বুধবার | ২৬ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান Logo নোবিপ্রবিতে সীরাত মাহফিল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলো রেজুয়ারা চকরিয়ায় রেললাইন পার হবার সময় ট্রেনের ইঞ্জিন বগির ধাক্কার বৃদ্ধা নারী নিহত Logo ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে যেকোনো দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে : ইসি সানাউল্লাহ Logo চুয়াডাঙ্গায় কৃষকদের সাথে চলছে এক প্রকার প্রতারণা। আসল কোম্পানির মোড়কের মধ্যে নকল ভুট্টা বীজ ঢুকিয়ে বিক্রি

উমর (রা.)-এর বড় ভাই জায়েদ ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর বীরত্ব

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০১:৩২:৪৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • ৮১১ বার পড়া হয়েছে

নবীজি (সা.)-এর প্রতিটি সাহাবিই তাঁকে জীবনের চাইতে বেশি ভালোবাসতেন। ফলে তাঁরা নিজেদের ইসলামের তরে উত্সর্গ করে দিয়েছিলেন। অত্যন্ত সাহসিকতা ও বীরত্বে সঙ্গে আজীবন ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন। তেমনই একজন বীর সাহাবি জায়েদ ইবনে খাত্তাব (রা.)। তাঁর নাম জায়েদ। উপনাম আবু আবদুর রহমান। পিতা খাত্তাব। তাঁর আরেকটি বড় পরিচয় হলো, তিনি ইসলামের আরেক বীর সৈনিক উমর (রা.)-এর বৈমাত্রেয় ভাই। বয়সে তিনি ছিলেন উমর (রা.)-এর বড়। বংশপরম্পরা উমর (রা.)-এর জীবনীতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর মা আসমা বিনতে ওহাব ইবনে হাবিব (বনু আসাদ ইবনে খুজাইমা গোত্রের মেয়ে)। আর উমর (রা.)-এর মা হানতামা বিনতে হিশাম ইবনে মুগিরা (বনু মাখজুম গোত্রের মেয়ে)।

ইসলাম গ্রহণ করেন উমর (রা.)-এর আগে। প্রথম পর্বের হিজরতকারীদের সঙ্গে মদিনায় হিজরত করেন। হিজরতের পর রাসুল (সা.) মা’ন ইবনে আদি আল-আজলানি আল-আনসারি (রা.)-এর সঙ্গে তাঁর ভ্রাতৃত্ব সম্পর্ক স্থাপন করে দেন।

বদর, উহুদ, খন্দকসহ সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাইআতে রিজওয়ান ও বিদায় হজেও রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বীর ও সাহসী যোদ্ধা। ইসলামের জন্য শাহাদাতের পূর্ণ তামান্না নিয়ে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতেন। উহুদ যুদ্ধে তাঁর বর্মটি খুলে পড়ে গেলে তাঁর ভাই উার (রা.) নিজের বর্মটি পরিয়ে নিতে বলেন। প্রতিউত্তরে তিনি ললেন, ‘আমার বর্মের প্রয়োজন নেই; তুমি যেমন শাহাদতের আগ্রহী, আমিও আগ্রহী।’

প্রথম খলিফা আবু বকর (রা.)-এর যুগে ১২ হিজরি সনে ইয়ামামার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সে যুদ্ধে মুসলমানদের পতাকাটি ছিল তাঁর হাতে। তরবারির আঘাতে বীরত্বের সঙ্গে শত্রু নিধন করতে করতে শাহাদতের অমিয় সুধা পান করেন। ভাই উমর (রা.) তাঁর শাহাদতে ভীষণ মর্মাহত হন।

তিনি আবদুর রহমান নামে এক ছেলে ও আসমা নামে এক মেয়ে রেখে যান। (তথ্যঋণ : আল-ইস্তিআব ২/৫৫০-৫৫৩; উসদুল গাবা ২/১৩৪; সিয়ার আলামিন নুবালা : ৩/১৮৪)

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

উমর (রা.)-এর বড় ভাই জায়েদ ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর বীরত্ব

আপডেট সময় : ০১:৩২:৪৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

নবীজি (সা.)-এর প্রতিটি সাহাবিই তাঁকে জীবনের চাইতে বেশি ভালোবাসতেন। ফলে তাঁরা নিজেদের ইসলামের তরে উত্সর্গ করে দিয়েছিলেন। অত্যন্ত সাহসিকতা ও বীরত্বে সঙ্গে আজীবন ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন। তেমনই একজন বীর সাহাবি জায়েদ ইবনে খাত্তাব (রা.)। তাঁর নাম জায়েদ। উপনাম আবু আবদুর রহমান। পিতা খাত্তাব। তাঁর আরেকটি বড় পরিচয় হলো, তিনি ইসলামের আরেক বীর সৈনিক উমর (রা.)-এর বৈমাত্রেয় ভাই। বয়সে তিনি ছিলেন উমর (রা.)-এর বড়। বংশপরম্পরা উমর (রা.)-এর জীবনীতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর মা আসমা বিনতে ওহাব ইবনে হাবিব (বনু আসাদ ইবনে খুজাইমা গোত্রের মেয়ে)। আর উমর (রা.)-এর মা হানতামা বিনতে হিশাম ইবনে মুগিরা (বনু মাখজুম গোত্রের মেয়ে)।

ইসলাম গ্রহণ করেন উমর (রা.)-এর আগে। প্রথম পর্বের হিজরতকারীদের সঙ্গে মদিনায় হিজরত করেন। হিজরতের পর রাসুল (সা.) মা’ন ইবনে আদি আল-আজলানি আল-আনসারি (রা.)-এর সঙ্গে তাঁর ভ্রাতৃত্ব সম্পর্ক স্থাপন করে দেন।

বদর, উহুদ, খন্দকসহ সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাইআতে রিজওয়ান ও বিদায় হজেও রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বীর ও সাহসী যোদ্ধা। ইসলামের জন্য শাহাদাতের পূর্ণ তামান্না নিয়ে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতেন। উহুদ যুদ্ধে তাঁর বর্মটি খুলে পড়ে গেলে তাঁর ভাই উার (রা.) নিজের বর্মটি পরিয়ে নিতে বলেন। প্রতিউত্তরে তিনি ললেন, ‘আমার বর্মের প্রয়োজন নেই; তুমি যেমন শাহাদতের আগ্রহী, আমিও আগ্রহী।’

প্রথম খলিফা আবু বকর (রা.)-এর যুগে ১২ হিজরি সনে ইয়ামামার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সে যুদ্ধে মুসলমানদের পতাকাটি ছিল তাঁর হাতে। তরবারির আঘাতে বীরত্বের সঙ্গে শত্রু নিধন করতে করতে শাহাদতের অমিয় সুধা পান করেন। ভাই উমর (রা.) তাঁর শাহাদতে ভীষণ মর্মাহত হন।

তিনি আবদুর রহমান নামে এক ছেলে ও আসমা নামে এক মেয়ে রেখে যান। (তথ্যঋণ : আল-ইস্তিআব ২/৫৫০-৫৫৩; উসদুল গাবা ২/১৩৪; সিয়ার আলামিন নুবালা : ৩/১৮৪)