1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
এ অসহায়ত্ব রাখি কোথায়! | Nilkontho
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | সোমবার | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকা থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার গাজীপুর সাফারি পার্কের বেষ্টনীর জাল কেটে ২ ম্যাকাও পাখি চুরি আওয়ামী লীগের অনেকেই বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন: গয়েশ্বর জামিনে মুক্ত ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের সাবেক ২ এমপি চুয়াডাঙ্গায় নকল নবিশদের আমরণ অনশন, ভোগান্তিতে সেবাগ্রহীতারা পঞ্চগড়ে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদকসহ মা-ছেলে আটক আইপিএল নিলাম ইতিহাসে সব রেকর্ড ভেঙে পাঞ্জাবে শ্রেয়াস আইয়ার ট্রান্সজেন্ডারের অনুমতি দেওয়া দেশে শিশু দত্তকের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার কমলগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে পিটুনিতে একজন নিহত শপথ নিলেন সিইসি নাসিরসহ নতুন ৪ নির্বাচন কমিশনার চার বিসিএসে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন ‘আদালতে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত রিকশা ইস্যু সমাধান হবে’ ব্যাটারি চালিত রিস্কাবন্ধ না করায় দাবিতে মানববন্ধন বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর লাহোর, পরের অবস্থানেই ঢাকা সাংবাদিক নূরুল কবিরকে হয়রানি, তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার পানি প্রবাহ ব্যাহত :ভাঙা হতে পারে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক ফরিদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম তালুকদার গ্রেপ্তার আইপিএল মেগা নিলাম আজ, ১২ বাংলাদেশির কেউই নেই প্রথম দিনে মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ আইইউটির তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

এ অসহায়ত্ব রাখি কোথায়!

