শিরোনাম :
Logo কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট Logo লক্ষ্মীপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের নগদ অর্থ প্রদান Logo বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চাঁদপুরে স্মরণকালের বর্ণাঢ্য র‌্যালি Logo জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শ্রীরাধার প্রেম ও প্রার্থনায় মুখর ইবির টিএসএসসি প্রাঙ্গণ Logo চবি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ Logo রাকসু নিয়ে উত্তেজনা ; বক্তব্য দেওয়ার সময় শিবির সভাপতির বুকে বোতল নিক্ষেপ Logo মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পানির ফিল্টার দিলেন স্বেচ্ছাসেবী নারী উদ্যোক্তা সংগঠন বিজয়ী Logo চাঁদপুরে মাদক নির্মূলে সাহসিকতার সাথে কাজ করছে সহকারী পরিচালক মুহাঃ মিজানুর রহমান Logo পশ্চিম ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা – ঐক্যবদ্ধভাবে মিলনকে এমপি করার অঙ্গীকার

ইবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, শিক্ষার্থীদের বজ্রকণ্ঠে প্রতিবাদ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন ফুটবল টুর্নামেন্টে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তারা।

রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করেন কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম (সিএমজে) বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে বিভাগের ২০২০-২১ থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে— গণমাধ্যম রুখে দাঁড়াক, নির্যাতনের প্রতিবাদ হোক; সাংবাদিকের ওপর হামলা মানেই গণতন্ত্রের কবর; সাংবাদিকের কণ্ঠরোধ মানি না, মানবো না; অপরাধ কোনটি, সাংবাদিকতা না হামলা?; যতই করো হামলা, কলম থামবে না— এমন নানা স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সংবাদ সংগ্রহের জন্য একজন সাংবাদিকের ওপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে এমন ঘটনা দুঃখজনক। একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব হলো ঘটনাস্থলের তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করা। আর সেই প্রক্রিয়ায় হামলার শিকার হওয়া স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী।

একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও চ্যানেল আই প্রতিনিধি সাদিয়া আফরিন অমিন্তা বলেন, “সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ নয়, এটি একটি মুক্ত পেশা। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মার খেতে হবে— এটি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের জন্য চরম লজ্জাজনক। আমরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহিমা হিমা বলেন, “তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আমাদের বিভাগের বড় ভাই হামলার শিকার হয়েছেন। সাংবাদিকতা সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত। সেই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি হামলার শিকার হতে হয়, তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত বিচার ও শাস্তির দাবি জানাই।”

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শামীম হোসেন বলেন, “গতকাল আমাদের সহপাঠী সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন। কোনো প্রেক্ষাপটেই একজন সাংবাদিককে প্রহার করা গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের সহপাঠীর পেশাগত দায়িত্ব ছিল ঘটনাটি ভিডিও করা, অথচ সেজন্যই তাকে নির্মমভাবে প্রহার করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির দাবি জানাই।”

এছাড়া মানববন্ধনে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও এনটিভি অনলাইনের প্রতিনিধি মায়িশা মালিহা চৌধুরী, দৈনিক খোলা কাগজের প্রতিনিধি ফারহানা ইয়াসমিন, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিনিধি ওয়াসিফ আল আবরার, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের প্রতিনিধি মানিক হোসেন, দৈনিক মূলধারার প্রতিনিধি আবু বকর, দৈনিক নীলকন্ঠ প্রতিনিধি সুবংকর রায়, রাজ টাইমসের প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাদ, দিক দিগন্তের প্রতিনিধি আবু সালমান এবং সবার দেশ প্রতিনিধি সংগীত কুমার।

ট্যাগস :

কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট

ইবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, শিক্ষার্থীদের বজ্রকণ্ঠে প্রতিবাদ

আপডেট সময় : ০৮:০৮:০৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন ফুটবল টুর্নামেন্টে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তারা।

রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করেন কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম (সিএমজে) বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে বিভাগের ২০২০-২১ থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে— গণমাধ্যম রুখে দাঁড়াক, নির্যাতনের প্রতিবাদ হোক; সাংবাদিকের ওপর হামলা মানেই গণতন্ত্রের কবর; সাংবাদিকের কণ্ঠরোধ মানি না, মানবো না; অপরাধ কোনটি, সাংবাদিকতা না হামলা?; যতই করো হামলা, কলম থামবে না— এমন নানা স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সংবাদ সংগ্রহের জন্য একজন সাংবাদিকের ওপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে এমন ঘটনা দুঃখজনক। একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব হলো ঘটনাস্থলের তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করা। আর সেই প্রক্রিয়ায় হামলার শিকার হওয়া স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী।

একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও চ্যানেল আই প্রতিনিধি সাদিয়া আফরিন অমিন্তা বলেন, “সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ নয়, এটি একটি মুক্ত পেশা। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মার খেতে হবে— এটি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের জন্য চরম লজ্জাজনক। আমরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহিমা হিমা বলেন, “তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আমাদের বিভাগের বড় ভাই হামলার শিকার হয়েছেন। সাংবাদিকতা সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত। সেই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি হামলার শিকার হতে হয়, তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত বিচার ও শাস্তির দাবি জানাই।”

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শামীম হোসেন বলেন, “গতকাল আমাদের সহপাঠী সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন। কোনো প্রেক্ষাপটেই একজন সাংবাদিককে প্রহার করা গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের সহপাঠীর পেশাগত দায়িত্ব ছিল ঘটনাটি ভিডিও করা, অথচ সেজন্যই তাকে নির্মমভাবে প্রহার করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির দাবি জানাই।”

এছাড়া মানববন্ধনে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও এনটিভি অনলাইনের প্রতিনিধি মায়িশা মালিহা চৌধুরী, দৈনিক খোলা কাগজের প্রতিনিধি ফারহানা ইয়াসমিন, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিনিধি ওয়াসিফ আল আবরার, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের প্রতিনিধি মানিক হোসেন, দৈনিক মূলধারার প্রতিনিধি আবু বকর, দৈনিক নীলকন্ঠ প্রতিনিধি সুবংকর রায়, রাজ টাইমসের প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাদ, দিক দিগন্তের প্রতিনিধি আবু সালমান এবং সবার দেশ প্রতিনিধি সংগীত কুমার।