বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

মুন্নী সাহার স্থগিত ব্যাংক হিসাবে ১৪ কোটি টাকা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) জানিয়েছে, সাংবাদিক মুন্নী সাহা তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে বেতনের বাইরে ১৩৪ কোটি টাকা জমা করেছেন। এর মধ্যে ১২০ কোটি টাকা বিভিন্ন সময় উত্তোলন করা হয়েছে, এবং বর্তমানে স্থগিত হিসাবে ১৪ কোটি টাকা রয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মুন্নী সাহা, তার স্বামী কবির হোসেন তাপস এবং তাদের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশন সংস্থার ব্যাংক হিসাবে এই অর্থ জমা হয়েছে। এছাড়া, গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোডে শান্তিনিকেতন এলাকায় তাদের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওয়ান ব্যাংকের কারওয়ানবাজার শাখায় ২০১৭ সালের ২ মে কবির হোসেন তাপসের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশন নামে একটি হিসাব খোলা হয়, যেখানে নমিনি হিসেবে মুন্নী সাহার নাম ছিল। এই হিসাবের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ নেওয়া হয়। ঋণটি সময়মতো পরিশোধ না করায়, বারবার সুদ মওকুফ এবং ঋণ নবায়ন করা হয়। ২০১৭ সালে সুদ মওকুফের পরিমাণ ছিল ২৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

এরপর ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, তিনটি চেকের মাধ্যমে এমএস প্রমোশনের হিসাব থেকে ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রাইম ট্রেডার্স নামে অন্য একটি হিসাবের দিকে স্থানান্তর করা হয়। বিএফআইইউ এই লেনদেনের তদন্ত করছে এবং অর্থ পাচারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।

বিস্তারিত অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০০৪ সালে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখায় প্রাইম ট্রেডার্স নামে একটি হিসাব খোলা হয় এবং ২০১১ সাল থেকে ঋণ পুনর্গঠনসহ সুদ মওকুফ করা হয়েছে। একইভাবে, ২০১৭ সালে এমএস প্রমোশনের নামে ওয়ান ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে ২০১৯ সালে নবায়ন এবং ঋণ সীমা বৃদ্ধি পায়।

বিএফআইইউ’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এসব অর্থনৈতিক লেনদেন এবং ঋণ পুনর্গঠন ও সুদ মওকুফের পদ্ধতি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে এবং সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত চলছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

মুন্নী সাহার স্থগিত ব্যাংক হিসাবে ১৪ কোটি টাকা

আপডেট সময় : ১২:২৯:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) জানিয়েছে, সাংবাদিক মুন্নী সাহা তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে বেতনের বাইরে ১৩৪ কোটি টাকা জমা করেছেন। এর মধ্যে ১২০ কোটি টাকা বিভিন্ন সময় উত্তোলন করা হয়েছে, এবং বর্তমানে স্থগিত হিসাবে ১৪ কোটি টাকা রয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মুন্নী সাহা, তার স্বামী কবির হোসেন তাপস এবং তাদের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশন সংস্থার ব্যাংক হিসাবে এই অর্থ জমা হয়েছে। এছাড়া, গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোডে শান্তিনিকেতন এলাকায় তাদের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওয়ান ব্যাংকের কারওয়ানবাজার শাখায় ২০১৭ সালের ২ মে কবির হোসেন তাপসের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশন নামে একটি হিসাব খোলা হয়, যেখানে নমিনি হিসেবে মুন্নী সাহার নাম ছিল। এই হিসাবের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ নেওয়া হয়। ঋণটি সময়মতো পরিশোধ না করায়, বারবার সুদ মওকুফ এবং ঋণ নবায়ন করা হয়। ২০১৭ সালে সুদ মওকুফের পরিমাণ ছিল ২৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

এরপর ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, তিনটি চেকের মাধ্যমে এমএস প্রমোশনের হিসাব থেকে ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রাইম ট্রেডার্স নামে অন্য একটি হিসাবের দিকে স্থানান্তর করা হয়। বিএফআইইউ এই লেনদেনের তদন্ত করছে এবং অর্থ পাচারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।

বিস্তারিত অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০০৪ সালে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখায় প্রাইম ট্রেডার্স নামে একটি হিসাব খোলা হয় এবং ২০১১ সাল থেকে ঋণ পুনর্গঠনসহ সুদ মওকুফ করা হয়েছে। একইভাবে, ২০১৭ সালে এমএস প্রমোশনের নামে ওয়ান ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে ২০১৯ সালে নবায়ন এবং ঋণ সীমা বৃদ্ধি পায়।

বিএফআইইউ’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এসব অর্থনৈতিক লেনদেন এবং ঋণ পুনর্গঠন ও সুদ মওকুফের পদ্ধতি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে এবং সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত চলছে।