নিউজ ডেস্ক:
২০১১ সালের ৫ মে, সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদমরসূল পৌরসভা বিলুপ্ত করে গঠিত হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। ২৭ টি ওয়ার্ডের এই সিটির আয়তন ৭২ দশমিক চার তিন বর্গ কিলোমিটার। সে বছরের ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় প্রথম নির্বাচন।
এতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানকে হারিয়ে মেয়র হন স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভি। নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা আগে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।
২২ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো নগর প্রতিনিধি নির্বাচন করবে নারায়ণগঞ্জবাসী। এবারই প্রথম প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন মেয়র প্রার্থীরা। মেয়র পদে সাত জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে আইভী আর বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে লড়ছেন সাখাওয়াত হোসেন খান।
নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯শ ৩১ জন। এর মধ্যে, পুরুষ ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬শ ৬২ জন আর মহিলা ২ লাখ ৩৫ হাজার ২শ ৬৯ জন। ১৭৪ টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে ।
ভোটে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাব-পুলিশ-বিজিবি-আনসারসহ প্রায় সাড়ে নয় হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, প্রতিটি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছেন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে ১৬টি সংস্থার ৩২০ জন।
১৮৭৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা গঠন হয়। ২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারির ভোটে পৌরসভার প্রথম মহিলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভী। ২০১১ সালে পৌরসভা বিলুপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এই পদে বহাল ছিলেন।