বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় Vulnerable Women Benefit (VWB) ভাতাভোগীর তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের প্রস্তাবিত তালিকা যাচাই-বাছাই ছাড়াই উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তালিকাটি চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছেন। এতে সরকারি পরিপত্রে বর্ণিত নির্দেশনা পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে।
একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান তালিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত না করে গোপনে তালিকা তৈরি করেছেন। এতে অসন্তোষ সৃষ্টি হওয়ায় ক্ষুব্ধ জনপ্রতিনিধিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা প্রশাসকের বরাবর একাধিক লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এমনকি একাধিক ইউনিয়নে তালিকা প্রণয়নের নথিপত্রে কয়েকজন ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড সভাপতির স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগও উঠেছে। এতে তালিকা প্রণয়নের স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের পরিপত্র অনুযায়ী যোগ্য নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা থাকলেও তালিকা তৈরিতে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। এর ফলে অনেক প্রকৃত অসহায় নারী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন এবং বিতর্কিত ও অযাচিত ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে তালিকা প্রণয়ন হলে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হবেন এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। তাই দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সঠিক প্রক্রিয়ায় তালিকা চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও ভিডব্লিউবি কমিটির সদস্য সচিব শাহনাজ আকতার বলেন, “এটি একটি বড় প্রকল্প, কার ঘাড়ে কয়টি মাথা আছে,যে সব কাজ একা সামলানো যাবে। তবে অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।” তিনি দাবি করেন, ভিডব্লিউবি চক্রের চূড়ান্ত তালিকা কমিটিতে পাশ হয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ভিডব্লিউবি কমিটির সভাপতি নাজমুল আলম জানান, “তালিকা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর-২৫) সরেজমিনে যাচাই-বাছাইয়ের পর তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। বেতকাপা ইউনিয়নের একটি অভিযোগ তদন্তে সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলের মাঝে বিভ্রান্তি ও ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।