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘ দিন ধরে লিখছি। এক যুগ পার হয়েছে সেই কবেই। সেই শৈশব থেকে সুবিধাবঞ্চিতদের বিষয়ে বরাবরই আমার আগ্রহ; যা বারবারই উঠে এসেছে লেখায়। তাই কাজ এবং হৃদয়ের তাগিদে এদের দ্বারস্থ হয়েছি। প্রতি শুক্রবার সকাল ১০-১১টা নাগাদ আমার দুয়ারে কশাঘাত হয়। দরজা খোলামাত্রই মুখোমুখি হতে হয় ৭০ বছর উত্তীর্ণ এক বৃদ্ধ ভিখারির, যিনি শরীরের সবটুকু শক্তি সঞ্চয় করে পঞ্চমতলায় ওঠেন সপ্তাহান্তে নির্দিষ্ট কিছু টাকা পাবেন বলেই। টাকা ছাড়াও যে বৃদ্ধার কোনো দাবি থাকে না তা নয়। মুখোমুখি হলেই একটি বয়স্কভাতার কার্ড করে দিতে বলেন। কখনো ছেলে, মেয়ে, স্বামীর অবহেলার বিবরণ দিয়ে কাঁদেন। কখনো বা একটি নিরাপদ আশ্রয়ের দাবি করেন। যেখানে থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা, নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না। তাই বাধ্য হই ব্যস্ততার অজুহাতে বৃদ্ধাকে এড়িয়ে চলতে। যতটা পারি মুখোমুখি না হতে।
আমার গ্রামের অসহায় এক মা আসিয়া বেগম। তার সাক্ষাৎকার নিতে গেলে, তিনি তার অসুস্থ সন্তানের সব চিকিৎসাখরচের দাবি করেন। দেখছিলাম, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুটির করুণ অবস্থা। তরল খাবার ছাড়া শিশু কিছুই খেতে পারছিল না। শিশুটি শুধু পায়েস ও মিষ্টি খাওয়ার জন্য মায়ের কাছে বায়না করছিল। স্বামী পরিত্যক্তা অসহায় মা, উপায় না দেখে আমার দিকে হাত বাড়ান। তার চোখের ভাষা আমায় বুঝিয়ে দেয়- শুধু সাক্ষাৎকার নিতে নয়, বরং স্রষ্টা আমায় পাঠিয়েছেন তার হিতাকাক্সক্ষী-সাহায্যকারী হিসেবেও। তাই তিনি দৃঢ়বিশ্বাস নিয়ে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দেন। আমি তাকে ফিরিয়ে দিতে পারিনি। ব্যাগে যা কিছু ছিল এর প্রায় সবটাই তার হাতে তুলে দেই। ফেরার পথে হাতে হাত রেখে দেই ভরসা। শোনাই অসাধ্য অভয়বাণী। যাতে ওই স্থান থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাই ছাড়পত্র। হতে পারি অসহায়, অভাবী এই দুই জোড়া করুণ চোখের আড়াল।
এবার আমি এই রাজধানীর বিলাসবহুল একটি হোটেল প্রাঙ্গণে। সেখানে দেখা মিলছিল এক নিশিকন্যার। ছদ্মনামধারী মিতা জানান, সে শিক্ষিত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। তার বাবা মারা গেছেন বছর তিনেক হলো। পরিবারে মা, প্রবীণ দাদী মা ছাড়াও ছোট দুই ভাইবোন আছে। বিস্তারিত বলতে মিতা জানান, বাবার ইচ্ছে ছিল বড় মেয়ে আইন পেশা বেছে নেবে। কিন্তু তার অকালমৃত্যুতে আমাদের পরিবারে রাতারাতি ধস নামে। তবুও আমি হার মানছিলাম না। চাকরির জন্য যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছি। অবশেষে সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে একটি চাকরি জোটে। কী কাজ, কতটা সময় দিতে হবে, কী পদমর্যাদা কিছুই তলিয়ে দেখিনি। দেখার মতো সময় ও সুযোগও ছিল না। কর্মক্ষেত্রে এসে যখন জানলাম ঊর্ধ্বতনদের মনোরঞ্জন করাই প্রধান কাজ, তখন পায়ের নিচে থাকা বালুর বাঁধ, যেটুকু আঁকড়ে ধরে সবাইকে নিয়ে বাঁচার জন্য মরিয়া হয়ে উঠলাম। মিতা আরো জানান, পরিবারের কেউ বিষয়টি জানে না। সে জানাতেও চায় না। সবাই জানে, সে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে সম্মানজনক পদে আছে। আর এ কারণেই পরিচয় পাওয়া মাত্র মিতা আমার কাছে একটি চাকরির প্রত্যাশা করে। যাতে সে তার পরিবারের জানা বিষয়টি সত্য বলে প্রমাণ করতে পারে। মিতার চোখেমুখে আমার প্রতি, আমার ক্ষমতার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস দেখছিলাম। না! পারিনি তার বিশ্বাস তাৎক্ষণিকভাবে ভাঙতে। তাই তো বসা থেকে উঠে দাঁড়ালাম। তার মাথায় নির্ভরতার হাত রাখলাম। নিজ থেকে ফোন নম্বর চেয়েছিলাম। আলতো করে বুকে টেনে নিয়ে বললাম, তুমি সফল হবেই। পারবে কাক্সিক্ষত সাফল্যে পৌঁছতে আমার হাত ধরে কিংবা অন্য কারো। মিতার ফোন নম্বরটি এখনো আমার কাছে আছে। কিন্তু কোনো এক দিনের জন্যও তাকে ফোন করিনি। নিজেকে রাখছি এর থেকে চোরকাঠির মতো লুকিয়ে।
রোজ যে পথ ধরে প্রাতঃভ্রমণে যাই, সেখানেই দেখা মেলে অনেক পথশিশুর। এদের কেউ ফুল, খবরের কাগজ, ঠাণ্ডা পানি বিক্রি করে। কেউবা করে ভিক্ষা। এদেরই একজন আমাকে ‘মা’ বলে ডাকে। ওর নাম সুফি। ও জানায়, ওর দিনমজুর মা রোজ সকালে ছয় বছরের সুফিকে সিগন্যাল পয়েন্টে রেখে যান। আবার রাত ৮-৯টা নাগাদ তাকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। এক দিন এর মায়ের সাথে দেখা। বলেন, ওকে দেখার মতো কেউ নেই। এখানে রাইখা কাজে গেলে কিছু টাকা আয় হয়। পরিচিতরা দেইখাও রাখে। কথা শেষ না হতেই আকস্মিকভাবে তিনি আমার হাত ধরেন। বলেন- আফা, আপনে এরে লইয়া যান। পড়ালেখা শিখে মানুষ হোক। কী উত্তর দেবো। এর দায়িত্ব নেয়ার সময়, শক্তি ও সাহস কোনোটিই আমার নেই। নাকি সত্যিটাই বলব, এ পরিবেশ ছেড়ে ও আমার পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারবে না। কোনোমতে হাতটা ছাড়িয়ে নিলাম। কৌশলী মানুষদের মতো করে বললাম- ওর দায়িত্ব আমি একা কেন, আমরা সবাই তো নিচ্ছি। দেখুন সবার ভালোবাসা, আদর স্নেহে ও কতটাই হেসেখেলে আনন্দে দিন পার করছে। প্রকৃতির প্রাণোচ্ছ্বল পরিবেশে বড় হচ্ছে।
এমন অনেক অনেক ঘটনা দীর্ঘতম পথচলায় হয়েছে নিত্যসঙ্গী। তবে বেশি অসহায় লাগে যখন কেউ ভুল বোঝে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে। অনিচ্ছাকৃত দুর্বলতা ও ভুলকে বড় করে দেখে। তা নিয়ে উপহাস-পরিহাস করে। তবুও ভালো লাগে ভালোবাসার অধ্যায়ে কাজ করতে পারছি ভেবে। হোক এ ভালোবাসার পথচলায় অনিশ্চয়তা।

এই পোস্ট শেয়ার করুন:

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০৩
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:২১
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৮
  • ১১:৫৩
  • ৩:৪২
  • ৫:২১
  • ৬:৩৭
  • ৬:২২

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০