নিউজ ডেস্ক:
বয়স মাত্র ৩২। জেল হাজতে টানা ৭ বছর কাটিয়ে এই ফেব্রুয়ারিতেই মুক্তি পেয়েছেন। এবার তিনি আবার মন দিতে চান ফুটবলে। আর ফুটবলই তো তার নেশা। তার ভালবাসা। বলছিলাম ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ব্রুনোর কথা।
ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গো ক্লাবে খেলতেন ব্রুনো। হঠাৎই জীবনটা ওলট-পালট হয়ে গেল। সেটা ২০১০ সাল। দীর্ঘদিনের বান্ধবী এলিজা সামুডিওকে খুনই করে বসলেন ব্রুনো। এলিজার দোষ ছিল প্রকাশ্যে তিনি দাবি করে বসেন, তার এবং ব্রুনোর এক পুত্রসন্তান রয়েছে। ব্রুনোর এক ভাই আদালতে এসে যে সাক্ষ্য দেন, তাতে চমকে গিয়েছিলেন সকলে। এলিজাকে মেরে ফেলার পর তার শরীরকে টুকরো টুকরো করে কেটে সেই দেহাবশেষ ব্রুনো তার পোষা রটওয়েলার প্রজাতির কুকুরদের খেতে দিতেন। একমাত্র লক্ষ্য ছিল সাক্ষ্য লোপাট।
২০১৩ সালে ব্রাজিলের এক আদালত ব্রুনোকে ২২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। রিও ডি জেনেইরো সন্নিহিত বাঙ্গুর এক জেলে পাঠানো হয় তাকে। যদিও পরে তার শাস্তি কমিয়ে আনা হয়। গত মাসে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ব্রুনো ফের ফুটবলকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছেন।
ব্রুনোর এজেন্ট লুসিও ভেলোসো কুটিনহো জানিয়েছেন, “অন্তত ১০টি ক্লাব ব্রুনোকে দলে নিতে আগ্রহী। কোন ক্লাব, কোন দেশের সেসব এখন ভাঙছি না। তবে, জেনে রাখুন ব্রুনোকে পেতে আগ্রহী অনেক বড় ক্লাবও। ”
একসময় বার্সেলোনার মতো ক্লাবও এই ব্রাজিলীয় গোলরক্ষককে দলে টানতে আগ্রহী হয়ে উঠেছিল। এখন কিন্তু পরিস্থিতিটা বেশ অন্যরকম। ব্রুনোর গায়ে হত্যাকারীর তকমা পড়ে গিয়েছে। সুতরাং, বার্সার মতো মেগা কোনও ক্লাব এই ৩২ বর্ষীয় সম্পর্কে নতুন করে সত্যিই উৎসাহী হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে !