নিউজ ডেস্ক:
নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) আইনে সাধারণ মানুষের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে মূসক অব্যাহতিসহ বেশকিছু সুবিধা রয়েছে। তাই নতুন আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।
গতকাল শনিবার শেরপুর নাকুগাঁও শুল্ক স্টেশন প্রাঙ্গণে এনবিআর অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় নাকুগাঁও স্থল বন্দরের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) আইনে সাধারণ মানুষের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে মূসক অব্যাহতি রয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য টার্নওভার ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ভ্যাট দেওয়া লাগবে না। টার্নওভার ৮০ লাখ টাকা হলে মাত্র ৩ শতাংশ কর দিতে হবে। তাই নতুন আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, নাকুগাঁও স্টেশনের রাজস্ব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এনবিআর কাজ করবে। ব্যবসায়ীদের মতামত ও সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে, তা নিয়ে কাজ করবে। আগামী মাসে ভারত থেকে কাস্টমসের উচ্চ পর্যায়ে একটি প্রতিনিধিদল আসবে। নাকুগাঁও এর সঙ্গে ডালু স্টেশনের সম্পর্ক কীভাবে ঘনিষ্ঠ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
মো. নজিবুর রহমান বলেন, ‘সারা দেশে একটি রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি চালু হয়েছে। রাজস্ব আহরণকে আরো গণমুখী, করদাতাবান্ধব ও অধিকতর ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে এ স্টেশনে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে, রাজস্ব বাড়বে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে সরকার সব ধরনের সুবিধা দেবে। এ স্টেশনের মাধ্যমে রপ্তানির অপার সম্ভাবনা থাকলেও তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এতেও ব্যবসায়ীদের ভূমিকা রাখতে হবে। কর না দিলে কীভাবে উন্নয়ন হবে। সরকার তো বিদেশ থেকে টাকা এনে উন্নয়ন করবে না। বিদেশ থেকে টাকা আনতে হলে নাকে খর দিয়ে আনতে হয়।
শেরপুরের পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে সরকার শেরপুরে ইকোনমিক জোন করে দেবে। এতে ইন্ডাস্ট্রি করতে যে কাঁচামাল লাগবে, এ স্টেশন দিয়ে তা নিয়ে এলে সরকার ইন্ডাস্ট্রি করতে সহায়তা করবে। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় সারা দেশে ‘রাজস্ব যাত্রার’ অংশ হিসেবে মুখ্য সমন্বয়ক ও এনবিআর চেয়ারম্যান নাকুগাঁও শুল্ক স্টেশন পরিদর্শন ও বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর নাকুগাঁও শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে ৩০ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে।