নিউজ ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২২ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নীরব ভোট বিপ্লব ঘটিয়ে বিজয় নিয়ে ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জের অধিবাসী এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা জুলুম, নির্যাতন, গুম, খুন, হামলা, মামলা, হয়রানি, দখল, দলীয়করণ, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসসহ নানা ধরনের অন্যায়ের শিকার। আপনাদের এক-একটি ভোট হবে এসবের বিরুদ্ধে এক-একটি বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। আমি আশা করি আপনারা নারায়ণগঞ্জে ২২ ডিসেম্বর নীরব ভোট বিপ্লব ঘটাবেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি আশা করি দল-জোটের নেতা-কর্মী ও জনগণ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত করতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সাহস ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন এবং নির্বাচনী ফলাফল শেষে বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরবেন।’
আজ সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আগামী ২২ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। এই সময় যাতে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ ও শান্তি বজায় থাকে তার জন্য আমি পরম করুণাময় আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের কাছে মুনাজাত করছি। আমি আশা করি ভোটের আগে ও পরেও আপনাদের নিরাপত্তা ও শান্তি অক্ষুণ্ন থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড এবং গুম, খুন ও সন্ত্রাসের কারণে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষদের আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করতে হয়। সে কারণে আমরা দাবি করেছিলাম, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে আপনারা যাতে পছন্দের প্রার্থীকে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন এবং কোনো রকম হুমকির মুখে পড়তে না হয়, তার জন্য সেনা মোতায়েন করা হোক। আমাদের দাবি মানা হয়নি।’
‘তবে এখন পর্যন্ত সরকার সমর্থিতদের দ্বারা বিরোধীদলের প্রার্থীদের কিছু ভয়ভীতি প্রদর্শন ও নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটলেও বড় রকমের কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেনি। আমি নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ, ক্ষমতাসীন দল এবং সর্বোপরি ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ভোটের দিন এবং এর আগে পরে পুরো নারায়ণগঞ্জে যেন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ বজায় থাকে।’
‘আমি নারায়ণগঞ্জের জনগণ এবং বিএনপি ও ২০ দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং যে-কোনো উস্কানির মুখে সংযম ও শান্তি অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানাই।’
সর্বশেষ তিনি উল্লেখ করেন, ‘বিএনপি ও ধানের শীষের পক্ষে নারায়ণগঞ্জে ইতিমধ্যে যে জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা জেনে আমি আনন্দিত। আমার আবেদন ভোটের বাক্সে এই সমর্থনের প্রতিফলন ঘটান। নতুন ভোটার, মা-বোন, মুরুব্বীয়ান এবং হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নাগরিকসহ সকলের প্রতি আমার আবেদন সময় মতো ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে ভোট দিবেন এবং অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। মনে রাখবেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং আপনাদের ভোট দেওয়ার ও অন্যান্য অধিকার ফিরিয়ে আনা এবং শান্তি স্থাপনে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’