নিউজ ডেস্ক:
অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে নিজের অবস্থানটা এর মধ্যে বেশ পাকাপোক্ত হয়েছে চীনের। এবার সামরিক দিকটাও গুরুত্বের সঙ্গেই নিচ্ছে দেশটি। আগামী ২০১৮ সালের বাজেট পরিকল্পনায়ও বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে দেশটির সামরিক খাত। যেখানে এ খাতে আগের বছরের চেয়ে ৭ শতাংশ ব্যয় বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে চীন। ধারণা করা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামরিক ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণার প্রেক্ষিতে চীনা সরকারও একই উদ্যোগ নিল।
আজ শনিবার দেশটির সরকারি মুখপাত্র ফু উইং এক সংবাদ সম্মেলনে সামরিক ব্যয় বাড়ানোর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। রাজধানী বেইজিংয়ে বার্ষিক ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসকে (এনপিসি) সামনে রেখে এমন ঘোষণা দেয়া হয়।
এছাড়া রবিবার চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং এনপিসিতে সামরিক বাজেট বিষয়ক পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলেও জানানো হয়েছে। পরে কংগ্রেস সদস্যদের অনুমোদনের ভিত্তিতে তা পাস হবে।
ফু বলেন, ‘২০১৭ সালে চীনের মোট প্রবৃদ্ধির ১ দশমিক ৩ শতাংশ আসছে বছর সামরিক খাতে ব্যয় করা হবে। রীতি অনুযায়ী, আত্মরক্ষা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে চীন। ’
তিনি আরও জানান, শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো বিরোধের নিষ্পত্তিতে আগ্রহী চীন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বদ্ধপরিকর বেইজিং। তাই চীনের সামরিক সক্ষমতা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ২০১৮ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে সামরিক ব্যয় আগের চেয়ে ১০ শতাংশ বাড়ানো হবে। সংখ্যার হিসেবে এ বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। পুরো সামরিক বাজেটের আকার হতে পারে প্রায় ৬০ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। আসছে মে মাসে এ বাজেট প্রস্তাবনা কংগ্রেসে উত্থাপন করা হবে।