শিরোনাম :
Logo প্রান্তিক মানুষের আস্থার নাম সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক Logo ইবিতে সিরাতুন নবি (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী Logo ইবি ক্যাম্পাসে তালিকাভুক্ত নয় এমন  সংগঠনের সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা Logo সুন্দরবনের বিনা পাশে প্রবেশ করায় তিন জেলা কটক  Logo খুবি রিসার্চ সোসাইটির নতুন নেতৃত্বে বকসী-গৌর Logo চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক Logo কাল চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo খানপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের উদ্যোগে আট দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। Logo পাইকোশায় ধানের চাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মিথ্যা মামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন Logo চাঁদপুর সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ

এককাতারে সৌরজগতের ৭ গ্রহ, বিরল দৃশ্যটি দেখবেন যেভাবে

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিরল এক মহাজাগতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ পাচ্ছে বিশ্ববাসী। স্বল্প সময়ের জন্য সন্ধ্যার আকাশে একসঙ্গে সাতটি গ্রহ—মঙ্গল, বৃহস্পতি, ইউরেনাস, শুক্র, নেপচুন, বুধ ও শনি দেখা যাবে। বিজ্ঞানীরা এ ধরনের ঘটনাকে ‘প্ল্যানেটারি প্যারেড’ বা ‘গ্রহের সমাবেশ’ বলে থাকেন। ২০৪০ সালের আগে এ ধরনের দৃশ্য আর দেখা যাবে না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

চারটি গ্রহ – বুধ, শুক্র, বৃহস্পতি এবং মঙ্গল- খালি চোখে দেখা যাবে। শনি গ্রহটি দিগন্তের নিচে থাকায় এটি দেখা কঠিন হবে। অন্য দুটি গ্রহ ইউরেনাস এবং নেপচুন দেখতে আপনার টেলিস্কোপের প্রয়োজন হবে। পরিষ্কার আকাশ থাকলে এই গ্রহগুলো দেখার সর্বোত্তম সুযোগ মিলবে।

তবে সাতটি গ্রহ দেখতে পাওয়ার সময়কাল খুব সংক্ষিপ্ত। রয়্যাল অবজারভেটরি গ্রিনউইচের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. এডওয়ার্ড ব্লুমার বলেন, ‘সাতটি গ্রহকে একসঙ্গে দেখার এটি একটি বিরল সুযোগ’। শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল গত বছরের এপ্রিলে, যখন উত্তর আমেরিকার আকাশে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ চলাকালীন এই সংযোগ দেখা যায়।

যদিও পুরো সংযোগটি আজ (২৮ ফেব্রুয়ারি) দেখা যাবে, এর আগে ২১ জানুয়ারি থেকে সাতটির মধ্যে ছয়টি গ্রহকে আকাশে একত্রে দেখা যায়। পাঁচ বা ছয়টি গ্রহের সংযোগকে সাধারণত বড় সংযোগ বলা হয়, তবে সাতটি গ্রহের সংযোগ অত্যন্ত বিরল ঘটনা। পৃথিবীসহ আমাদের সৌরজগতের আটটি মূল গ্রহ একই কক্ষপথে থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। তবে সূর্যের চারপাশে তাদের ঘূর্ণায়মানের গতি ভিন্ন ভিন্ন হয়। সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ বুধ ৮৮ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে থাকে। অর্থাৎ গ্রহটিতে ৮৮ দিনে ১ বছর হয়।

আবার সূর্যকে এককার ঘুরতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিন। আর নেপচুনের সময় লাগে ৬০ হাজার ১৯০ দিন। অর্থাৎ নেপচুন গ্রহের এক বছরের মানে হলো পৃথিবীর প্রায় ১৬৫ বছর। গ্রহগুলোর গতি ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় কখনো কখনো কিছু গ্রহ সূর্যের একই পাশে সারিবদ্ধ হয়ে প্রদক্ষিণ করতে থাকে। গ্রহগুলো যদি সূর্যের ডান দিকে থেকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে, তখন সেগুলো পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান হয়। অর্থাৎ আমরা রাতের আকাশে একসঙ্গে কয়েকটি গ্রহকে দেখতে পাই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রান্তিক মানুষের আস্থার নাম সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক

