নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১১.৩৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৩.৮০ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর)) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতি নিয়ে নভেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিবিএস এর প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।
বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, নভেম্বর মাসে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আগের মাস অক্টোবরে যা ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
গত বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েছে। অক্টোবর মাসে এখাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, অথচ নভেম্বর মাসে বেড়ে যা হয়েছে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে জুলাই মাস জুড়ে আন্দোলন করছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে করে দেশে এক ধরনের অচল অবস্থা দেখা যায়। ফলে ঢাকা কার্যত দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ছিল, বন্ধ ছিল পণ্যের সরবরাহ। এর ফলে জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ হয়েছিল।
মূল্যস্ফীতি ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়। বাংলাদেশে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে। দেশের নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়েছে।