শিরোনাম :
Logo মব সন্ত্রাস নিয়ে সমাজের আতঙ্ক ও রাষ্ট্রের নীরবতা Logo ইবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, শিক্ষার্থীদের বজ্রকণ্ঠে প্রতিবাদ Logo ইবিতে খুলনা জেলা সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ সম্মাননা Logo চাঁদপুরে খতিবকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে ইমাম পরিষদের মানববন্ধন Logo চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ক্লু-লেস হাবিব হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার Logo সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না : নাহিদ ইসলাম Logo নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ না পেলে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ঘোষণা এনসিপির Logo ভারতের শুল্ক ২০ শতাংশের কম হতে পারে,যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তি Logo ট্রাকচাপায় ব্যবসায়ী নিহত Logo চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে দ্বিগুণ দামে টিকিট বিক্রি, কেবিনের জন্য বাড়তি টাকা

ভারতের শুল্ক ২০ শতাংশের কম হতে পারে,যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৪৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • ৭১৩ বার পড়া হয়েছে

অন্তর্র্বতী বাণিজ্য চুক্তি করতে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। ইকোনমিক টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে, এই চুক্তির আওতায় ভারতের পণ্যে শুল্কের হার ২০ শতাংশের নিচে নামতে পারে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় সুবিধাজনক জায়গায় চলে যাবে ভারত।

আলোচনা এমন পর্যায়ে আছে, যেখানে ভারত আশা করছে, গত সপ্তাহে ট্রাম্প যেভাবে ২২টি দেশকে চিঠি পাঠিয়ে শুল্কের হার জানিয়েছেন এবং ট্রুথ সোশ্যালে তা প্রকাশ করেছেন, ভারতের বেলায় তা হবে না। ভারত আশা করছে, বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশিত হবে।এসব আলোচনা গোপনে হচ্ছে। তাই সূত্রগুলো নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইকোনমিক টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছে। অন্তর্র্বতী চুক্তি হলে উভয় পক্ষ চলমান আলোচনা অব্যাহত রাখার সুযোগ পাবে। সেই সঙ্গে বড় পরিসরের চুক্তির আগে ভারত অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিষ্পত্তির সময় পাবে।

২ এপ্রিল ট্রাম্প প্রথম যে পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করেন, তখন ভারতের শুল্কহার নির্ধারণ করা হয় ২৬ শতাংশ। অন্তর্র্বতী চুক্তিতে তা ২০ শতাংশের নিচে নামলে ভারত সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে। শুল্কহার শেষমেশ ২০ শতাংশের নিচে নামলে তা ভারতের কূটনীতিকদের সফলতা হিসেবেই বিবেচিত হবে বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে।এ ছাড়া চূড়ান্ত চুক্তির অংশ হিসেবে উভয় পক্ষের মধ্যে শুল্কহার নিয়ে আলোচনার পথ খোলা রাখার শর্তও থাকতে পারে বলে সংবাদে বলা হয়েছে। তবে অন্তর্র্বতী চুক্তি ঠিক কখন ঘোষণা করা হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

অন্তর্র্বতী চুক্তি হয়ে গেলে ভারত সেই হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাতারে থাকবে, যারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তি করতে পেরেছে। যাদের সঙ্গে চুক্তি আলোচনায় বিশেষ অগ্রগতি হয়নি, সেসব দেশের উদ্দেশে একের পর এক চিঠি দিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। কিছু ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এসব শুল্ক আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এমনকিও কানাডাও আছে এই তালিকায়। দেশটির ওপর শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ শতাংশ।ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে পাঠানো ই–মেইলের জবাব দেয়নি। হোয়াইট হাউস ও মার্কিন বাণিজ্য দপ্তর থেকেও তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস।

