শিরোনাম :
Logo শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত Logo আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামাব না : শামীমা ইয়াছমিন Logo বোমা হামলায় পৃথিবীতে যত লোক মারা যায় তারচেয়ে বেশি বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় -পঞ্চগড়ে তারিকুল ইসলাম Logo বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে অভিনেত্রী Logo এশিয়া কাপের জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা বিসিবির Logo ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ ফখরের Logo নাটকীয় জয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র করল ভারত Logo কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিং ফ্যান বিতরন Logo হাতপাখার প্রার্থী মানসুর আহমদ সাকী’র সাথে পূর্ব ফতেহপুর ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় Logo আ’লীগের আরও ১১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

বিশ্বমানের করতে চায় বাংলাদেশ শ্রম আইন: ড. ইউনূস

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:০৪:৫০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৩১ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দেশের শ্রম আইন সংস্কারের ব্যাপারে ব্যাপক পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের শ্রম আইনগুলোকে বিশ্বমানের সঙ্গে সমন্বয় করতে চাই। এটি আমার প্রতিশ্রুতি।’

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মার্কিন শ্রম ও ব্র্যান্ড প্রতিনিধিদলের সঙ্গে শ্রমবিষয়ক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রফেসর ড. ইউনূস প্রতিনিধিদলকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দেশের শ্রম আইন সংস্কারের জন্য একটি বিশেষ দূত নিয়োগ করেছে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম অধিকার গ্রুপ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ সমাধানে কাজ করছে।’

প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া মেই লি এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি ফে রড্রিগেজ।

এই দুই সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক শ্রম অধিকার গ্রুপ এবং বাংলাদেশ থেকে পোশাক ও জুতা কেনা শীর্ষ আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো প্রফেসর ইউনূসের শ্রম আইন সংস্কারের পদক্ষেপ এবং বাংলাদেশে শ্রমিকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে।’

কেলি ফে রড্রিগেজ বলেন, ‘এগুলো সবার সাক্ষ্য দেয় যে, প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত তিন মাসে শ্রম খাতে কী অসাধারণ পদক্ষেপ নিয়েছে’ এবং তিনি স্থানীয় ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে সরকারের সই করা ১৮ দফা চুক্তির কথাও উল্লেখ করেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার এবং প্রতি বছর মজুরি পর্যালোচনা করার আহ্বান জানান। এটা করলে লাখ লাখ গার্মেন্টস ও ফুটওয়ার্ক শ্রমিক মূল্যস্ফীতি থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারে বলে মত দেন তারা। থিয়া মেই লি বলেন, ‘এটি ব্যবসার জন্য ভালো এবং অর্থনীতির জন্যও ভালো। শ্রমিক ইউনিয়নগুলো গণতন্ত্রের জন্য একটি প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র।’

মার্কিন শীর্ষ ব্র্যান্ড তিনটি, পিভিএইচ, ক্যালভিন ক্লাইন এবং গ্যাপ ইনক-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

পিভিএইচ করপোরেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল ব্রাইড জানান, ‘তারা বাংলাদেশে শ্রম সংস্কারকে সমর্থন করেন এবং কম্বোডিয়াতে তাদেরও একই ধরনের পদক্ষেপের সমর্থন ছিল।’

প্রফেসর ইউনূস ব্র্যান্ডগুলোকে অনুরোধ করেন, যেন তারা প্রতি জানুয়ারিতে তাদের অর্ডারের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়, যাতে বাংলাদেশি উৎপাদকরা শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে পারে।

মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মেগান বুলডেবও সভায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রফেসর ইউনূসের ব্যাপক শ্রম সংস্কারের পুরোপুরি সমর্থক। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনার সঙ্গে অংশীদার হতে চাই।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত

বিশ্বমানের করতে চায় বাংলাদেশ শ্রম আইন: ড. ইউনূস

আপডেট সময় : ০৬:০৪:৫০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দেশের শ্রম আইন সংস্কারের ব্যাপারে ব্যাপক পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের শ্রম আইনগুলোকে বিশ্বমানের সঙ্গে সমন্বয় করতে চাই। এটি আমার প্রতিশ্রুতি।’

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মার্কিন শ্রম ও ব্র্যান্ড প্রতিনিধিদলের সঙ্গে শ্রমবিষয়ক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রফেসর ড. ইউনূস প্রতিনিধিদলকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দেশের শ্রম আইন সংস্কারের জন্য একটি বিশেষ দূত নিয়োগ করেছে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম অধিকার গ্রুপ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ সমাধানে কাজ করছে।’

প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া মেই লি এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি ফে রড্রিগেজ।

এই দুই সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক শ্রম অধিকার গ্রুপ এবং বাংলাদেশ থেকে পোশাক ও জুতা কেনা শীর্ষ আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো প্রফেসর ইউনূসের শ্রম আইন সংস্কারের পদক্ষেপ এবং বাংলাদেশে শ্রমিকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে।’

কেলি ফে রড্রিগেজ বলেন, ‘এগুলো সবার সাক্ষ্য দেয় যে, প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত তিন মাসে শ্রম খাতে কী অসাধারণ পদক্ষেপ নিয়েছে’ এবং তিনি স্থানীয় ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে সরকারের সই করা ১৮ দফা চুক্তির কথাও উল্লেখ করেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার এবং প্রতি বছর মজুরি পর্যালোচনা করার আহ্বান জানান। এটা করলে লাখ লাখ গার্মেন্টস ও ফুটওয়ার্ক শ্রমিক মূল্যস্ফীতি থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারে বলে মত দেন তারা। থিয়া মেই লি বলেন, ‘এটি ব্যবসার জন্য ভালো এবং অর্থনীতির জন্যও ভালো। শ্রমিক ইউনিয়নগুলো গণতন্ত্রের জন্য একটি প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র।’

মার্কিন শীর্ষ ব্র্যান্ড তিনটি, পিভিএইচ, ক্যালভিন ক্লাইন এবং গ্যাপ ইনক-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

পিভিএইচ করপোরেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল ব্রাইড জানান, ‘তারা বাংলাদেশে শ্রম সংস্কারকে সমর্থন করেন এবং কম্বোডিয়াতে তাদেরও একই ধরনের পদক্ষেপের সমর্থন ছিল।’

প্রফেসর ইউনূস ব্র্যান্ডগুলোকে অনুরোধ করেন, যেন তারা প্রতি জানুয়ারিতে তাদের অর্ডারের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়, যাতে বাংলাদেশি উৎপাদকরা শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে পারে।

মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মেগান বুলডেবও সভায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রফেসর ইউনূসের ব্যাপক শ্রম সংস্কারের পুরোপুরি সমর্থক। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনার সঙ্গে অংশীদার হতে চাই।’