নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বর্জ্য অপসারণে কোনো অজুহাত আমি শুনতে চাই না। একই সঙ্গে বর্জ্য অপসারণ নিয়ে কোনো অভিযোগও শুনতে চাই না। ইতোমধ্যে দেওয়ান বাজার, পূর্ব বাকলিয়া, শুলকবহর ও চান্দগাও ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম নিয়ে অনিয়ম, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কেউ কেউ হাজিরা দিয়ে দায়িত্ব পালন না করারও অভিযোগ এসেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চসিক কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয় সভায় মেয়র এসব কথা বলেন। বর্জ্য অপসারণ নিয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়র পরিচ্ছন্নকর্মীদেও এ নির্দেশ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেয়র বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম দ্রুত সমন্বয় করতে প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, নির্বাহি প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক ও পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দেন।
সিটি মেয়র বলেন, ওয়ার্ডে দায়িত্বে নিয়োজিত দলপতি, সুপারভাইজার, পরিদর্শককে ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে নিয়োজিত জনবলের কাজ সঠিকভাবে মনিটরিং করতে হবে। ওয়ার্ডের কোথাও আবর্জনা পরে থাকলে বা আবর্জনার কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে সকল দায় দায়িত্ব ওয়ার্ডে নিয়োজিতদের উপর বর্তাবে। সেবকদের নিয়মিত হাজিরা, কাজে নিয়োজিত করা এবং তাদের মাধ্যমে শতভাগ কাজ আদায় করা ওয়ার্ডের সুপারভাইজারদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। ডোর টু ডোর আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রমে শতভাগ সফলতা অর্জন করতে চাই।
সিটি মেয়র বলেন, আমার অঙ্গীকার শতভাগ পরিচ্ছন্ন নগরী। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে যেকোন পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে আমি বদ্ধপরিকর। আপনাদের সাম্প্রতিক কাজকর্মে কিছু কিছু অভিযোগ আসছে। এসকল অভিযোগের প্রমাণ সাপেক্ষ তদন্ত করে শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ওয়ার্ডের ডাম্পিং পয়েন্টের আবর্জনা পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিটি স্টেশনে সিসি টিভি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। আসন্ন রমজান মাস থেকেই এ কার্যক্রম শুরু করব।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, পরিচ্ছন্ন সুপারভাইজারদের আগামী দুই দিনের মধ্যে নিজ নিজ ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত জনবল (ডোর টু ডোর/নালা পরিস্কার এবং সুইপিং আলাদা আলাদা ভাবে), ব্যবহৃত ইক্যুইপমেন্ট, ময়লার পরিমাণ, প্রয়োজনীয় গাড়িসহ সমস্ত তথ্য প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সব কিছু সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কোন ধরণের অজুহাত, মতাদর্শগত কর্তব্য অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না। শাস্তি বা যেকোন ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে কারো কোন কথাও শুনা হবে না। সকলকে সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালিত হলে সংশ্লিষ্টদের চাহিদাও পর্য্যায়ক্রমে পুরন করা হবে। কখনো কখনো পরিচ্ছন্ন এবং যান্ত্রিক বিভাগের সমন্বয়হীনতার কারণে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে ধীর গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে।