সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
জননেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বেগম রুমানা মাহমুদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল।
জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল-কায়েস এক বিবৃতিতে বলেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু একজন ত্যাগী, সৎ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক। তাঁর রাজনীতি কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়, বরং গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার ও ন্যায়ের পক্ষে। কিন্তু কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অপপ্রচারকারীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
দলীয় নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের গুজবে কান না দিয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সত্যের জয় হবেই। জনগণের ভালোবাসা ও আস্থার মাধ্যমে টুকু এগিয়ে যাবেন, কোনো ষড়যন্ত্র তাকে থামাতে পারবে না।
যারা রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে জননেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও জেলা বিএনপি সভানেত্রী বেগম রুমানা মাহমুদের বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের প্রতি আমরা তীব্র ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী দালালচক্র বিএনপির সঙ্গে বেঈমানি করে বিদেশে বসে নানা গুজব ছড়াচ্ছে। অথচ এ জেলার মানুষ জানে—বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে ঘরছাড়া হয়েছেন, তখন আদালত প্রাঙ্গণ ছিল তাদের আশ্রয়স্থল। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সংকটেও সর্বোচ্চ সহায়তা করেছেন জননেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও বেগম রুমানা মাহমুদ। হামলা- মামলায় আটক অসংখ্য নেতাকর্মীদের তারা জামিনে মুক্ত করিয়েছেন। এছাড়া সয়দাবাদ রেল পোড়ানোর মামলা, মুলিবাড়ি, বাগবাড়ি, শহীদ নগর, ঝাঐল, নলকায় গাড়ি পোড়ানো মামলায় শিকার হয়ে যারা বিপদে পড়েছেন, তাদের পাশে সবসময় থেকেছেন এই দুই নেতা। আজ তাদের বিরুদ্ধে জামায়াতপন্থী ও মব সৃষ্টিকারী ভুঁইফোড় কিছু ব্যক্তি অপপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ টুকু সাহেব ও রুমানা মাহমুদের অক্লান্ত পরিশ্রমে নেতাকর্মীরা দুঃসময়ে যেমন ঐক্যবদ্ধ থেকেছেন, আগামী দিনেও তেমনি দলকে আরও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবেন। বেগম রুমানা মাহমুদ ও জননেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর আস্থাভাজন সিপাহী জনতার মেয়র নামে খ্যাত সাইদুর রহমান বাচ্চুর নেতৃত্বে জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সকল আন্দোলন ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসাথে মাঠে আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। আজ তাদের নিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার কেবলই নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙার নোংরা চেষ্টা। জনগণ জানে, তারা সবসময় দলের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করেছেন। তাই এসব অপপ্রচার কখনোই সফল হবে না।