারা তৈরি হয়নি, তবে তা এসেছে পৃথিবীর বাইরে থেকে সেখানকারই কোন বাসিন্দার সঙ্গে।
১৯৭৩ সালে মধ্য রোমানিয়ার ম্যুরে নদীর তীরে খননকার্য চালানোর সময়ে মাটির দশ মিটার গভীরে তিনটি বস্তু পাওয়া যায়। বস্তুগুলির গঠন যথেষ্ট অস্বাভাবিক। প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রথমে ভাবেন, এগুলো এক ধরনের জীবাশ্ম। সেগুলিকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষার পরে দেখা যায়, তিনটি বস্তুর মধ্যে দু’টি কোনও স্তন্যপায়ী প্রাণীর জীবাশ্ম, যারা ১০,০০০ থেকে ৮০,০০০ বছর আগেই বিলুপ্ত হয়েছে। তবে তৃতীয় বস্তুটি পরীক্ষা করতেই উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্র: এবেলা