বাংলাদেশে শনাক্ত ‘রিওভাইরাস,’ রোগটি কী, কতোটা মারাত্মক?

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:০০:৪৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭২৫ বার পড়া হয়েছে

দেশে প্রথমবারের মতো ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)। পাঁচ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হলেও কারও অবস্থাই গুরুতর ছিল না। আক্রান্ত পাঁচজনের কারও ক্ষেত্রে তেমন কোনো জটিলতা দেখা যায়নি। চিকিৎসা শেষে তারা সবাই বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে প্রতি বছর অনেকে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে। সেরকম লক্ষণ দেখে কয়েকজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাদের নমুনায় রিওভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে”।
ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে লক্ষণগুলো হয় তা অন্যান্য ভাইরাসের মতোই অনেকটা।

ভাইরোলজিস্ট ও বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “এই ভাইরাসগুলো অনেক দিন থেকে আমাদের মধ্যে আছে। ইনফেকশন করলেও সে তেমন ক্ষতিকারক না। এমন পৃথিবীতে অনেক ভাইরাস আছে যারা প্রতিনিয়ত ইনফেক্ট করে কিন্তু কোন ধরনের বড় ক্ষতির কারণ না”।

চিকিৎসকদের মতে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত তেমন গুরুত্বর কোন লক্ষণ দেখা যায় না। যে কারণে এর জন্য আলাদা কোন চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। সেই সাথে আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ তাদের।
শীতে খেজুরের কাঁচা রস পান করার পর প্রতিবছর অনেকেই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসেন। যে ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস পাওয়া গেছে তারা সবাই নিপা ভাইরাস নেগেটিভ ছিলো। এরা শনাক্ত হয় ২০২৪ সালে। এই রোগটি তেমন বিস্তার লাভ করেনি। দেশে ওই ৫ জনই প্রথম।  আইইডিসিআর বলছে, মূলত নতুন রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর ওপর নিয়মিত গবেষণার অংশ হিসেবে এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে লক্ষণগুলো হয় তা অন্যান্য ভাইরাসের মতোই অনেকটা। ভাইরোলজিস্ট ও বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “এই ভাইরাসগুলো অনেক দিন থেকে আমাদের মধ্যে আছে। ইনফেকশন করলেও সে তেমন ক্ষতিকারক না। এমন পৃথিবীতে অনেক ভাইরাস আছে যারা প্রতিনিয়ত ইনফেক্ট করে কিন্তু কোন ধরনের বড় ক্ষতির কারণ না”।

চিকিৎসকদের মতে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত তেমন গুরুত্বর কোন লক্ষণ দেখা যায় না। যে কারণে এর জন্য আলাদা কোন চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। সেই সাথে আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ তাদের। খবর, বিবিসি

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে শনাক্ত ‘রিওভাইরাস,’ রোগটি কী, কতোটা মারাত্মক?

আপডেট সময় : ০৫:০০:৪৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

দেশে প্রথমবারের মতো ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)। পাঁচ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হলেও কারও অবস্থাই গুরুতর ছিল না। আক্রান্ত পাঁচজনের কারও ক্ষেত্রে তেমন কোনো জটিলতা দেখা যায়নি। চিকিৎসা শেষে তারা সবাই বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে প্রতি বছর অনেকে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে। সেরকম লক্ষণ দেখে কয়েকজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাদের নমুনায় রিওভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে”।
ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে লক্ষণগুলো হয় তা অন্যান্য ভাইরাসের মতোই অনেকটা।

ভাইরোলজিস্ট ও বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “এই ভাইরাসগুলো অনেক দিন থেকে আমাদের মধ্যে আছে। ইনফেকশন করলেও সে তেমন ক্ষতিকারক না। এমন পৃথিবীতে অনেক ভাইরাস আছে যারা প্রতিনিয়ত ইনফেক্ট করে কিন্তু কোন ধরনের বড় ক্ষতির কারণ না”।

চিকিৎসকদের মতে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত তেমন গুরুত্বর কোন লক্ষণ দেখা যায় না। যে কারণে এর জন্য আলাদা কোন চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। সেই সাথে আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ তাদের।
শীতে খেজুরের কাঁচা রস পান করার পর প্রতিবছর অনেকেই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসেন। যে ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস পাওয়া গেছে তারা সবাই নিপা ভাইরাস নেগেটিভ ছিলো। এরা শনাক্ত হয় ২০২৪ সালে। এই রোগটি তেমন বিস্তার লাভ করেনি। দেশে ওই ৫ জনই প্রথম।  আইইডিসিআর বলছে, মূলত নতুন রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর ওপর নিয়মিত গবেষণার অংশ হিসেবে এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে লক্ষণগুলো হয় তা অন্যান্য ভাইরাসের মতোই অনেকটা। ভাইরোলজিস্ট ও বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “এই ভাইরাসগুলো অনেক দিন থেকে আমাদের মধ্যে আছে। ইনফেকশন করলেও সে তেমন ক্ষতিকারক না। এমন পৃথিবীতে অনেক ভাইরাস আছে যারা প্রতিনিয়ত ইনফেক্ট করে কিন্তু কোন ধরনের বড় ক্ষতির কারণ না”।

চিকিৎসকদের মতে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত তেমন গুরুত্বর কোন লক্ষণ দেখা যায় না। যে কারণে এর জন্য আলাদা কোন চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। সেই সাথে আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ তাদের। খবর, বিবিসি