চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনের জনপদে এখন নির্বাচনী আমেজ। গ্রামের হাট-বাজার থেকে শুরু করে প্রান্তিক চা-স্টল—সবখানেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু আসন্ন জাতীয় নির্বাচন। এরই ধারাবাহিকতায় সাচার ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হলো জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফীর গণসংযোগ কর্মসূচি।
শনিবার বিকালে সাচার ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গণ যেন রূপ নেয় নেতা-কর্মীদের মিলনমেলায়। হাতে দাড়িপাল্লার প্রতীক, কণ্ঠে স্লোগান—“ন্যায়বিচারের প্রতীক দাড়িপাল্লা চাই”—এমন উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে পুরো এলাকা। বিশাল মিছিলটি কলেজ মাঠ থেকে বেরিয়ে বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে যখন মধ্যবাজারে এসে পৌঁছায়, তখন চারপাশে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।
পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রার্থী মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী বলেন, “জনগণের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতীক দাড়িপাল্লা। আমরা চাই জনগণের ভোটাধিকার সুরক্ষিত হোক এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে উঠুক।” তার এই বক্তব্যে সমর্থকরা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো বাজার এলাকা।
গণসংযোগের সময় ব্যবসায়ী, পথচারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত দাড়িপাল্লা প্রতীকের প্রচারণায় সরব হয়ে ওঠে। অনেকেই বলছিলেন—“আমরা পরিবর্তন চাই, ন্যায় চাই, দাড়িপাল্লা চাই।”
এই গণসংযোগে অংশ নেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, সাচার ইউনিয়ন আমীর অহিদুজ্জামান, চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মনির হোসেন হেলালী, বিতারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ মাদানী, পালাখাল মডেল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা জসিম উদ্দিনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা।
প্রচারণার ঢল দেখে সহজেই বোঝা যায়—কচুয়ায় দাড়িপাল্লার পক্ষে মানুষের আবেগ ও প্রত্যাশা কতটা উচ্ছ্বসিত। এই গণসংযোগ শুধু একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিই নয়, বরং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে এক উৎসবের রূপ নেয়।