কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে খুলনা জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘খুলনা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি’র নবীন বরণ ও প্রবীণদের সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৬ নম্বর কক্ষে এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে নবীনদের ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ এবং প্রবীণদের ক্রেস্ট ও বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি সাদজাতুল্লাহ শেখ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সৈয়দ মাহমুদুর রহমান, প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আব্দুল গফুর গাজী, সহকারী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম জুয়েল, উপ-রেজিস্ট্রার মাকসুদর রহমান মাসুদসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা।
নবীন শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “খুলনা জেলা সমিতির এমন আয়োজন আমাদের নতুন যাত্রাকে অনেক আনন্দময় করেছে। এখানে আমরা নতুন বন্ধু, বড় ভাই-বোনদের স্নেহ ও ভালোবাসা পেয়ে নিজেদের পরিবারের অংশ মনে করছি। আমরা চাই, সবাই মিলেমিশে একসাথে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে পারি।”
প্রবীণ শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুধু পড়ালেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এখানে মানবিক গুণাবলি, সহনশীলতা ও সহযোগিতার মানসিকতা গড়ে তোলাও জরুরি। নতুন শিক্ষার্থীরা এই মানসিকতা ধারণ করবে এবং একে অপরের পাশে থাকবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, “খুলনা জেলা সমিতি বরাবরই সক্রিয়। শিক্ষার্থীদের সাথে আমাদের যোগাযোগ আরও বাড়ানো দরকার। তোমরা যেকোনো সমস্যা বা প্রয়োজনে আমাদের কাছে আসতে পারো। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সংগঠনে যুক্ত হয়ে নিজেদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগও রয়েছে।” তিনি প্রবীণদের আগামী দিনের জন্য শুভকামনা জানিয়ে বলেন, “তোমরা একদিন দেশের নেতৃত্বে আসবে। সেই লক্ষ্যেই নিজেদের তৈরি করো।”
সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি সাদজাতুল্লাহ শেখ বলেন, “অনুষ্ঠান সফল করতে যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। নবীনদের অভিনন্দন এবং প্রবীণদের জন্য শুভকামনা। খুব শিগগিরই খুলনা জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে, যাতে অর্থের কারণে কারো পড়ালেখা ব্যাহত না হয়। আমরা পরিবার হিসেবে একে অপরের পাশে থাকব, ইনশাআল্লাহ।”
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে। সঞ্চালনায় ছিলেন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রূপক এবং সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া সাবরিনা।