শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। Logo টাকার জন্য হরিদাস বাবু’কে হয়রানী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার অনুসন্ধানে প্রমাণ। Logo খুবির সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতায় আগ্রহ জাপানি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের Logo শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় এনজিও কর্মীর মৃত্যু Logo সাতক্ষীরায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তরুণী, থানায় সাধারণ ডায়েরি Logo আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কয়রায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দর্শনা থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ Logo জীবননগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন Logo আইএফএডিকে বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

রোজা রেখে নখ-চুল কাটা কিংবা ক্ষৌরকর্ম করা যাবে?

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৩:১০:৪০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৮০ বার পড়া হয়েছে
রমজান মাসে রোজাদারদের অনেকেই জানতে চান, রোজা রেখে চুল ও নখ কাটা জায়েজ আছে কি না? অনেকে মনে করেন, রোজার মধ্যে চুল-নখ কাটলে রোজার কোনো ক্ষতি হতে পারে। তবে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এই ধারণা সঠিক নয়।

ইসলামে রোজা রাখা মানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পানাহার এবং যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সংযম পালন করাই রোজার মূল উদ্দেশ্য। তবে ইসলামে পরিচ্ছন্নতা এবং সৌন্দর্যচর্চা সর্বদা উৎসাহিত করা হয়েছে, যা চুল ও নখ কাটার মতো কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত।

ইসলামি আইনবিদদের মতে, রোজা রেখে চুল-নখ কাটা সম্পূর্ণ বৈধ ও জায়েজ। এটি রোজার কোনো মূল বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় এবং রোজার ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না।

কোনো সহিহ হাদিস বা কোরআনের আয়াতে রোজা রেখে চুল ও নখ কাটার নিষেধাজ্ঞা নেই। বরং হাদিস ও ইসলামি শিক্ষায় পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

আবু মালেক আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অর্ধেক।’ (মুসলিম ২২৩) এখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অন্তর্ভুক্ত কাজগুলোর মধ্যে চুল-নখ কাটা, গোসল করা ইত্যাদিও পড়ে।

ইসলামিক স্কলারদের মতামত, বিভিন্ন মাদ্রাসা ও ফতোয়া বোর্ডের ইসলামি পণ্ডিতদের মতে, চুল ও নখ কাটা পরিচ্ছন্নতার অংশ, যা রোজা ভাঙার কোনো কারণ নয়।

অন্যদিকে রোজা রেখে চুল-নখ কাটা প্রসঙ্গে চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, চুল ও নখের সঙ্গে শিরা বা উপশিরার কোনো সম্পর্ক নেই। তাই চুল ও নখ কাটলে কোনো ব্যথা পাওয়া যায় না বা রক্ত বের হয় না।

তাই ওলামায়ে কেরামরা জানান, রোজা অবস্থায় হাত-পায়ের নখ কাটলে, চুল কাটালে ও ক্ষৌরকর্ম করলে বা করালে রোজার ক্ষতি হবে না। এর সঙ্গে রোজা ভঙ্গের কোনো সম্পর্ক নেই। রোজা নষ্ট হয় মূলত পানাহার ও রতিক্রিয়া দ্বারা।

ইসলামের প্রখ্যাত ফকিহগণ বলেন, রোজা অবস্থায় কেউ যদি চুল কাটে বা নখ কাটে, তাহলে তার রোজার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। এটি শুধু সাধারণ পরিচ্ছন্নতার একটি অংশ।

অর্থাৎ, রোজা রেখে চুল-নখ কাটার বিষয়ে ইসলামে কোনো বাধা নেই। বরং ইসলাম পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার প্রতি গুরুত্ব দেয়। তাই রোজাদার ব্যক্তি নিশ্চিন্তে চুল ও নখ কাটতে পারেন, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।

news24bd.tv/SHS

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

রোজা রেখে নখ-চুল কাটা কিংবা ক্ষৌরকর্ম করা যাবে?

আপডেট সময় : ০৩:১০:৪০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রমজান মাসে রোজাদারদের অনেকেই জানতে চান, রোজা রেখে চুল ও নখ কাটা জায়েজ আছে কি না? অনেকে মনে করেন, রোজার মধ্যে চুল-নখ কাটলে রোজার কোনো ক্ষতি হতে পারে। তবে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এই ধারণা সঠিক নয়।

ইসলামে রোজা রাখা মানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পানাহার এবং যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সংযম পালন করাই রোজার মূল উদ্দেশ্য। তবে ইসলামে পরিচ্ছন্নতা এবং সৌন্দর্যচর্চা সর্বদা উৎসাহিত করা হয়েছে, যা চুল ও নখ কাটার মতো কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত।

ইসলামি আইনবিদদের মতে, রোজা রেখে চুল-নখ কাটা সম্পূর্ণ বৈধ ও জায়েজ। এটি রোজার কোনো মূল বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় এবং রোজার ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না।

কোনো সহিহ হাদিস বা কোরআনের আয়াতে রোজা রেখে চুল ও নখ কাটার নিষেধাজ্ঞা নেই। বরং হাদিস ও ইসলামি শিক্ষায় পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

আবু মালেক আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অর্ধেক।’ (মুসলিম ২২৩) এখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অন্তর্ভুক্ত কাজগুলোর মধ্যে চুল-নখ কাটা, গোসল করা ইত্যাদিও পড়ে।

ইসলামিক স্কলারদের মতামত, বিভিন্ন মাদ্রাসা ও ফতোয়া বোর্ডের ইসলামি পণ্ডিতদের মতে, চুল ও নখ কাটা পরিচ্ছন্নতার অংশ, যা রোজা ভাঙার কোনো কারণ নয়।

অন্যদিকে রোজা রেখে চুল-নখ কাটা প্রসঙ্গে চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, চুল ও নখের সঙ্গে শিরা বা উপশিরার কোনো সম্পর্ক নেই। তাই চুল ও নখ কাটলে কোনো ব্যথা পাওয়া যায় না বা রক্ত বের হয় না।

তাই ওলামায়ে কেরামরা জানান, রোজা অবস্থায় হাত-পায়ের নখ কাটলে, চুল কাটালে ও ক্ষৌরকর্ম করলে বা করালে রোজার ক্ষতি হবে না। এর সঙ্গে রোজা ভঙ্গের কোনো সম্পর্ক নেই। রোজা নষ্ট হয় মূলত পানাহার ও রতিক্রিয়া দ্বারা।

ইসলামের প্রখ্যাত ফকিহগণ বলেন, রোজা অবস্থায় কেউ যদি চুল কাটে বা নখ কাটে, তাহলে তার রোজার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। এটি শুধু সাধারণ পরিচ্ছন্নতার একটি অংশ।

অর্থাৎ, রোজা রেখে চুল-নখ কাটার বিষয়ে ইসলামে কোনো বাধা নেই। বরং ইসলাম পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার প্রতি গুরুত্ব দেয়। তাই রোজাদার ব্যক্তি নিশ্চিন্তে চুল ও নখ কাটতে পারেন, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।

news24bd.tv/SHS