এককাতারে সৌরজগতের ৭ গ্রহ, বিরল দৃশ্যটি দেখবেন যেভাবে

আপডেট সময় : ০১:১৩:২৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিরল এক মহাজাগতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ পাচ্ছে বিশ্ববাসী। স্বল্প সময়ের জন্য সন্ধ্যার আকাশে একসঙ্গে সাতটি গ্রহ—মঙ্গল, বৃহস্পতি, ইউরেনাস, শুক্র, নেপচুন, বুধ ও শনি দেখা যাবে। বিজ্ঞানীরা এ ধরনের ঘটনাকে ‘প্ল্যানেটারি প্যারেড’ বা ‘গ্রহের সমাবেশ’ বলে থাকেন। ২০৪০ সালের আগে এ ধরনের দৃশ্য আর দেখা যাবে না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

চারটি গ্রহ – বুধ, শুক্র, বৃহস্পতি এবং মঙ্গল- খালি চোখে দেখা যাবে। শনি গ্রহটি দিগন্তের নিচে থাকায় এটি দেখা কঠিন হবে। অন্য দুটি গ্রহ ইউরেনাস এবং নেপচুন দেখতে আপনার টেলিস্কোপের প্রয়োজন হবে। পরিষ্কার আকাশ থাকলে এই গ্রহগুলো দেখার সর্বোত্তম সুযোগ মিলবে।

তবে সাতটি গ্রহ দেখতে পাওয়ার সময়কাল খুব সংক্ষিপ্ত। রয়্যাল অবজারভেটরি গ্রিনউইচের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. এডওয়ার্ড ব্লুমার বলেন, ‘সাতটি গ্রহকে একসঙ্গে দেখার এটি একটি বিরল সুযোগ’। শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল গত বছরের এপ্রিলে, যখন উত্তর আমেরিকার আকাশে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ চলাকালীন এই সংযোগ দেখা যায়।

যদিও পুরো সংযোগটি আজ (২৮ ফেব্রুয়ারি) দেখা যাবে, এর আগে ২১ জানুয়ারি থেকে সাতটির মধ্যে ছয়টি গ্রহকে আকাশে একত্রে দেখা যায়। পাঁচ বা ছয়টি গ্রহের সংযোগকে সাধারণত বড় সংযোগ বলা হয়, তবে সাতটি গ্রহের সংযোগ অত্যন্ত বিরল ঘটনা। পৃথিবীসহ আমাদের সৌরজগতের আটটি মূল গ্রহ একই কক্ষপথে থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। তবে সূর্যের চারপাশে তাদের ঘূর্ণায়মানের গতি ভিন্ন ভিন্ন হয়। সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ বুধ ৮৮ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে থাকে। অর্থাৎ গ্রহটিতে ৮৮ দিনে ১ বছর হয়।

আবার সূর্যকে এককার ঘুরতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিন। আর নেপচুনের সময় লাগে ৬০ হাজার ১৯০ দিন। অর্থাৎ নেপচুন গ্রহের এক বছরের মানে হলো পৃথিবীর প্রায় ১৬৫ বছর। গ্রহগুলোর গতি ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় কখনো কখনো কিছু গ্রহ সূর্যের একই পাশে সারিবদ্ধ হয়ে প্রদক্ষিণ করতে থাকে। গ্রহগুলো যদি সূর্যের ডান দিকে থেকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে, তখন সেগুলো পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান হয়। অর্থাৎ আমরা রাতের আকাশে একসঙ্গে কয়েকটি গ্রহকে দেখতে পাই।