শিরোনাম :

শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়নে ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের অনন্য পদক্ষেপ

কচুয়ার আশরাফপুর আহসানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ জুড়ে ছিল এক ভিন্ন ধরনের প্রাণচাঞ্চল্য। শিক্ষার্থীদের হাতে খাতা-কলম, শিক্ষকদের হাতে নোটপ্যাড ও কলম—সবার মুখে এক ধরনের উচ্ছ্বাস। শুধু শিক্ষা উপকরণ বিতরণ নয়, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রোপিত হলো এক বিরল সৌন্দর্যের প্রতীক—দৃষ্টিনন্দন জাকারান্ডা ফুলগাছ।
এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের নেপথ্যে ছিলেন কচুয়ার মানুষের প্রিয় মুখ, ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়ন সংক্রান্ত ঘোষণার ২৫তম ও ৩১তম দফা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তিনি এই উদ্যোগ নেন।
এদিন ৩৫০ জন শিক্ষার্থী পেল খাতা-কলম এবং ১৮ জন শিক্ষক পেলেন নোটপ্যাড ও কলম। শুধু উপহার নয়, শিক্ষার্থীদের মুখে ছিল আগামীর স্বপ্ন আঁকার প্রত্যয়। উপকরণ হাতে নিয়ে তারা যেন আরও দৃঢ়ভাবে শিক্ষার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হলো।
একই সময় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রোপিত হলো জাকারান্ডা ফুলগাছ। এই বিদেশি গাছটি শুধু দৃষ্টিনন্দনই নয়, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের মতে, শিক্ষা ও পরিবেশ—দুটোই আগামী প্রজন্মের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।
ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান বলেন, “আমার নেতা জনাব তারেক রহমান আমাদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক। তাই তাদের শিক্ষার প্রতি যত্নশীল হওয়া জরুরি। আমি চাই কচুয়াবাসীর পাশে থেকে আজীবন কাজ করতে।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন সোহাগ  আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “আমার দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে বহু উদ্যোগ দেখেছি। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের কার্যক্রম সত্যিই ব্যতিক্রমধর্মী ও অনুপ্রেরণামূলক। শিক্ষার উৎকর্ষে তার এই অবদান আমাদের মুগ্ধ করেছে।”
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনজন জাপানি অতিথি। তারা বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে এ ধরনের কার্যক্রম দেখে বিস্মিত ও আনন্দিত হন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন উদ্যোগ কচুয়ার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলেই অনেকে মনে করেন।
শিক্ষা উপকরণ বিতরণ যেমন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়ক, তেমনি বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম প্রমাণ করে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্বও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান এই দুইটি ক্ষেত্রকে একসাথে নিয়ে কাজ করছেন—যা নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমধর্মী উদাহরণ।
কচুয়াকে আরও সমৃদ্ধ ও সবুজ করে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তার এই অনন্য উদ্যোগ নতুন প্রজন্মকে যেমন অনুপ্রাণিত করবে, তেমনি কচুয়ার শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়নের পথকে করবে আরও সুগম।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামীম হোসেন,বিএনপি নেতা আবুল খায়ের,উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা,উপজেলা ছাত্রদল নেতা জাহাঙ্গীর সরকার প্রমুখ। এসময় জাহাঙ্গীর আলম প্রধান,মোতালেব হোসেন,ছাত্রদল নেতা সাব্বির আহমেদ,আরাফাত হোসাইন,তাসফিকুল ইসলাম তাজ
,রকি,জিসান,রাব্বি,রাকিব মাহমুদ জিয়া,সাখাওয়াত হোসেন,মো কাউছার ও সিহাব সহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যুবকদের কর্মসংস্থানে নতুন সম্ভাবনা-কয়রায় প্রশিক্ষণ সংলাপ 

শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়নে ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের অনন্য পদক্ষেপ

আপডেট সময় : ০৫:০৪:৪১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কচুয়ার আশরাফপুর আহসানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ জুড়ে ছিল এক ভিন্ন ধরনের প্রাণচাঞ্চল্য। শিক্ষার্থীদের হাতে খাতা-কলম, শিক্ষকদের হাতে নোটপ্যাড ও কলম—সবার মুখে এক ধরনের উচ্ছ্বাস। শুধু শিক্ষা উপকরণ বিতরণ নয়, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রোপিত হলো এক বিরল সৌন্দর্যের প্রতীক—দৃষ্টিনন্দন জাকারান্ডা ফুলগাছ।
এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের নেপথ্যে ছিলেন কচুয়ার মানুষের প্রিয় মুখ, ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়ন সংক্রান্ত ঘোষণার ২৫তম ও ৩১তম দফা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তিনি এই উদ্যোগ নেন।
এদিন ৩৫০ জন শিক্ষার্থী পেল খাতা-কলম এবং ১৮ জন শিক্ষক পেলেন নোটপ্যাড ও কলম। শুধু উপহার নয়, শিক্ষার্থীদের মুখে ছিল আগামীর স্বপ্ন আঁকার প্রত্যয়। উপকরণ হাতে নিয়ে তারা যেন আরও দৃঢ়ভাবে শিক্ষার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হলো।
একই সময় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রোপিত হলো জাকারান্ডা ফুলগাছ। এই বিদেশি গাছটি শুধু দৃষ্টিনন্দনই নয়, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের মতে, শিক্ষা ও পরিবেশ—দুটোই আগামী প্রজন্মের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।
ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান বলেন, “আমার নেতা জনাব তারেক রহমান আমাদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক। তাই তাদের শিক্ষার প্রতি যত্নশীল হওয়া জরুরি। আমি চাই কচুয়াবাসীর পাশে থেকে আজীবন কাজ করতে।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন সোহাগ  আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “আমার দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে বহু উদ্যোগ দেখেছি। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের কার্যক্রম সত্যিই ব্যতিক্রমধর্মী ও অনুপ্রেরণামূলক। শিক্ষার উৎকর্ষে তার এই অবদান আমাদের মুগ্ধ করেছে।”
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনজন জাপানি অতিথি। তারা বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে এ ধরনের কার্যক্রম দেখে বিস্মিত ও আনন্দিত হন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন উদ্যোগ কচুয়ার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলেই অনেকে মনে করেন।
শিক্ষা উপকরণ বিতরণ যেমন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়ক, তেমনি বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম প্রমাণ করে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্বও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান এই দুইটি ক্ষেত্রকে একসাথে নিয়ে কাজ করছেন—যা নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমধর্মী উদাহরণ।
কচুয়াকে আরও সমৃদ্ধ ও সবুজ করে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তার এই অনন্য উদ্যোগ নতুন প্রজন্মকে যেমন অনুপ্রাণিত করবে, তেমনি কচুয়ার শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়নের পথকে করবে আরও সুগম।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামীম হোসেন,বিএনপি নেতা আবুল খায়ের,উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা,উপজেলা ছাত্রদল নেতা জাহাঙ্গীর সরকার প্রমুখ। এসময় জাহাঙ্গীর আলম প্রধান,মোতালেব হোসেন,ছাত্রদল নেতা সাব্বির আহমেদ,আরাফাত হোসাইন,তাসফিকুল ইসলাম তাজ
,রকি,জিসান,রাব্বি,রাকিব মাহমুদ জিয়া,সাখাওয়াত হোসেন,মো কাউছার ও সিহাব সহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।