শিরোনাম :
Logo ঝিকুট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মালখানগর ঐক্যতান সমাজকল্যাণ সংগঠনের শুভেচ্ছা Logo চাঁদপুরে ২১ তম জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo রাবিতে প্রো-ভিসি’র ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবি জিয়া পরিষদের নিন্দা Logo উৎসবমুখর  পরিবেশে কয়রায় পালিত হতে যাচ্ছে  শারদীয় দুর্গা উৎসব Logo কচুয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর Logo চাঁদপুরে জুলাই শহিদ পরিবার ও যোদ্ধাদের মানববন্ধন Logo ইবিতে বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচিতে সম্প্রীতির বার্তা Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইবিতে নবীনবরণ সম্পন্ন Logo যুবকদের কর্মসংস্থানে নতুন সম্ভাবনা-কয়রায় প্রশিক্ষণ সংলাপ  Logo

অর্থনীতির শ্বেতপত্র পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, বললেন ড. ইউনূস

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৭:৩০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

শেখ হাসিনার শাসনামলে অর্থপাচার থেকে শুরু করে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি করা শ্বেতপত্র হাতে পেয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এটি চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রকাশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।। এ প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি (শ্বেতপত্রটি) আমাদের দেখাবে কী অবস্থায় আমরা অর্থনীতি পেয়েছি। জাতি এই নথি থেকে উপকৃত হবে।

শেখ হাসিনার শাসনামলে খোলাখুলিভাবে অর্থনীতিতে লুটপাট হওয়ার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, আমাদের অনেকের সাহস ছিল না এটি প্রতিহত করার।

রোববার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টার কাছে শ্বেতপত্রের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হলে তিনি এসব কথা বলেন।

বিগত সরকারের শাসনামলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত এই শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার সময়ে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। যা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।

সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, লুটপাট ও পরিসংখ্যানগত কারসাজির মাত্রা ছিল ভয়াবহ।

এসময় কমিটিপ্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করেছি এবং সরকারের কোনো প্রভাব ছিল না। শ্বেতপত্রটি ৩০টি অধ্যায়ে এবং ৪০০ পৃষ্ঠার বিশদ বিবরণীসহ প্রকাশিত হবে বলেও জানান তিনি।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তারা ২৯টি বড় প্রকল্পের মধ্যে সাতটি বিশ্লেষণ করেছেন। প্রকল্পগুলোর প্রাথমিক ব্যয় ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা, যা পরে ১ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্য প্রফেসর একে এনামুল হক বলেন, গত ১৫ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ৭ লাখ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে, যার ৪০ শতাংশ লুটপাট হয়েছে।

কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু ইউসুফ জানান, কর মওকুফের পরিমাণ ছিল দেশের মোট জিডিপির ছয় শতাংশ। এর পরিমাণ অর্ধেক কমালে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেট দ্বিগুণ-তিনগুণ করা যেতো।

‘ডিসেকশন অফ এ ডেভেলপমেন্ট ন্যারেটিভ’ শীর্ষক এ শ্বেতপত্র প্রতিবেদন শিগগির জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিকুট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মালখানগর ঐক্যতান সমাজকল্যাণ সংগঠনের শুভেচ্ছা

অর্থনীতির শ্বেতপত্র পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, বললেন ড. ইউনূস

আপডেট সময় : ০৬:৪৭:৩০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনার শাসনামলে অর্থপাচার থেকে শুরু করে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি করা শ্বেতপত্র হাতে পেয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এটি চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রকাশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।। এ প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি (শ্বেতপত্রটি) আমাদের দেখাবে কী অবস্থায় আমরা অর্থনীতি পেয়েছি। জাতি এই নথি থেকে উপকৃত হবে।

শেখ হাসিনার শাসনামলে খোলাখুলিভাবে অর্থনীতিতে লুটপাট হওয়ার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, আমাদের অনেকের সাহস ছিল না এটি প্রতিহত করার।

রোববার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টার কাছে শ্বেতপত্রের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হলে তিনি এসব কথা বলেন।

বিগত সরকারের শাসনামলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত এই শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার সময়ে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। যা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।

সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, লুটপাট ও পরিসংখ্যানগত কারসাজির মাত্রা ছিল ভয়াবহ।

এসময় কমিটিপ্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করেছি এবং সরকারের কোনো প্রভাব ছিল না। শ্বেতপত্রটি ৩০টি অধ্যায়ে এবং ৪০০ পৃষ্ঠার বিশদ বিবরণীসহ প্রকাশিত হবে বলেও জানান তিনি।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তারা ২৯টি বড় প্রকল্পের মধ্যে সাতটি বিশ্লেষণ করেছেন। প্রকল্পগুলোর প্রাথমিক ব্যয় ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা, যা পরে ১ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্য প্রফেসর একে এনামুল হক বলেন, গত ১৫ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ৭ লাখ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে, যার ৪০ শতাংশ লুটপাট হয়েছে।

কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু ইউসুফ জানান, কর মওকুফের পরিমাণ ছিল দেশের মোট জিডিপির ছয় শতাংশ। এর পরিমাণ অর্ধেক কমালে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেট দ্বিগুণ-তিনগুণ করা যেতো।

‘ডিসেকশন অফ এ ডেভেলপমেন্ট ন্যারেটিভ’ শীর্ষক এ শ্বেতপত্র প্রতিবেদন শিগগির জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে।