রিসার্চ এন্ড রিসার্চারস (আরআরএক্স) নামে অজ্ঞাতনামা গবেষকদের একটি দল এই নথি তৈরি করেছে।
ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে বলা হয়, তিউনিশিয়া ও লিবিয়া কর্তৃপক্ষ সীমান্তে আসা পুরুষ, নারী ও শিশু অভিবাসীদের নিয়ে ব্যবসা করে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তিউনিশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে।
২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিউনিশিয়া থেকে লিবিয়ায় পুশব্যাকের শিকার সাব-সাহারা আফ্রিকার ৩০ অভিবাসীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে পুরো প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
যদিও তিউনিশিয়ার সরকার এসব অভিযোগের ব্যাপারে কোনো জবাব দেয়নি।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের বর্ণবাদী বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দেশটিতে বেড়েছে কৃষ্ণাঙ্গদের উপর সহিংসতার ঘটনা। আরআরএক্স গবেষক দলের প্রতিবেদন অনুসারে, সীমান্তে অভিবাসীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে ৪০ থেকে ৩০০ দিনার পর্যন্ত নেওয়া হয়। এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জ্বালানির বিনিময়েও অভিবাসীদের সাথে বেআইনি ব্যবসা করে কর্তৃপক্ষ।
গবেষকেরা বলেছেন, তারা সাক্ষ্যৎকারদাতাদের কাছ থেকে টাকা বা অর্থ প্রদানের বিভিন্ন উপায়ের বর্ণনা পেয়েছেন। বিভিন্ন সহিংস প্রেক্ষাপটে এবং রাতে অর্থের লেনদেন করতে বাধ্য হতেন ঝুঁকিতে পড়া অভিবাসীরা।
বিক্রি হওয়া বন্দিদের মধ্যে পুরুষ, নারী (যাদের মধ্যে কেউ কেউ গর্ভবতী ছিলেন), দম্পতি, শিশু এবং অভিভাকহীন অপ্রাপ্তবয়স্করাও রয়েছেন। একজন অভিবাসী বলেন, নারীদের বাজারমূল্য ছিল বেশি।
লিবিয়ার মাটিতে পৌঁছানোর পর অনিয়মিত অভিবাসীদের কয়েক দিনের জন্য মরুভূমির বিভিন্ন কারাগারে আটকে রাখা হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে তাদেরকে লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত অবৈধ অভিবাসন দমন বিভাগ (ডিসিআইএম) পরিচালিত সরকারি আটক কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
প্রতিবেদনে সাক্ষ্য দেওয়া অভিবাসী মুসাকে লিবিয়ার উত্তরে তিউনিশিয়ার সীমান্ত থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে আল আসাহ কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সীমান্তে অভিবাসীদের এই ‘বিক্রয়’ প্রক্রিয়া দ্বিতীয় পর্যায়ে সংগঠিত হয় লিবিয়ার জেলে। জেলে বন্দিদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণের অর্থ দাবি করা হয়।