শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত Logo ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ইবির আইসিটি বিভাগে নবীনবরণ Logo পলাশবাড়ীতে ভিডাব্লিউ ডি প্রকল্পে অনিয়মসহ স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। Logo যবিপ্রবি ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা: নিষিদ্ধ সংগঠনের দুই কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ Logo তেকানী ইউনিয়নের সচিব হালিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ Logo কচুয়ার শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়নে ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের অনন্য উদ্যোগ Logo কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অক্টোবর থেকে: বেবিচক চেয়ারম্যান” Logo মাদকসহ সাতক্ষীরা শহরের চিহ্নিত চোরাকারবারি আটক Logo দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারছি না: জ্বালানি উপদেষ্টা

হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কতৃক ভাষা শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি

শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (হাবিপ্রবিসাস)।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংগঠনটি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবিসাস এর উপদেষ্টা প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ শামসুজ্জোহা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ এমদাদুল হাসান, জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক মোঃ খাদেমুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি সাংবাদিক সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম ফাহিমুল্লাহ, সহ-সভাপতি রিয়া রানী মোদক, প্রচার সম্পাদক মোঃ তালহা হাসানসহ সমিতির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

আজকের দিনে ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম ফাহিমুল্লাহ বলেন, “১৯৫২ সালের এই ঐতিহাসিক দিনে সালাম,বরকত, রফিক, জব্বার এবং আমাদের অকুতোভয় শহিদরা রক্ত ঝরিয়ে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিশ্বের ইতিহাসে এটি এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যেখানে ভাষার জন্য মানুষ প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। তাঁদের এই আত্মত্যাগ আমাদের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর দায়িত্ববোধের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমাদের সব ক্ষেত্রে মাতৃভাষার ”

তিনি আরও বলেন,”একজন সাংবাদিক হিসেবে আমার দায়িত্ব কেবল সংবাদ প্রচারেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং শুদ্ধ ও সঠিক ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভাষার সৌন্দর্য ও বিশুদ্ধতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, যাতে ভাষার বিকৃতি ও অপব্যবহার রোধ করা যায়।

১৯৫২ সালের এ দিনে ১৪৪ ধারা ভেঙে বাংলা ভাষা রক্ষার আন্দোলনে নেমে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও কয়েকজন। তাদের সাহসিকতা ও বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ওই দিন মায়ের ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল বাঙালি জাতি।

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কতৃক ভাষা শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি

আপডেট সময় : ০২:৪৬:২২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (হাবিপ্রবিসাস)।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংগঠনটি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবিসাস এর উপদেষ্টা প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ শামসুজ্জোহা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ এমদাদুল হাসান, জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক মোঃ খাদেমুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি সাংবাদিক সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম ফাহিমুল্লাহ, সহ-সভাপতি রিয়া রানী মোদক, প্রচার সম্পাদক মোঃ তালহা হাসানসহ সমিতির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

আজকের দিনে ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম ফাহিমুল্লাহ বলেন, “১৯৫২ সালের এই ঐতিহাসিক দিনে সালাম,বরকত, রফিক, জব্বার এবং আমাদের অকুতোভয় শহিদরা রক্ত ঝরিয়ে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিশ্বের ইতিহাসে এটি এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যেখানে ভাষার জন্য মানুষ প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। তাঁদের এই আত্মত্যাগ আমাদের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর দায়িত্ববোধের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমাদের সব ক্ষেত্রে মাতৃভাষার ”

তিনি আরও বলেন,”একজন সাংবাদিক হিসেবে আমার দায়িত্ব কেবল সংবাদ প্রচারেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং শুদ্ধ ও সঠিক ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভাষার সৌন্দর্য ও বিশুদ্ধতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, যাতে ভাষার বিকৃতি ও অপব্যবহার রোধ করা যায়।

১৯৫২ সালের এ দিনে ১৪৪ ধারা ভেঙে বাংলা ভাষা রক্ষার আন্দোলনে নেমে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও কয়েকজন। তাদের সাহসিকতা ও বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ওই দিন মায়ের ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল বাঙালি জাতি।

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।