পরিবার সঞ্চয়পত্রের নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে সরকার। এখন থেকে একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। যুগ্ম নামে এই সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না এবং কোনো প্রতিষ্ঠান এ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারবে না।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, যা ২০১২ সালের একটি প্রজ্ঞাপন বাতিল করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের যোগ্যতা হলো ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের বাংলাদেশি নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ বা নারী), এবং ৬৫ বা তার বেশি বয়সের বয়োজ্যেষ্ঠ বাংলাদেশি পুরুষ। নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে এ সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে।
আগে পরিবার সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা যেত। তবে একক নামে বিনিয়োগ সীমা ছিল ৪৫ লাখ টাকা। নতুন নীতিমালায় সর্বোচ্চ সীমা এখন শুধুমাত্র একক নামে ৪৫ লাখ টাকা।
চলতি মাস থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হারও বাড়ানো হয়েছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন স্কিমগুলোতে মুনাফার হার বেড়ে হয়েছে ১২.২৫ শতাংশ থেকে ১২.৫৫ শতাংশ পর্যন্ত।
সবচেয়ে কম মুনাফা (১২.২৫ শতাংশ) পাওয়া যাবে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের স্কিমে।
বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের তিনটি ধাপ রয়েছে—১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত, ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা, এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি। নতুন নিয়মে বিনিয়োগকারীদের জন্য দুটি ধাপ প্রস্তাব করা হয়েছে:
৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচে বিনিয়োগকারীরা।
৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার উপরের বিনিয়োগকারীরা।