সংবাদে বলা হয়েছে, ভারতের চুক্তির শর্ত ভিয়েতনামের চেয়ে সুবিধাজনক হবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভিয়েতনামের পণ্যে ২০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু ভিয়েতনাম এ নিয়ে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েছে এবং তা কমানোর চেষ্টা করছে। এর বাইরে কেবল যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করেছেন ট্রাম্প।বৃহস্পতিবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, বেশির ভাগ বাণিজ্য অংশীদারের ওপর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে একক শুল্ক আরোপের কথা ভাবছেন, যদিও তাদের এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়নি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বাণিজ্য অংশীদারের সর্বনিম্ন শুল্কহার ১০ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প যেসব দেশের পণ্যে শুল্ক আরোপ করে চিঠি দিয়েছেন, সেসবের মধ্যে এশিয়ার কয়েকটি দেশ আছে। সেই দফায় ট্রাম্প লাওসের ওপর ৪০ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ, কম্বোডিয়া ৩৬ শতাংশ, থাইল্যান্ড ৩৬ শতাংশ, বাংলাদেশ ৩৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ৩২ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও মালয়েশিয়ার পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলেছেন।চলতি বছরের শুরু থকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা করতে ভারত হোয়াইট হাউসের দ্বারস্থ হচ্ছে। চুক্তিটি হতে দেরি হচ্ছে। এমনকি সম্প্রতি দেশ দুটির সম্পর্কের অবনতি হয়েছে বলেও জানা যায়। গত সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। একই সঙ্গে তিনি ব্রিকস জোটে অংশগ্রহণের কারণে ভারতের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছেন। আলোচনা এগিয়ে নিতে ভারতীয় প্রতিনিধিদল শিগগিরই ওয়াশিংটন সফর করতে পারে।

তবে উভয় পক্ষই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ওয়াশিংটনের দাবি, ভারত যেন জিনগতভাবে পরিবর্তিত (জিএম) ফসলের বাজার উন্মুক্ত করে; কিন্তু ভারত তার কৃষকের স্বার্থের কথা বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। অনেক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কৃষি বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু ভারত বরাবরই বলেছে, তাদের ছোট কৃষকদের জীবন-জীবিকা, খাদ্যনিরাপত্তা ও গ্রামীণ অর্থনীতির স্বার্থেই এ খাত রক্ষা করতে হবে।ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্যের বাণিজ্য এখনো খুবই সীমিত, মাত্র ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলারের। ভারত চাল, চিংড়ি ও মসলা রপ্তানি করে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে বাদাম, আপেল আর ডাল।

কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন চাইছে ভারত বিপুল পরিমাণে যুক্তরাষ্ট্রের ভুট্টা, সয়াবিন, তুলা ইত্যাদি কিনুক। এতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৪৫ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য–ঘাটতি কিছুটা হলেও কমবে।

এ ছাড়া কৃষি খাতে অশুল্ক বাধা ও ওষুধশিল্পে নিয়ন্ত্রণপ্রক্রিয়া–সংক্রান্ত বিষয়েও দুই পক্ষ সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন বা ৫০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করতে চায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। যদিও বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য মাত্র ১৯১ বিলিয়ন বা ১৯ হাজার ১০০ কোটি ডলারের।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মব সন্ত্রাস নিয়ে সমাজের আতঙ্ক ও রাষ্ট্রের নীরবতা

ভারতের শুল্ক ২০ শতাংশের কম হতে পারে,যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তি

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৪৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

অন্তর্র্বতী বাণিজ্য চুক্তি করতে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। ইকোনমিক টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে, এই চুক্তির আওতায় ভারতের পণ্যে শুল্কের হার ২০ শতাংশের নিচে নামতে পারে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় সুবিধাজনক জায়গায় চলে যাবে ভারত।

আলোচনা এমন পর্যায়ে আছে, যেখানে ভারত আশা করছে, গত সপ্তাহে ট্রাম্প যেভাবে ২২টি দেশকে চিঠি পাঠিয়ে শুল্কের হার জানিয়েছেন এবং ট্রুথ সোশ্যালে তা প্রকাশ করেছেন, ভারতের বেলায় তা হবে না। ভারত আশা করছে, বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশিত হবে।এসব আলোচনা গোপনে হচ্ছে। তাই সূত্রগুলো নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইকোনমিক টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছে। অন্তর্র্বতী চুক্তি হলে উভয় পক্ষ চলমান আলোচনা অব্যাহত রাখার সুযোগ পাবে। সেই সঙ্গে বড় পরিসরের চুক্তির আগে ভারত অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিষ্পত্তির সময় পাবে।

