মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর কার্যালয়ে ইংমিং ইয়াং এর নেতৃত্বে একটি ছয় সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক(এডিবি) বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ২২৭টি প্রজেক্টের মধ্যে এডিবি’র সহায়তায় বাস্তবায়িত প্রজেক্ট ১০ টি। যার আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ ২২ হাজার ৩৫৫ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা৷ বাংলাদেশ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অন্যতম আর্থিক সহযোগী পার্টনার হিসেবে আমরা চাই, এই সহায়তা অব্যাহত থাকুক।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমাল এবং সিলেট বিভাগসহ অন্যান্য অঞ্চলে বন্যায় বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেখানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ক্ষতি প্রায় ১৬শত কোটি টাকা এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪শত কোটি টাকা৷ এডিবি’র সাথে চলমান প্রজেক্টগুলির পাশাপাশি আমরা এডিবি’র কাছ থেকে উপকূল এবং বন্যা প্লাবিত অঞ্চলের সহায়তায় আর্থিক সাহায্য প্রত্যাশা করছি৷ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা নেওয়ার প্রস্তাব আছে৷ শর্ত সাপেক্ষে আমরা সে সহায়তাও নিতে পারি, নতুবা নিজস্ব অর্থায়নে আমরা এই ক্ষয়ক্ষতি মেটাবো।
এডিবি’র দক্ষিণ, মধ্যে ও পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়াং বলেন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, টেকশই পরিবেশ এবং আঞ্চলিক একত্রীকরণের মাধ্যমে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দারিদ্র্য হ্রাস করে৷ পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশ থেকে কিভাবে উন্নত দেশে উত্তরণে এডিবি সর্বাত্মক সহায়তা করে৷ বাংলাদেশের ব্যাপারেও আমরা আশাবাদী। আমরা চাই, বাংলাদেশও উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হউক।
ইংমিং ইয়াং আরও বলেন, বাংলাদেশে এটা আমার প্রথম সফর৷ এই সফরের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর আগামী লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যের সাথে সমান্তরালে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকও কাজ করে যেতে চায়।
বৈঠকে এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আকতার হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁসহ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