নিউজ ডেস্ক:
প্রশ্নফাঁসের মামলায় গ্রেফতার কমলাপুর শের-ই-বাংলা রেলওয়ে স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল আব্দুল আলীমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জাসিম উদ্দিন এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন রিমান্ড শেষে আসামিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তবে ওই আবেদনে আসামি আব্দুল আলিমের পেশাগত পরিচয় (কমলাপুর শের-ই-বাংলা রেলওয়ে স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল) গোপন রেখেছে পুলিশ।
ওই আবেদনে বলা হয়, আসামি আব্দুল আলীমকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ সময় আসামি আব্দুল আলিম প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত আছে মর্মে স্বীকার করে এবং নিজেকে আঁড়াল করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। যাহা যাচাই বাচাই করা হচ্ছে। আসামি অত্যন্ত ধূর্ত এবং চতুর বিধায় নিজেকে জড়িয়ে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে রাজি হয়নি। । এই আসামিকে কারাগারে আটক রাখা হোক। কারণ তিনি জামিন পেলে প্রশ্নফাঁসকারীদের গ্রেফতারে বাধা হয়ে দাঁড়াবে এবং মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গত ১ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মাদ নাজমুল হক বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। এ মামলার আসামি আসামি মো. জহিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কমলাপুর শের-ই-বাংলা রেলওয়ে স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল আব্দুল আলীমকে জাড়িয়ে প্রশ্ন ফাঁসের কথা বহু বার বলেছে।