২ এপ্রিল ট্রাম্প প্রথম যে পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করেন, তখন ভারতের শুল্কহার নির্ধারণ করা হয় ২৬ শতাংশ। অন্তর্র্বতী চুক্তিতে তা ২০ শতাংশের নিচে নামলে ভারত সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে। শুল্কহার শেষমেশ ২০ শতাংশের নিচে নামলে তা ভারতের কূটনীতিকদের সফলতা হিসেবেই বিবেচিত হবে বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে।এ ছাড়া চূড়ান্ত চুক্তির অংশ হিসেবে উভয় পক্ষের মধ্যে শুল্কহার নিয়ে আলোচনার পথ খোলা রাখার শর্তও থাকতে পারে বলে সংবাদে বলা হয়েছে। তবে অন্তর্র্বতী চুক্তি ঠিক কখন ঘোষণা করা হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

অন্তর্র্বতী চুক্তি হয়ে গেলে ভারত সেই হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাতারে থাকবে, যারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তি করতে পেরেছে। যাদের সঙ্গে চুক্তি আলোচনায় বিশেষ অগ্রগতি হয়নি, সেসব দেশের উদ্দেশে একের পর এক চিঠি দিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। কিছু ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এসব শুল্ক আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এমনকিও কানাডাও আছে এই তালিকায়। দেশটির ওপর শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ শতাংশ।ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে পাঠানো ই–মেইলের জবাব দেয়নি। হোয়াইট হাউস ও মার্কিন বাণিজ্য দপ্তর থেকেও তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস।

সংবাদে বলা হয়েছে, ভারতের চুক্তির শর্ত ভিয়েতনামের চেয়ে সুবিধাজনক হবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভিয়েতনামের পণ্যে ২০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু ভিয়েতনাম এ নিয়ে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েছে এবং তা কমানোর চেষ্টা করছে। এর বাইরে কেবল যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করেছেন ট্রাম্প।বৃহস্পতিবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, বেশির ভাগ বাণিজ্য অংশীদারের ওপর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে একক শুল্ক আরোপের কথা ভাবছেন, যদিও তাদের এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়নি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বাণিজ্য অংশীদারের সর্বনিম্ন শুল্কহার ১০ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প যেসব দেশের পণ্যে শুল্ক আরোপ করে চিঠি দিয়েছেন, সেসবের মধ্যে এশিয়ার কয়েকটি দেশ আছে। সেই দফায় ট্রাম্প লাওসের ওপর ৪০ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ, কম্বোডিয়া ৩৬ শতাংশ, থাইল্যান্ড ৩৬ শতাংশ, বাংলাদেশ ৩৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ৩২ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও মালয়েশিয়ার পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলেছেন।চলতি বছরের শুরু থকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা করতে ভারত হোয়াইট হাউসের দ্বারস্থ হচ্ছে। চুক্তিটি হতে দেরি হচ্ছে। এমনকি সম্প্রতি দেশ দুটির সম্পর্কের অবনতি হয়েছে বলেও জানা যায়। গত সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। একই সঙ্গে তিনি ব্রিকস জোটে অংশগ্রহণের কারণে ভারতের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছেন। আলোচনা এগিয়ে নিতে ভারতীয় প্রতিনিধিদল শিগগিরই ওয়াশিংটন সফর করতে পারে।

তবে উভয় পক্ষই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ওয়াশিংটনের দাবি, ভারত যেন জিনগতভাবে পরিবর্তিত (জিএম) ফসলের বাজার উন্মুক্ত করে; কিন্তু ভারত তার কৃষকের স্বার্থের কথা বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। অনেক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কৃষি বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু ভারত বরাবরই বলেছে, তাদের ছোট কৃষকদের জীবন-জীবিকা, খাদ্যনিরাপত্তা ও গ্রামীণ অর্থনীতির স্বার্থেই এ খাত রক্ষা করতে হবে।ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্যের বাণিজ্য এখনো খুবই সীমিত, মাত্র ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলারের। ভারত চাল, চিংড়ি ও মসলা রপ্তানি করে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে বাদাম, আপেল আর ডাল।

কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন চাইছে ভারত বিপুল পরিমাণে যুক্তরাষ্ট্রের ভুট্টা, সয়াবিন, তুলা ইত্যাদি কিনুক। এতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৪৫ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য–ঘাটতি কিছুটা হলেও কমবে।

এ ছাড়া কৃষি খাতে অশুল্ক বাধা ও ওষুধশিল্পে নিয়ন্ত্রণপ্রক্রিয়া–সংক্রান্ত বিষয়েও দুই পক্ষ সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন বা ৫০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করতে চায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। যদিও বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য মাত্র ১৯১ বিলিয়ন বা ১৯ হাজার ১০০ কোটি ডলারের।