নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা চলবে কি না, এ বিষয়ে দায়ের করা রিটের রায় ঘোষণা করা হবে আজ।
রোববার বেলা ১১টার পর বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবে।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা বন্ধে জারি করা রুলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।
আদালতে স্টার জলসা ও স্টার প্লাসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু। জি বাংলার পক্ষে ব্যারিস্টার সামসুল হাসান শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
এর আগে ১৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানিতে অংশ নেন।
ওই দিন আদালতে আবেদনের পক্ষে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত ভারতীয় চ্যানেলের নেতিবাচক দিক নিয়ে করা প্রতিবেদন দেখানো হয়।
গত ৮, ৯, ১০ ও ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টে স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা বন্ধে জারি করা রুলের ওপর শুনানি হয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. একলাস উদ্দিন ভূইয়া।
আদালতে আব্দুল মতিন খসুরু বলেন, স্টার জলসা, স্টার প্লাস বাংলাদেশের আইন মেনেই সম্প্রচারিত হচ্ছে। রিটকারী আইনজীবী ব্যক্তিগত স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে আদালতে এসেছেন।
তিনি আরো বলেন, এর আগেও এই চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধে দায়ের করা রিট হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছিলেন। তাই এই রিট মামলা হাইকোর্টে আর চলতে পারে না।
শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী মো. একলাস উদ্দিন ভূইয়া আদালতে বলেন, ভারতীয় এই চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত বিভিন্ন ধারাবাহিক বাংলাদেশের সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ ধ্বংস করছে। এর স্বপক্ষে তিনি পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন।
২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে ভারতীয় এই তিন টিভি চ্যানেল বন্ধে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়।
২০১৪ সালের ৭ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
রিটে ভারতীয় সব চ্যানেল বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারিরও আবেদন করা হয়।