শিরোনাম :
Logo বাংলাদেশকে ‘ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’ বানানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Logo শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচ অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল Logo বাজেট উপস্থাপনের সময় পরিবর্তন Logo কুবির সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির নিন্দা ও প্রতিবাদ Logo রোটারেক্ট ক্লাব অব এইচএসটিইউ এর নেতৃত্বে সিয়াম-নিলয় Logo চুয়াডাঙ্গায় গাফফার হত্যার বিচারের দাবিতে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ Logo বিজিএমইএ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মাহমুদ হাসান খান বাবু জীবননগর উপজেলা বিএনপিসহ প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে অভিনন্দন Logo চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে ভারতীয় নাগরিক Logo বিচারহীনতায় বাড়ছে মানব পাচার, কার্যকর উদ্যোগ নেই সরকারের6 Logo এবার নেতাকর্মীদের যে বার্তা দিলেন জামায়াত আমির

মুন্নী সাহার স্থগিত ব্যাংক হিসাবে ১৪ কোটি টাকা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) জানিয়েছে, সাংবাদিক মুন্নী সাহা তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে বেতনের বাইরে ১৩৪ কোটি টাকা জমা করেছেন। এর মধ্যে ১২০ কোটি টাকা বিভিন্ন সময় উত্তোলন করা হয়েছে, এবং বর্তমানে স্থগিত হিসাবে ১৪ কোটি টাকা রয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মুন্নী সাহা, তার স্বামী কবির হোসেন তাপস এবং তাদের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশন সংস্থার ব্যাংক হিসাবে এই অর্থ জমা হয়েছে। এছাড়া, গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোডে শান্তিনিকেতন এলাকায় তাদের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওয়ান ব্যাংকের কারওয়ানবাজার শাখায় ২০১৭ সালের ২ মে কবির হোসেন তাপসের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশন নামে একটি হিসাব খোলা হয়, যেখানে নমিনি হিসেবে মুন্নী সাহার নাম ছিল। এই হিসাবের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ নেওয়া হয়। ঋণটি সময়মতো পরিশোধ না করায়, বারবার সুদ মওকুফ এবং ঋণ নবায়ন করা হয়। ২০১৭ সালে সুদ মওকুফের পরিমাণ ছিল ২৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

এরপর ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, তিনটি চেকের মাধ্যমে এমএস প্রমোশনের হিসাব থেকে ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রাইম ট্রেডার্স নামে অন্য একটি হিসাবের দিকে স্থানান্তর করা হয়। বিএফআইইউ এই লেনদেনের তদন্ত করছে এবং অর্থ পাচারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।

বিস্তারিত অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০০৪ সালে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখায় প্রাইম ট্রেডার্স নামে একটি হিসাব খোলা হয় এবং ২০১১ সাল থেকে ঋণ পুনর্গঠনসহ সুদ মওকুফ করা হয়েছে। একইভাবে, ২০১৭ সালে এমএস প্রমোশনের নামে ওয়ান ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে ২০১৯ সালে নবায়ন এবং ঋণ সীমা বৃদ্ধি পায়।

বিএফআইইউ’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এসব অর্থনৈতিক লেনদেন এবং ঋণ পুনর্গঠন ও সুদ মওকুফের পদ্ধতি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে এবং সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত চলছে।

ট্যাগস :

বাংলাদেশকে ‘ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’ বানানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মুন্নী সাহার স্থগিত ব্যাংক হিসাবে ১৪ কোটি টাকা

আপডেট সময় : ১২:২৯:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) জানিয়েছে, সাংবাদিক মুন্নী সাহা তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে বেতনের বাইরে ১৩৪ কোটি টাকা জমা করেছেন। এর মধ্যে ১২০ কোটি টাকা বিভিন্ন সময় উত্তোলন করা হয়েছে, এবং বর্তমানে স্থগিত হিসাবে ১৪ কোটি টাকা রয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মুন্নী সাহা, তার স্বামী কবির হোসেন তাপস এবং তাদের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশন সংস্থার ব্যাংক হিসাবে এই অর্থ জমা হয়েছে। এছাড়া, গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোডে শান্তিনিকেতন এলাকায় তাদের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওয়ান ব্যাংকের কারওয়ানবাজার শাখায় ২০১৭ সালের ২ মে কবির হোসেন তাপসের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশন নামে একটি হিসাব খোলা হয়, যেখানে নমিনি হিসেবে মুন্নী সাহার নাম ছিল। এই হিসাবের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ নেওয়া হয়। ঋণটি সময়মতো পরিশোধ না করায়, বারবার সুদ মওকুফ এবং ঋণ নবায়ন করা হয়। ২০১৭ সালে সুদ মওকুফের পরিমাণ ছিল ২৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

এরপর ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, তিনটি চেকের মাধ্যমে এমএস প্রমোশনের হিসাব থেকে ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রাইম ট্রেডার্স নামে অন্য একটি হিসাবের দিকে স্থানান্তর করা হয়। বিএফআইইউ এই লেনদেনের তদন্ত করছে এবং অর্থ পাচারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।

বিস্তারিত অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০০৪ সালে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখায় প্রাইম ট্রেডার্স নামে একটি হিসাব খোলা হয় এবং ২০১১ সাল থেকে ঋণ পুনর্গঠনসহ সুদ মওকুফ করা হয়েছে। একইভাবে, ২০১৭ সালে এমএস প্রমোশনের নামে ওয়ান ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে ২০১৯ সালে নবায়ন এবং ঋণ সীমা বৃদ্ধি পায়।

বিএফআইইউ’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এসব অর্থনৈতিক লেনদেন এবং ঋণ পুনর্গঠন ও সুদ মওকুফের পদ্ধতি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে এবং সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত চলছে।