মঙ্গলবার | ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীতে অফিসের হাটের বেদখল জায়গা উদ্ধারে জোর দাবি: আরইউটিডিপির বরাদ্দে আধুনিক স্থাপনা চায় পৌরবাসী Logo পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ Logo টেকনাফে গহীন পাহাড় থেকে নারী ও শিশুসহ ৭ জন উদ্ধার, আটক-৩ Logo কয়রায় জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী  গণসংযোগ Logo ইবিতে প্রশাসনের কমিটি থেকে পদত্যাগ বিএনপিপন্থী ৩ শিক্ষকের Logo খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা প্রত্যাশায় কয়রায় বিএনপির দোয়া মাহফিল Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

কেউ যাতে ন্যায়বিচার বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৩:০৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, কেউ যাতে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুলা) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বত্তৃদ্ধতায় প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ঐতিহ্য তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, জাতিকে নেতৃত্ব দিতে, জনসাধারণের সেবা করতে এবং বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখে চলেছেন রাবি আইন অনুষদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা স্মরণ করি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের, যাদের অসীম সাহসিকতায় একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের শহীদদের শ্রদ্ধা জানাই, যাদের অসীম আত্মত্যাগ এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছে। তাদের আর্তনাদ ছিল ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই’। এখন একটি ন্যায্য সমাজের অন্বেষণ প্রতিধ্বনিত হয়।

তিনি বলেন, আইনজীবীরা সংবিধানের প্রথম সারির রক্ষক। আইনজীবীরা কণ্ঠহীনদের প্রতিনিধিত্ব করেন। ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় অসীম ভূমিকা রাখেন আইনজীবীরা। তিনি বলেন, আইনজীবীরা বিচার বিভাগ ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচার বিভাগ সংস্কারের জন্য একটি ব্যাপক রোডম্যাপ ঘোষণা করেছি। এই উদ্যোগ আমাদের বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করতে এবং সততা ও দক্ষতার সঙ্গে জনগণের সেবা করার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার ভিত্তি।’

তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগীয় সংস্কারের জন্য মূল লক্ষ্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করা।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচার বিভাগের জন্য একটি পৃথক সচিবালয় তৈরির প্রক্রিয়া ঘোষণা করেছি, যা বিচার বিভাগের প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতা প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কাউন্সিল গঠনে সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

কেউ যাতে ন্যায়বিচার বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে

আপডেট সময় : ০৮:৫৩:০৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, কেউ যাতে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুলা) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বত্তৃদ্ধতায় প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ঐতিহ্য তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, জাতিকে নেতৃত্ব দিতে, জনসাধারণের সেবা করতে এবং বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখে চলেছেন রাবি আইন অনুষদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা স্মরণ করি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের, যাদের অসীম সাহসিকতায় একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের শহীদদের শ্রদ্ধা জানাই, যাদের অসীম আত্মত্যাগ এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছে। তাদের আর্তনাদ ছিল ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই’। এখন একটি ন্যায্য সমাজের অন্বেষণ প্রতিধ্বনিত হয়।

তিনি বলেন, আইনজীবীরা সংবিধানের প্রথম সারির রক্ষক। আইনজীবীরা কণ্ঠহীনদের প্রতিনিধিত্ব করেন। ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় অসীম ভূমিকা রাখেন আইনজীবীরা। তিনি বলেন, আইনজীবীরা বিচার বিভাগ ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচার বিভাগ সংস্কারের জন্য একটি ব্যাপক রোডম্যাপ ঘোষণা করেছি। এই উদ্যোগ আমাদের বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করতে এবং সততা ও দক্ষতার সঙ্গে জনগণের সেবা করার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার ভিত্তি।’

তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগীয় সংস্কারের জন্য মূল লক্ষ্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করা।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচার বিভাগের জন্য একটি পৃথক সচিবালয় তৈরির প্রক্রিয়া ঘোষণা করেছি, যা বিচার বিভাগের প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতা প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কাউন্সিল গঠনে সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছি।